Saturday, April 20, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি সংবাদআশুলিয়ার সকল বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

আশুলিয়ার সকল বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

gw_23122016

গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে আশুলিয়ার সকল বন্ধ কারখানা অবিলম্বে খুলে দেয়া, শ্রমিকদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধ, গ্রেফতারকৃত স্থানীয় শ্রমিক নেতা সৌমিত্র কুমারসহ শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ১০হাজার টাকা মূল মজুরীসহ মোট মজুরী ১৬ হাজার টাকার দাবি জানিয়েছে।

গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম পথিক এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির নেতা ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, তাসলিমা আখিতার লিমা, শহীদুল ইসলাম সবুজ,  ইয়াসিন মিয়া, শবনম হাফিজ, তৌহিদুল ইসলাম, মীর মোফাজ্জেল হোসেন প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন গার্মেন্ট মালিকরা শ্রমিকদের দাবিদাওয়ার প্রতি কর্ণপাত না করে সরকারের সহযোগিতায় কারখানা বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করেছে। তারা প্রতিটি কারখানায় শত শত শ্রমিককে অবৈধভাবে ছাঁটাই করেছে এবং হাজার হাজার শ্রমিকের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানীর চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আশুলিয়ার অনেক কারখানার মালিকরা ২০১৩ সালে ঘোষিত শ্রমিকদের মূল মজুরী ৫৩০০/-টাকাও দেয়না,  সে কারনেই উইন্ডি গার্মেন্ট থেকে আন্দোলন শুরু করে শ্রমিকরা। কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের ওভারটাইমের মজুরী কম  দেয়া, টিফিন বিল কম দেয়া, নিম্নমানের টিফিন সরবরাহ, নাইট বিল কম দেয়া, শ্রমিকদের সাথে অব্যহত দুর্ব্যবহার, গালাগাল করে অস্থির কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করার কারনেই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। কিন্তু মালিকরা এই সমস্যাগুলোকে পাশ কাটিয়ে কারখানা বন্ধ করে দিয়ে আরো অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন ২০১৩ সালে ঘোষিত ৫৩০০/- টাকা দিয়ে শ্রমিকদের এখন মাসের ১০ দিনও চলে না। গত ৩ বছরে দফায় দফায় দ্রব্যমূল কোন কোন ক্ষেত্রে ৩ গুন বেড়েছে। বাসা ভাড়া, গাড়ী ভাড়া বেড়েছে, গ্যাস বিদ্যুতের দাম বেড়েছে পক্ষান্তরে সরকারী শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুন হয়েছে। সরকারী অফিসের একজন পিয়ন, ঝাড়ুদার, সুইপার এর সর্বনিম্ন বেতন এখন ১৮২৫০/-টাকা। কিন্তু গার্মেন্ট শ্রমিকদের শ্রমের দাম (মজুরী) বাড়েনি। তাই শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির দাবি খুবই ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বন্ধ কারখানা খুলে দিয়ে শ্রমিক ও প্রকৃত শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের আহবান জানান।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments