Friday, April 19, 2024
Homeছাত্র ফ্রন্টকর্মী সদস্য সম্মেলনে কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী

কর্মী সদস্য সম্মেলনে কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী

শিক্ষা আন্দোলন পরিচালনার জন্য বিপ্লবী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে চরিত্রের উচ্চমান আয়ত্ত করতে হবে

sel 3 resized

আজ থেকে (২০ ডিসেম্বর ২০১৫) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কর্মী সদস্য সম্মেলন শুরু হলো। কমরেড সভাপতি, আমাদের দলের নেতৃবৃন্দ এবং সারাদেশ থেকে ছাত্র ফ্রন্টের কর্মী সংগঠকরা আজকে এখানে উপস্থিত হয়েছেন, তাদেরকে আমি অভিনন্দন জানিয়ে আজকে সামান্য কিছু কথা বলবো উদ্বোধনের প্রয়োজনে। বিকালে নির্ধারিত বিষয়গুলোর মধ্যে কমরেডদের যে প্রশ্নগুলো থাকবে এবং তার বাইরে যে কথাগুলো আমার যুক্ত করা উচিত সেগুলো নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

এই ছাত্র সংগঠন বিপ্লবী রাজনীতি ধারণ করে এদেশের বুকে ধারাবাহিকভাবে সংগ্রাম করতে করতে আজকের জায়গায় এসে পৌঁছেছে। এই সংগ্রামের ক্ষেত্রে অন্য সমস্ত ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে তার মৌলিক পার্থক্য কী? সমস্ত ছাত্র আন্দোলনকে, শিক্ষার সংকটকে, শিক্ষার সমস্যাকে দেখবার ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে অন্যদের পার্থক্য কী? এই সম্মেলনের যে বিষয়গুলি নির্ধারিত হয়েছে তার মধ্যে সেই প্রশ্নগুলি বিভিন্ন দিক থেকে আছে এবং সেগুলো নিয়েই আমরা এ কদিন আলোচনা করবো। আমাদের কমরেডরা সবাই জানে যে এই সংগঠন যখন সৃষ্টি হয়েছিলো, তখন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলছিলো। অনেক সক্রিয় বামপন্থী ছাত্র সংগঠন তখন ছিলো, অবস্থাটা আজকের মতো ছিলো না। তখন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সূত্রপাতই হয়েছিলো কমরেড শিবদাস ঘোষের শিক্ষা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে। তারা শিক্ষার সংকট সম্পর্কে, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে যেসব বক্তব্যগুলি সামনে নিয়ে আসে সেগুলি কমরেড শিবদাস ঘোষের শিক্ষা থেকেই পাওয়া। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে সবগুলো ছাত্র সংগঠন মিলে, আবার বিভিন্ন সংগঠনের স্বতন্ত্রভাবে যে সকল কর্মসূচী ও শিক্ষা সম্পর্কিত প্রস্তাবনা ছিলো, তার মধ্যে আগে অনেক কথা ছাড়া ছাড়া ভাবে ছিলো। খানিকটা কোনো একটা ইমিডিয়েট লক্ষ্য উদ্দেশ্য থাকলেও; সমগ্র শিক্ষা, শিক্ষার সংকটকে কিভাবে মোকাবেলা করবে তার যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি— এই দেশে ছাত্র আন্দোলনের ক্ষেত্রে সেটা ছিলো অনুপস্থিত। সেই দিক থেকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা এই দেশের বুকে ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলার পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ে এসেছিলো।

cover copy1আপনারা জানেন যে, শিক্ষার প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেরই একটি পারস্পরিক সম্পর্ক আছে, শিক্ষার সামাজিক উদ্দেশ্য আছে। কমরেড শিবদাস ঘোষ শিক্ষার যে মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি সেটি উপস্থাপন করে আমাদের সামনে পথনির্দেশ রেখে গেছেন। তিনি দেখিয়েছেন অতীতে আমাদের সমস্ত পূর্বপুরুষদের যে খন্ডিত খন্ডিত অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়েছিলো, সেই অভিজ্ঞতা পরবর্তীকালে বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তা ও তত্ত্ব নির্মাণের প্রক্রিয়ায় আসলো। তারই পথ ধরে একসময় বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তার ভিত্তি তৈরি হলো। বুর্জোয়া মানবতাবাদীরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের এই সমস্ত বিষয়কে বেশ খানিকটা পথ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো। শিক্ষা হবে সর্বজনীন — এই চিন্তাও তারা নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু যেহেতু পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা একটা শোষণমূলক-নির্যাতনমূলক সমাজব্যবস্থা, একটি শ্রেণীবিভক্ত সমাজব্যবস্থা এবং বুর্জোয়ারা যেহেতু যেকোনো প্রশ্নে নিজেদের যে শ্রেণীগত স্বার্থ সেটার পক্ষে দাঁড়ায়, সেহেতু শেষ পর্যন্ত শিক্ষার যে মূল উদ্দেশ্য সেটাকে তারা সফল করতে পারেনি। সামন্তবাদী স্বৈরাচারী সামাজিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ব্যক্তির বিকাশ, ব্যক্তির স্বাধীনতা, ব্যক্তির স্বাতন্ত্রতা এইসব প্রশ্নগুলিকে কেন্দ্র করে বুর্জোয়ারা সেদিন তৎকালীন সমাজব্যবস্থার প্রেক্ষিতে যে উন্নত চিন্তা নিয়ে এসেছিলো, শেষ পর্যন্ত সম্পত্তিকেন্দ্রিক, বৈষম্যমূলক, শোষণমূলক সামাজিক ব্যবস্থা পত্তনের মধ্য দিয়ে তাদের সেই উদ্দেশ্য, ঐ ডিক্লারেশন সবকিছুই শেষ পর্যন্ত অকার্যকর হয়ে গিয়েছে। বুর্জোয়াদের উন্মেষের সময় তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থের কারণেই শিক্ষিত-অভিজ্ঞ লোক তৈরি করার প্রয়োজন ছিলো। তারা যে শিল্প ভিত্তি তৈরি করেছিল, সে শিল্প ভিত্তি তৈরি করার প্রয়োজনে শিক্ষা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক থেকে সেই সময়ের উৎপাদনের প্রয়োজনে উৎপাদিকা শক্তির বিকাশের নিয়মে প্রয়োগ করতে হয়েছিলো। কিন্তু যেদিন শোষণমূলক ব্যবস্থা উৎপাদিকা শক্তি এবং উৎপাদন সম্পর্কের অমীমাংসিত বিরোধের সৃষ্টি করলো তখন পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিকাশের প্রয়োজনে গড়ে ওঠা শিক্ষাব্যবস্থা আর সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারলো না। তখন থেকেই বুর্জোয়ারা শিক্ষার সংকোচন ঘটানো শুরু করলো। কালক্রমে ধীরে ধীরে শিক্ষাকেও ব্যবসা হিসেবে নিয়ে আসলো, পণ্যে পরিণত করলো এবং বৈষম্যমূলক শিক্ষা চালু করলো।

সারা বিশ্বে পুঁজিবাদ যখন এই পর্যায়ে চলে গেছে, সেই সময়ে এ রকম একটা সামাজিক ব্যবস্থার মধ্যে আমাদের দেশ স্বাধীন হলো। আমাদের দেশেও এই ধরনেরই একটা পুঁজিবাদী সামাজিক ব্যবস্থা আসলো। এই সামাজিক ব্যবস্থা যতদিন থাকবে ততদিন আমরা সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার এবং একই পদ্ধতির শিক্ষার জন্য সংগ্রাম করতে থাকবো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সমাজের আমূল পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই কেবল সেটির সর্বাত্মক প্রয়োজনীয়তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো।
বন্ধুগণ, এই দেশ পিছিয়ে পড়া একটি অনুন্নত দেশ, শিক্ষায়-দীক্ষায় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া দেশ। এখানে মানুষকে পথ দেখানোর ক্ষেত্রে ছাত্রদের একটা বিরাট ভূমিকা আছে। দেশে আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে, পুঁজিবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রেও একসময় এই ভূমিকা ছিলো। সেই পর্যায়ে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি আজকের যুগে বোঝার দরকার ছিলো, সেগুলি বোঝার সংগ্রাম সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য স্বাধীনতা আন্দোলনে যে নেতৃত্ব থাকা প্রয়োজন ছিলো, সেটা না থাকার জন্যে আমাদের বিশাল ছাত্র-যুবকগণ, তাদের আত্মাহুতি-আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশকে সমস্ত ধরনের অন্যায় থেকে মুক্ত করবে বলে যে সংগ্রাম শুরু করেছিলো, তা ব্যর্থ হয়ে গেলো। কারণ সর্বহারা শ্রেণীর বিপ্লবী পার্টি, সেই পার্টির বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ঘটনাসমূহকে বিচার করবার ক্ষমতা, সমাজের মধ্যে শ্রেণীগুলির অবস্থান, সেই শ্রেণীগুলির অবস্থানে শ্রেণী সংগ্রামের তীব্রতা বাড়াবার ক্ষমতা — এই সব প্রশ্নগুলি রিলেটেড বলে এগুলি সঠিকভাবে না দেখার জন্য স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বুর্জোয়ারা ক্ষমতায় আসলো এবং দেশে একটি বৈষম্যমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলো।

ফলে বন্ধুগণ, আমাদের বিশাল সামাজিক দায়িত্ব। এ শুধু বিভিন্ন ঘটনায়, বিভিন্ন রকমের ঘটনায়, যেগুলি বিভিন্ন সময় সামনে এসে দাঁড়ায়, সেগুলোতে শুধু প্রতিবাদ-প্রতিক্রিয়া দেখানো নয়, সেই সমস্ত সংগ্রামের মধ্যে আমাদের কমরেডদের শিক্ষা এমন হওয়া উচিত যে তারা প্রত্যেক ঘটনাকে সাধারণ ঘটনার সঙ্গে কো-অর্ডিনেট করতে পারে। এ সমাজের প্রত্যেক ঘটনা পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। মানুষের সামনে একের সাথে অন্যের সম্পর্ক আপনাদেরকেই তুলে ধরতে হবে। এতখানি উন্নত শিক্ষায় আপনাদের শিক্ষিত হতে হবে, যার মধ্য দিয়ে আপনারা এই সামাজিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মানুষকে সত্যিকারের অর্থে সমাজ সচেতন করতে পারবেন। শ্রেণীসংগ্রামের যে লক্ষ্যে আমরা বিপ্লবী রাজনীতি করি সে সংগ্রামকে তীব্রতর করতে পারবেন এবং তার যে যুক্তিসঙ্গত পরিণতি সমাজের আমূল পরিবর্তন — সেদিকে নিয়ে যেতে পারবেন। এই যে মূল লক্ষ্য এটাকে কেন্দ্র করেই শিক্ষাসংক্রান্ত প্রশ্নগুলিকে আলোচনা করতে হবে, বুঝতে হবে। কমরেড শিবদাস ঘোষের এ সম্পর্কে প্রিসাইজ কনক্রিট ফর্মে যে থিওরিটিক্যাল লেখাটি আছে তা ছোট, কিন্তু খুবই চমৎকার! একেবারে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানভিত্তিক যে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বজ্ঞান, সেটি যেভাবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে হয়, তিনি সেভাবে করেছেন এবং কার্যকরীভাবে একটা গাইডলাইন তৈরি করেছেন। এটি সামনে রেখেই আমরা এ পর্যন্ত এসেছি এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

এখনো দেশে যে ভয়াবহ সংকট, অপমান-অবমাননা-বঞ্চনা তার বিরুদ্ধে মানুষ আবার রুখে দাঁড়াবে, আবার রুখে দাঁড়াবার চেষ্টা করবে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ দিশেহারা। দুনিয়ার দিকে তাকালেও দেখবো যে অনেক বড় বড় আন্দোলন এ সময়ে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেগুলি সামাজিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে একটা ভিত্তি স্থাপনা করতে পারলো না, একটা সংগ্রামের ধারা তৈরি করে যেতে পারলো না। এতবড় আন্দোলনগুলি শেষপর্যন্ত হতাশায় নিমজ্জিত হলো। এর কারণ খুঁজলে দেখতে পাবেন সঠিক বিপ্লবী আদর্শ ও তার ভিত্তিতে সঠিক বিপ্লবী দলের অনুপস্থিতির কারণে এই আন্দোলনগুলো শেষ পর্যন্ত পথ পেলনা। আমাদের আন্দোলনও বিচ্ছিন্ন শিক্ষা আন্দোলন নয়, গোটা সমাজের পরিবর্তনের সাথে তা সম্পর্কিত। আমাদের কর্মীদেরও তাই শিক্ষা আন্দোলন পরিচালনার জন্য, বিপ্লবী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে চরিত্রের উচ্চমানে উঠবার জন্যে বিপ্লবী রাজনীতি বোঝার ক্ষেত্রে নিবিড়ভাবে নিজেদেরকে নিবেদিত করতে হবে, নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন এবং সামাজিক জীবনের মধ্যে যে নানা রকমের দ্বন্দ্ব সেগুলিকে সমাধান করে এগিয়ে যেতে হবে। সামাজিক প্রয়োজনই আজকে সবচেয়ে বড়, এছাড়া মানুষের আর বাঁচার উপায় নেই। সামাজিক প্রয়োজন ধারণ না করে ব্যক্তি তার স্বাধীনতাও সত্যিকার অর্থে অর্জন করতে পারবে না। অনেক পাগলামো করতে পারে, অনেক খামখেয়ালি করতে পারে, বিশৃঙ্খলভাবে ঘটনাসমূহের মধ্যে নিজের মনমাফিক কিছু করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু সব ব্যর্থ হয়ে যাবে। এই ব্যর্থতা কতগুলি ব্যক্তির ব্যর্থতা হিসেবে থাকে না। সমস্ত সমাজের মধ্যেই একটা হতাশা আনে। যখনই হতাশা আনে, তখন কিন্তু শ্রেণীবিভক্ত সমাজে হতাশাকে বুর্জোয়ারা তার নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে। সেই দিক থেকে শিক্ষা আন্দোলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সামাজিকভাবে বিপ্লবী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মানুষদের যে সচেতনতা, শিক্ষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেটা অনেক বেশি ব্যাপকভাবে সমাজের সামনে আনা যায়।

আরেকটি বিষয় মনে রাখবেন, আমরা শুধু যে কথা দিয়ে বুঝাবো তা নয়। আমাদের নিজেদের যে ব্যক্তিগত জীবন, চরিত্র — তা দিয়ে আমরা মানুষের মধ্যে আমাদের আদর্শের প্রভাব সৃষ্টি করবো। চরিত্রশক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুনিয়ায় সব সময় বড় আদর্শকে যারা বিশ্বাস করেছেন, প্রচার করেছেন- তাদের সকলেরই তদানীন্তন কালে সেই আদর্শকে ধারণ করার জন্য বিরাট চরিত্রশক্তি ছিল। এই সব দিকগুলি এই কয়েকদিনে আমরা যতখানি পারি আলোচনা করবো। কমরেড শিবদাস ঘোষের লেখার মধ্যে অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আলোচনা আছে। গত সেপ্টেম্বরে যে শিক্ষা কনভেনশন হয়েছিলো সেখানে আমি কিছু আলোচনা করেছিলাম। সেগুলিকে রিলেট করেও আলোচনা করবো। আমি আজকে এই সময়ে আর কথা না বাড়িয়ে আমাদের কমরেডদেরকে বলছি, যে গভীর ভাবনা-চিন্তার বিষয়গুলি নিয়ে তারা এখানে সমবেত হয়েছে সেগুলি যেন তারা মনোযোগের সঙ্গে চর্চা করে। আমি প্রতিদিন বিকেলবেলায় আসবো। আমার শরীরটাতো খুব ভাল নেই, কন্টিনিউয়াসলি এখানে বসে আপনাদের কথা শুনতে পারলে খুব ভাল হতো। কিন্তু শারীরিক কারণে এটা পারা মুশকিল। সারাদিন বসে থাকলে দেখা যাবে কথা বলার সময় আর পারছি না। একারণে আমাকে আপনাদের সকলেরই একটু সহায়তা করতে হবে। আমি ফিরে এসে কমরেডরা কি আলোচনা করলেন কিছু শুনবো। আর যেগুলি আমি মনে করি আপনাদের সামনে রাখা উচিত সেগুলি রাখবো। একথা বলে আজকের এই সভার উদ্বোধন ঘোষণা করে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।

(গত ২০ থেকে ২২ ডিসেম্বর ’১৬ ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট সেমিনার হলে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ৭ম কর্মী সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাসদ (মাকর্সবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী। উদ্বোধনী সেশনে প্রদত্ত তাঁর বক্তব্যটি আংশিক পরিমার্জনা করে এখানে প্রকাশিত হলো। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপত্র -অনুশীলন, ২য় বর্ষ ৪র্থ সংখ্যা প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি ২০১৬)

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments