Tuesday, March 19, 2024
Homeসাম্যবাদসাম্যবাদ - জানুয়ারি ২০১৮কার্ল মার্কস — ভ. ই. লেনিন

কার্ল মার্কস — ভ. ই. লেনিন

(এ বছর মহান দার্শনিক, সর্বহারা শ্রেণির নেতা ও শিক্ষক মহামতি কার্ল মার্কসের (৫ মে, ১৮১৮ — ১৪ মার্চ, ১৮৮৩) দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী। বিশ্বজুড়ে এই মহান মানুষটির শিক্ষা, জীবন সংগ্রাম নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীর মেহনতি-শোষিত মানুষের মুক্তি সংগ্রামের জন্য কার্ল মার্কসের চিন্তা অনুসরণ করা অবশ্য প্রয়োজনীয়। সেই প্রেক্ষাপটে আমাদের দল বাসদ (মার্কসবাদী) কার্ল মার্কসের জন্ম দ্বিশতবার্ষিকী উদ্যাপন এবং তাঁর নানা অবদান জনগণের মধ্যে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে। সাম্যবাদ-এর বিভিন্ন সংখ্যায় এ নিয়ে লেখা প্রকাশিত হবে। এবারের সংখ্যায় মহান রুশ বিপ্লবের রূপকার মহামতি ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের কার্ল মার্কসের জীবনী সম্পর্কিত প্রবন্ধের একটি অংশ উদ্ধৃত হলো।)
নতুন পঞ্জিকা অনুসারে ১৮১৮ সালের ৫ মে ত্রিয়ার শহরে (প্রাশিয়ার রাইন অঞ্চলে) কার্ল মার্কসের জন্ম হয়। তাঁর পিতা ছিলেন অ্যাডভোকেট, ইহুদি, ১৮২৪ সালে তিনি প্রটেস্ট্যান্ট ধর্ম গ্রহণ করেন। পরিবারটি ছিল সমৃদ্ধ ও সংস্কৃতিবান কিন্তু বিপ্লবী নয়। ত্রিয়ারের স্কুল থেকে পাশ করে মার্কস প্রথমে বন এবং পরে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ও আইনশাস্ত্র পড়েন। কিন্তু বিশেষ করে অধ্যয়ন করেন ইতিহাস ও দর্শন। ১৮৪১ সালে পাঠ সাঙ্গ করে এপিকিউরসের* দর্শন সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির থিসিস পেশ করেন। দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে মার্কস তখনো ছিলেন হেগেলপন্থী ভাববাদী। বার্লিনে তিনি ‘বামপন্থী হেগেলবাদী’ (ব্রুনো বাউয়ের প্রভৃতি) গোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগ রাখতেন। হেগেলের** দর্শন থেকে এঁরা নাস্তিক ও বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত টানার চেষ্টা করতেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে অধ্যাপক হবার আশায় মার্কস বন শহরে আসেন। কিন্তু সরকারের প্রতিক্রিয়াশীল নীতির ফলে (ওই সরকার ১৮৩২ সালে ল্যুদভিগ ফুয়েরবাখকে অধ্যাপক পদ থেকে বিতাড়িত করে ও ১৮৩৬ সালে ফের তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি দেয় না, ১৮৪১ সালে বন-এ তরুণ অধ্যাপক ব্রুনো বাউয়েরেরও বক্তৃতার অধিকার কেড়ে নেয়) মার্কস অধ্যাপক জীবন ছাড়তে বাধ্য হন। সে সময়ে জার্মানিতে বামপন্থী হেগেলবাদীদের মতামত অতিদ্রুত বিকশিত হয়ে উঠেছিল। ১৮৩৬ সালের পর থেকে ল্যুদভিগ ফুয়েরবাখ বিশেষ করে ধর্মতত্ত্বের সমালোচনা শুরু করেন এবং আকৃষ্ট হন বস্তুবাদের দিকে, যা ১৮৪১ সালে তাঁর মধ্যে (খ্রিস্টধর্মের সারমর্ম) প্রধান হয়ে ওঠে। ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর ‘ভবিষ্যৎ দর্শনশাস্ত্রের মূলসূত্র’। ফুয়েরবাখের এই সব রচনা সম্পর্কে এঙ্গেলস পরে লিখেছিলেন, ‘অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে এই সব বইয়ের ‘মুক্তি ক্রিয়া নিজের অভিজ্ঞতায় অনুভব করার মতো’। ‘আমরা সকলে (মার্কস সহ বামপন্থী হেগেলবাদীরা) তৎক্ষণাৎ ফুয়েরবাখপন্থী হয়ে গেলুম।’ এই সময় বামপন্থী হেগেলবাদীদের সঙ্গে যাঁদের কিছু মিল ছিল রাইন অঞ্চলের এমন কিছু র‍্যাডিকাল বুর্জোয়া কলোন শহরে Rheinishche Zeitung নামে সরকারবিরোধী একটি পত্রিকা স্থাপন করেন। মার্কস ও ব্রুনো বাউয়েরকে পত্রিকাটির প্রধান হবার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১৮৪২ সালের অক্টোবরে মার্কস পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক হয়ে বন থেকে কলোনে চলে আসেন। মার্কসের সম্পাদনায় পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক হয়ে বন থেকে কলোনে চলে আসেন। মার্কসের সম্পাদনায় পত্রিকাটির বিপ্লবী-গণতান্ত্রিক প্রবণতা উত্তরোত্তর স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে এবং সরকার পত্রিকাটির উপর প্রথমে দুই দফা ও তিন দফা সেন্সর ব্যবস্থা চাপায় এবং পরে ১৮৪৩ সালের মার্চ মাসে সেটি বন্ধ হয়ে গেল। … তাছাড়াও মোসেল উপত্যকায় আঙ্গুর চাষীদের অবস্থা সম্পর্কে একটি প্রবন্ধের উল্লেখ করেছেন এঙ্গেলস। পত্রিকার কাজ করে মার্কস বুঝলেন রাজনীতি-সংক্রান্ত অর্থশাস্ত্রের সঙ্গে তাঁর যথেষ্ট পরিচয় নেই, তাই এ বিষয়ে তিনি সাগ্রহে পড়াশুনা শুরু করলেন।

১৮৪৩ সালে ক্রয়েজনাখ শহরে মার্কস জেনি ফন ভেস্টফালেনকে বিয়ে করেন। জেনি তাঁর বাল্যসহচরী, ছাত্রাবস্থা থেকেই তাঁদের বাগদান হয়ে ছিল। মার্কসের স্ত্রী প্রাশিয়ার এক প্রতিক্রিয়াশীল অভিজাত পরিবারের মেয়ে। প্রাশিয়ার এক সর্বাধিক প্রতিক্রিয়াশীল যুগে, ১৮৫০-১৮৫৮ সালে এঁর বড়ো ভাই প্রাশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। … একটি র‍্যাডিকাল পত্রিকা বের করার জন্য মার্কস ১৮৪৩ সালের শরৎকালে প্যারিসে আসেন। Deutsch-Franzosische Jahrbucher নামে এই পত্রিকাটির শুধু একটি সংখ্যাই বের হয়েছিল। জার্মানিতে গোপন প্রচারের অসুবিধা এবং রুগের সঙ্গে মতান্তরের ফলে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়। এই পত্রিকায় মার্কস যে-সব প্রবন্ধ লিখেছিলেন তাতে তখনই তিনি আত্মপ্রকাশ করেন এমন এক বিপ্লবী রূপে যিনি বর্তমান সবকিছুর নির্মম সমালোচনা, বিশেষ করে অস্ত্রের সমালোচনা ঘোষণা করেছেন এবং আবেদন জানাচ্ছেন জনগণ ও প্রলেতারিয়েতের কাছে।

১৮৪৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্রেডারিক এঙ্গেলস কয়েক দিনের জন্যে প্যারিসে আসেন এবং তখন থেকে মার্কসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠেন। উভয়েই তাঁরা প্যারিসের তদানীন্তন বিপ্লবী গোষ্ঠীগুলোর উদ্দীপ্ত জীবনে অত্যন্ত সক্রিয় অংশ নেন এবং পেটি বুর্জোয়া সমাজতন্ত্র সংক্রান্ত নানাবিধ মতবাদের সঙ্গে প্রবল সংগ্রাম চালিয়ে বৈপ্লবিক প্রলেতারীয় সমাজতন্ত্র অথবা কমিউনিজমের তত্ত্ব ও রণকৌশল গড়ে তোলেন। প্রাশিয়ান সরকারের দাবিতে ১৮৪৮ সালে বিপজ্জনক বিপ্লবী বলে মার্কসকে প্যারিস থেকে বহিষ্কৃত করা হয়। অতঃপর ব্রাসেলসে আসেন মার্কস। ১৮৪৭ সালের বসন্তে তিনি ও এঙ্গেলস ‘কমিউনিস্ট লীগ’ নামে একটি গুপ্ত প্রচার সমিতিতে যোগ দেন, লীগের দ্বিতীয় কংগেসে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন এবং কংগ্রেস থেকে ভার পেয়ে সুপ্রসিদ্ধ ‘কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার’ রচনা করেন। ১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা প্রকাশিত হয়। প্রতিভাদীপ্ত স্বচ্ছতা ও উজ্জ্বলতায় এই রচনাটিতে রূপায়িত হয়েছে নতুন বিশ্ববীক্ষা, সমাজজীবনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য সুসঙ্গত বস্তুবাদ, বিকাশের সব থেকে সর্বাঙ্গীণ ও সুগভীর মতবাদ-দ্বান্দ্বিকতা, শ্রেণি-সংগ্রামের তত্ত্ব এবং নতুন কমিউনিস্ট সমাজের স্রষ্টা প্রলেতারিয়েতের বিশ্ব-ঐতিহাসিক বিপ্লবী ভূমিকার তত্ত্ব।

১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লব শুরু হলে মার্কস বেলজিয়াম থেকে নির্বাসিত হন। আবার তিনি প্যারিসে চলে এলেন এবং মার্চ বিপ্লবের পর ফিরে গেলেন জার্মানিতে, কলোন শহরেই। এইখানে প্রকাশিত হয় Neue Rheinische Zeitung পত্রিকা, ১৮৪৮ সালের ১ জুন থেকে ১৮৪৯ সালের ১৯ মে পর্যন্ত। মার্কস ছিলেন তাঁর প্রধান সম্পাদক। নতুন তত্ত্বের চমৎকার সমর্থন পাওয়া গেল ১৮৪৮-১৮৪৯ সালের বৈপ্লবিক ঘটনাস্রোতে, যেমন তা সমর্থিত হয়েছে পরবর্তীকালে পৃথিবীর সব দেশের সমস্ত প্রলেতারীয় ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে। প্রথমে বিজয়ী প্রতিবিপ্লব মার্কসকে আদালতে অভিযুক্ত করে এবং পরে নির্বাসিত করে জার্মানি থেকে। প্রথমে প্যারিসে গেলেন মার্কস, ১৮৪৯ সালের ১৩ জুনের মিছিলের পর সেখান থেকেও পুনরায় নির্বাসিত হয়ে লন্ডনে আসেন এবং সেখানেই বাকি জীবন কাটান।

মার্কসের নির্বাসিত জীবন অত্যন্ত কষ্টে কাটে, মার্কস-এঙ্গেলস পত্রাবলি (১৯১৩ সালে প্রকাশিত) থেকে তা বিশেষ পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে। অভাব-অনটনে মার্কস ও তাঁর পরিবার একেবারে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ওঠেন; এঙ্গেলসের নিরন্তর ও আত্মোৎসর্গী অর্থ সাহায্য না পেলে মার্কসের পক্ষে ‘পুঁজি’ বইখানি শেষ করা তো দূরের কথা, অভাবের তাড়নায় তিনি নিশ্চিতই মারা পড়তেন। তাছাড়া পেটি বুর্জোয়া সমাজতন্ত্রের সাধারণভাবে অপ্রলেতারীয় সমাজতন্ত্রের প্রাধান্যবিস্তারকারী মতবাদ ও ধারাগুলি মার্কসকে নিরন্তর কঠিন সংগ্রামে বাধ্য করেছে এবং মাঝে মাঝে অতি ক্ষিপ্ত বন্য ব্যক্তিগত আক্রমণও প্রতিহত করতে হয়েছে তাঁকে।

দেশান্তরী চক্রগুলি থেকে পৃথক হয়ে মার্কস তাঁর একাধিক ঐতিহাসিক রচনায় নিজের বস্তুবাদী তত্ত্ব নির্মাণ করেন এবং প্রধানত রাজনীতি সংক্রান্ত অর্থশাস্ত্রের চর্চায় আত্মনিয়োগ করেন। এই বিজ্ঞানটির ক্ষেত্রে মার্কস তাঁর ‘রাজনীতি সংক্রান্ত অর্থশাস্ত্রের সমালোচনা প্রসঙ্গে’ (১৮৫৯) এবং পুঁজি (প্রথম খন্ড, ১৮৬৭) রচনা করে বিপ্লব সাধন করেছেন।

৫০-এর দশকের শেষে ও ৬০-এর দশকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পুনরুজ্জীবনের যুগ মার্কসকে আবার প্রত্যক্ষ কার্যকলাপের মধ্যে টেনে নেয়। ১৮৬৪ সালে লন্ডনে বিখ্যাত প্রথম আন্তর্জাতিক বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। মার্কস ছিলেন এই সমিতির প্রাণস্বরূপ, তার প্রথম অভিভাষণ এবং বহুবিধ প্রস্তাব, ঘোষণা ও ইশতেহার তাঁরই রচনা। বিভিন্ন দেশের শ্রমিক আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ করে, বিভিন্ন ধরনের মার্কসপূর্ব অ-প্রলেতারীয় সমাজন্ত্রকে (মাতসিনি, প্রুধো, বাকুনিন, ইংল্যান্ডের উদারনৈতিক ট্রেড ইউনিয়নবাদ, জার্মানিতে লাসালপন্থীদের দোদুল্যমানতা) সংযুক্ত কার্যকলাপের পথে চালানোর চেষ্টা করে এবং এই সব সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগুলির মতবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে করতে মার্কস বিভিন্ন দেশের শ্রমিকশ্রেণির প্রলেতারীয় সংগ্রামের একটি একক রণকৌশল গড়ে তোলেন। যে প্যারিস কমিউনের অমন সুগভীর পরিষ্কার, চমৎকার, কার্যকর, বৈপ্লবিক মূল্যায়ন মার্কস উপস্থিত করেন। আন্তর্জাতিকের হেগ কংগ্রেসের পর মার্কস আন্তর্জাতিকে সাধারণ পরিষদকে নিউইয়র্কে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেন। প্রথম আন্তর্জাতিকের ঐতিহাসিক ভূমিকা শেষ হয়ে গিয়েছিল, পৃথিবীর সমস্ত দেশে শ্রমিক আন্দোলনের অপরিমেয় রকমের বৃদ্ধির একটা যুগের জন্যে, তার প্রসারবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন জাতীয় রাষ্ট্রের ভিত্তিতে ব্যাপক সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক পার্টি সৃষ্টির একটা যুগের জন্যেই তা পথ ছেড়ে দেয়।

আন্তর্জাতিকে প্রচুর কাজকর্ম এবং তত্ত্ব নিয়ে কাজের জন্যে কঠিনতর পরিশ্রমের ফলে মার্কসের স্বাস্থ্য চূড়ান্তভাবে ভেঙে গিয়েছিল। রাজনীতি সংক্রান্ত অর্থশাস্ত্রকে ঢেলে সাজানো এবং ‘পুঁজি’ বইখানি সম্পূর্ণ করার কাজ তিনি চালিয়ে যান, রাশি-রাশি নতুন তথ্য সংগ্রহ করেন ও একাধিক ভাষা (যথা রুশ) আয়ত্ত করেন। কিন্তু ভগ্নস্বাস্থ্যে ‘পুঁজি’ সম্পূর্ণ করা তাঁর আর হয়ে উঠল না।

১৮৮১ সালের ২ ডিসেম্বর তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। ১৮৮৩ সালের ১৪ মার্চ আরামকেদারায় বসে শান্তভাবে মার্কস তাঁর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। লন্ডনের হাইগেট সমাধিক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে একত্রে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। মার্কসের সন্তানদের মধ্যে কয়েকজন বাল্যাবস্থাতেই মারা যায় লন্ডনে, যখন চরম অভাবের মধ্যে পরিবারটি বাস করছিল, তখন। এলিওনর অ্যাভেলিং, ল্যরা লাফার্গ ও জেনি লোঙ্গে — মেয়েদের এই তিনজনের বিয়ে হয় ইংরেজ ও ফরাসি সমাজতন্ত্রীদের সঙ্গে। শেষোক্ত জনের পুত্র ফরাসি সোশালিস্ট পার্টির একজন সভ্য।

* এপিকিউরস প্রখ্যাত প্রাচীন গ্রিক বস্তুবাদী দার্শনিক ও নিরীশ্বরবাদী।
** গেওর্গ ভিলহেলম হেগেল (১৭৭০-১৮৩১) — খ্যাতকীর্তি জার্মান বিষয়মুখ ভাববাদী দার্শনিক। ভাববাদী দ্বন্দ্বতত্ত্বের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সাধন করেন।

সাম্যবাদ জানুয়ারি ২০১৮

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments