Tuesday, March 19, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি সংবাদসংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন করতে হবে

সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন করতে হবে

বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে নমনীয় হতে হবে। সরকারকে অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের গণদাবি মেনে নিতে হবে। সংসদের চলতি অধিবেশনে সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন করতে হবে। গণদাবি অগ্রাহ্য করা হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে।

তফসিল ঘোষণার আগেই জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া, বর্তমান সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, জনগণের আস্থাহীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ নির্বাচন ব্যবস্থান আমূল সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ২৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

দাবি মানা না হলে ২৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে বলে কর্মসূচি থেকে ঘোষণা করা হয়।
জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা আলমগীর হোসেন দুলাল, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক।

কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন নারী নেতৃবৃন্দের মধ্যে বহ্নিশিখা জামালী, সীমা দত্ত, শম্পা বসু, রাশেদা কুদ্দুস রানু, কৃষক-ক্ষেতমজুর নেতৃবৃন্দের মধ্যে অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, জাহিদ হোসেন খান, মোখলেসুর রহমান, মোতালেব হোসেন, শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে মাহবুবুল আলম, আব্দুর রাজ্জাক, আহসান হাবিব বুলবুল, শামীম ইমাম, বাচ্চু ভূঁইয়া, ইমরান হোসেন, ছাত্র নেতাদের মধ্যে জিলানী শুভ, ইমরান হাবিব রুমন, গোলাম মোস্তফা, রাশেদ শাহরিয়ার প্রমুখ। কর্মসূচিটি সঞ্চালনা করেন বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তার জন্য বাম জোটকে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠতে হবে। বামপন্থীদের ঐক্যকে আরও প্রসারিত করতে হবে। জনগণ বামপন্থীদের দিকে তাকিয়ে আছে।

সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, সরকার বলছে তাদের বিজয় নাকি নিশ্চিত, শুধু আনুষ্ঠানিকতাই বাকি। আসলে তারা ফাঁকা মাঠে গোল করতে চায়। নানা প্রহসনের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ‘ঐন্দ্রজালিক প্রহসন’। কিন্তু কোনো ছল-চাতুরি জনগণ মেনে নেবে না।

বাম জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে না গিয়ে সরকার দমন-পীড়ন বাড়াতে নতুন নতুন কালো আইন করছে। ভয়ার্ত শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ তৈরি করে সরকার জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করছে। নিপীড়নের পথ ত্যাগ করে সরকারকে গণদাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাই।

অন্য বক্তারা ফেনীতে গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments