Friday, April 19, 2024
Homeসাম্যবাদসাম্যবাদ - জুন-জুলাই ২০১৬সাম্যবাদ জুন - জুলাই ২০১৬ : আন্দোলন ও সংগঠন সংবাদ

সাম্যবাদ জুন – জুলাই ২০১৬ : আন্দোলন ও সংগঠন সংবাদ

কর বৃদ্ধির বাজেট জনজীবনে সংকট বাড়াবে — কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে আগামী অর্থ বছরের জন্য ঘোষিত বাজেটকে গণবিরোধী আখ্যায়িত করে বলেন, বাজেটে একদিকে নতি স্বীকার করে মালিকদের জন্য বিপুল কর ছাড়, পণ্যের দাম নির্ধারণে অবাধ লাইসেন্স, অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। আর অন্যদিকে কর বৃদ্ধি, ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি ও জনগুরুত্বসম্পন্ন খাতে অপ্রতুল বরাদ্দ প্রচলিত শোষণ-বৈষম্যের ধারাকে আরো তীব্র করে জনগণের জীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ নামিয়ে আনবে। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভোটারবিহীন তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধ এ সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই, একতরফা ও আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রণীত এ বাজেটে জনজীবনের সংকট নিরসনের কোনো পরিকল্পনা নেই। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নামে শিল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে একদিকে কৃষি জমি ধ্বংস ও বসতি উচ্ছেদের মাধ্যমে জনগণের জীবন-জীবিকা ধ্বংস, অন্যদিকে তথাকথিত কর্মসংস্থানের গালভরা বুলির আড়ালে দেশি-বিদেশি মালিকদের লুটপাট পাকাপোক্ত করে তোলা হচ্ছে। কৃষিখাতে বরাদ্দ খোদ কৃষকের কাছে পৌঁছানোর কোনো ব্যবস্থা নেই অথচ ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া কৃষকের জীবনে কৃষির উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি রোধসহ আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সামান্য ভরসার কোনো প্রতিফলন এ বাজেটে নেই। তিনি বলেন, সরকার মেগা প্রকল্পের নামে যে বিপুল বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে তাতে একদিকে মেগা দুর্নীতি যুক্ত অন্যদিকে তথাকথিত উন্নয়নের নামে সেতু, ফ্লাইওভার, যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির তথাকথিত উন্নয়নের নামে জীবন ধ্বংসকারী এসব গণবিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে গড়ে উঠা জন আকাক্সক্ষাকে চূড়ান্তভাবে অবজ্ঞা করা হচ্ছে। সরকার বিপুল অর্থ পাচার রোধ, পাচারকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি বিধান, খেলাপি ঋণ আদায়ের উদ্যোগ না নিয়ে অভ্যন্তরীণ ঋণের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের যে প্রস্তাবনা করা হয়েছে তা জনগণের উপর দায়ভার চাপানো এবং ধনী তোষণ ও অপরাধীদের ছাড় দেয়ার সামিল। তিনি এই গণবিরোধী বাজেট বাতিলের দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

রেডিমেড দর্জি শ্রমিকদের ধর্মঘটের মুখে মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা

শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের আন্দোলনের বিজয়

2 (2)

রেডিমেড দর্জি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সদরঘাটের লেডিস মার্কেট ও ইস্ট বেঙ্গল মার্কেটে গত ১৮ মে সর্বাত্মক ধর্মঘটের মুখে শার্টের সেলাই মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছে মালিকপক্ষ। প্লেন ফুল শার্ট সেলাই মজুরি ৩০ টাকা ও হাফ শার্টে ২৫ টাকা মজুরীর দাবি না মানায় শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়। ১৮ মে সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা লেডিস মার্কেটের সামনে এসে জড়ো হয়। লেডিস মার্কেটের মূল গেট বন্ধ করে শত শত শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। মিছিলে- স্লোগানে শ্রমিকরা তাদের দাবির কথা জানাতে থাকে। এক পর্যায়ে মালিক পক্ষ এসে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে তারা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। পুলিশ এসে তাদের কয়েকবার তুলে দিতে চেষ্টা করলেও শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান অটুট রাখে। অবশেষে প্রতি শার্টের সেলাই মজুরি ২ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয় ও ওইদিন রাত থেকে তা কার্যকরের ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। উল্লেখ্য, শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সদরঘাট থেকে পদযাত্রা করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৬ মার্চ সদরঘাট এলাকায় মিছিল-সমাবেশ করে লেডিস মার্কেট দোকান মালিক সমিতি বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। ধর্মঘট চলাকালে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সূত্রাপুর থানা সংগঠক রাজীব চক্রবর্তী, ছাত্র নেতা মাসুদ রানা, দর্জি শ্রমিক নেতা আবির মাহমুদ, ইদ্রিস আলী, কালাম ব্যাপারী, মো. আনোয়ার, ইউনুস হোসেন, আফজাল হোসেন প্রমুখ।

যশোর: বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের অধিভুক্ত দর্জি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বে যশোরের অভয়নগর উপজেলার নোয়াপাড়ায় দর্জি শ্রমিকদের ১৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ১৫ জুন লাগাতার ধর্মঘট শুরু হয়। ধর্মঘটে দর্জি শ্রমিকরা স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। ধর্মঘটের মুখে মালিকপক্ষ বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের মজুরি ও বোনাস ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করে। ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেন শ্রমিক নেতা কিশোর অধিকারী ও রিপন আহমেদ।

শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২৫ ভাগ বরাদ্দ ও শিক্ষা আইন বাতিলের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২৫ ভাগ বরাদ্দ ও অগণতান্ত্রিক শিক্ষা আইন ২০১৬ বাতিলের দাবিতে ২ জুন দুপুর ১২ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ শেষে উক্ত দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্তী রিন্টু, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সত্যজিৎ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা ও অর্থ সম্পাদক শরীফুল চৌধুরী। সমাবেশ পরিচালনা করেন দপ্তর সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজ ২ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপিত হবে। আমাদের সংগঠনসহ অন্যান্য বাম সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন থেকেই জাতীয় বাজেটের ২৫ ভাগ শিক্ষাখাতে বরাদ্দের দাবি করে এসেছে। কিন্তু আজও সে দাবির প্রতিফলন আমরা দেখতে পাইনি। বরং স্বাধীনতার পর ক্রমাগত এই গুরুত্বপূর্ণ খাতে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ কমেছে। ১৯৭২ সালে জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল ২১ ভাগ। সর্বশেষ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে ১০.৭ শতাংশে। বলা হচ্ছে যে, দেশের জিডিপি বাড়ছে কিন্তু জিডিপি বাড়ছে যাদের শ্রমে-ঘামে, তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি বাজেটে গুরুত্ব পাচ্ছে কি? শিক্ষাখাতে জিডিপির শতাংশের বরাদ্দের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮ তম। ফলে এই ৪৫ বছরে শিক্ষায় রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ কম হওয়ায়, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে না উঠায় ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ক্রমাগত বেসরকারি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ‘জাতীয় শিক্ষানীতি- ২০১০’ প্রণয়ন করে। সেই সময়ই আমরা বলেছিলাম এই শিক্ষানীতি শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ-বেসরকারিকরণকে ত্বরান্বিত করবে। গত কয়েক বছরে প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে কয়েক গুণ ফি বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে আমাদের আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। সেই শিক্ষানীতির উপর ভিত্তি করেই সরকার এবার শিক্ষা আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে এই আইনেও ছাত্রস্বার্থবিরোধী অনেক বিধান যুক্ত করা হয়েছে। তাই আমরা শিক্ষার গণতান্ত্রিক অধিকারহরণকারী এই শিক্ষা আইন বাতিলের দাবি করছি। বক্তারা আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু ও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের বিধান রাখা হয়েছে। যা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে। যদিও এই প্রক্রিয়া চলমান কিন্তু আইনসঙ্গত হওয়ার ফলে তা আরও ত্বরান্বিত হবে। উচ্চশিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে সাধারণ মানুষ। বাস্তবে এই শিক্ষা আইন শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠ- ার বদলে শিক্ষার অধিকার আরও হরণ করবে। তেমনি বিদ্যমান শিক্ষার সংকটও দূরীভূত হবে না। শিক্ষা আইনে শিক্ষার সংকট দূরীকরণে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা নেই। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনায় সরকারের করণীয় কী সে বিষয়টি সযতেœ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। নোট বা গাইড বই প্রকাশের ক্ষেত্রেও লঘু দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত প্রশাসনে এটাও কার্যকরী হবে কি’না সেটা সংশয়ের উর্দ্ধে নয়। সর্বোপরি এই শিক্ষা আইনে এদেশের ছাত্রসমাজের আকাঙ্খার কোনো প্রতিফলন নেই। শিক্ষার সংকট নিরসনে কার্যকর কোনো প্রস্তাবনা নেই। তাই অবিলম্বে শিক্ষার অধিকার হরণের জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ ও এর উপর ভিত্তি করে প্রণীত শিক্ষা আইন বাতিল করে শিক্ষার সামগ্রিক সংকট নিরসনে জাতীয় বাজেটের ২৫ ভাগ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করতে হবে।

তনু হত্যার দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন বাতিলের দাবি বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের

13467452_625579957605925_231086101_o

তনু হত্যার বিচার, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন বাতিল এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ ও মেডিকেল বোর্ডের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ১৪ জুন বিকাল ৪ টায় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের বিক্ষোভসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন, বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মনিদীপা ভট্টাচার্য, অর্থ সম্পাদক তাছলিমা আক্তার বিউটি।

২০১৬ সালের মধ্যে পিইসি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে অভিভাবকরা সোচ্চার

২০১৬ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সোচ্চার। এ দাবিতে গত ৫ জুন রবিবার সকাল ৮টায় বেইলি রোডে ভিকারুন নিসা নূন স্কুলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন অভিভাবক আসাদুজ্জামান, সালমা আক্তার, সুফিয়া মাজহান, আনোয়ার হোসেন, মলয় সরকার প্রমুখ।

করবৃদ্ধি-লুটপাটের বাজেট প্রত্যাখ্যান ও রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম মোর্চার বিক্ষোভ

13394165_1018046594969060_7680316627473492648_n

সদ্যঘোষিত জাতীয় বাজেট প্রত্যাখ্যান করে এবং রমজান মাসকে অজুহাত করে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করার দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে ৫ জুন রবিবার বিকাল ৫ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য মানস নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাসদ (মাহবুব)-র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ইয়াসিন মিয়া, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

২০ মে চা শ্রমিক দিবসে চা শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

২০ মে মহান চা শ্রমিক দিবস। আজ থেকে ৯৫ বছর আগে ১৯২১ সালে তৎকালীন বৃটিশ মালিক শ্রেণীর সীমাহীন শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার চা শ্রমিক পন্ডিত দেওশরণ ও গঙ্গাদয়াল দীক্ষিতের নেতৃত্বে নিজ বাসভূমে ফিরে যেতে ঐতিহাসিক ‘মুল্লুক চল’ আন্দোলন করেছিল। রেল লাইনে রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে চাঁদপুর মেঘনা ঘাটে পৌঁছে স্টিমারে উঠতে চাইলে বৃটিশ সরকার ও মালিক পক্ষের লেলিয়ে দেওয়া গোর্খা বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালালে শত শত চা শ্রমিক নিহত হয়। এই দিনটি হয়ে ওঠে চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দিন। ‘মুল্লুক চল’ আন্দোলনের সেই সংগ্রামী চেতনাকে ধারণ করে চা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত, ২০ মে কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চা শ্রমিক দিবস ঘোষণা করাসহ ১০ দফা দাবিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে চা শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ২০ মে দুপুর ৩টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হৃদেশ মুদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চা শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জহিরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়, শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন জেলা আহ্বায়ক সুশান্ত সিন্হা, সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।

চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ১ম শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী শিক্ষাশিবির ও কর্মশালা গত ১০-১১ জুন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষাশিবির ও কর্মশালা পরিচালনা করেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য সোমা। এতে আলোচনা করেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল(মার্কসবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী। তিনি বর্তমান পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় সামাজিক-সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের চিত্র তুলে ধরে আজকের দিনে শিল্পী-সাহিত্যিকদের করণীয় প্রসঙ্গে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “আমাদের সমাজ সকল দিক থেকে শ্রেণী বিভক্ত সমাজ। শোষক শ্রেণী আর শোষিত শ্রেণীতে। শোষক শ্রেণী মানুষকে তার আধিপত্যে রাখবার জন্য তার স্বার্থভিত্তিক ভাবাদর্শ তৈরি করেছে।…আমরা এসেছি মধ্যবিত্ত শ্রেণী থেকে, আমরা সর্বহারা শ্রেণীর পার্টি গড়ে তোলার চেষ্টা করছি, জীবনকে প্রভাবিত করার জন্য গণসংগঠন গড়ে তুলে কাজ করার চেষ্টা করছি।…রাজনৈতিক সংগ্রামে থেকেই এই সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সর্বহারা শ্রেণীর আদর্শ ধারণ ছাড়া সর্বহারা সংস্কৃতি তৈরি হবে না।…আমরা যে আদর্শ নিয়ে লড়ছি তা সমাজে প্রতিষ্ঠিত নয়। শত্রুর বিরুদ্ধে মানুষকে জাগিয়ে তোলা, জরাজীর্ণ সমাজকে ভাঙার গান, নাটক তৈরি করতে হবে। মানুষের মননশীলতার বিচিত্র রূপ আমাদের জানতে হবে…যৌথস্বার্থের জয়গান প্রকাশ হবে গান, কবিতা, নাটকের মধ্য দিয়ে। প্রত্যেক আন্দোলনকেই উৎসাহমথিত করতে সাংস্কৃতিক সংগঠনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই সমাজ প্রগতির আন্দোলনকে সুতীব্র করার লক্ষ্যে উন্নত নৈতিক শক্তি ধারণ করে সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।”

সংগীতের উৎপত্তি ও ইতিহাস, ধ্বনি ও উচ্চারণ, তাল ও ছন্দ প্রভৃতি বিষয়ের উপর কর্মশালা পরিচালনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় ইনচার্জ ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য সোমা। সর্বহারার মহান নেতা কমরেড শিবদাস ঘোষের ‘সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রতি’ পুস্তিকার উপর পরিচালিত এই শিক্ষা শিবিরের বিভিন্ন পর্বে উপস্থিত ছিলেন বাসদ(মার্কসবাদী)- কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড মঞ্জুরা হক নীলা, কমরেড মানস নন্দী, কমরেড উজ্জ্বল রায়, কমরেড ফখরুদ্দিন কবির আতিক। চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কর্মীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শিক্ষাশিবির সমাপ্ত হয়।

কমরেড বোধিসত্ত্ব চাকমা স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত

বোধিসত্ত্ব চাকমাসদ্যপ্রয়াত বাসদ (মার্কসবাদী) রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সমন্বয়ক বোধিসত্ত্ব চাকমার স্মরণে শোকসভা গত ২৭ মে বিকাল ৬টায় তোপখানা রোডস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন ও মূল বক্তব্য রাখেন পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী। আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড্স মানস নন্দী, উজ্জ্বল রায়, মঞ্জুরা হক নীলা।

কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বোধিসত্ত্ব চাকমা ছিলেন সংহত ব্যক্তিত্বের অধিকারী। মানুষ যখন আদর্শের প্রতি নিজেকে নিবেদিত করে অনুশীলনে ব্রতী হয়, তখন ব্যক্তিত্বের মধ্যে তার ছাপ ফুটে ওঠে। নিপীড়িত মানুষের প্রতি ভালোবাসা, তাদের দুঃখ-কষ্টের কার্যকারণ উপলব্ধি একদিন বোধিসত্ত্বকে মার্কসবাদী বিপ্লবী রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট করেছিল। পার্বত্য এলাকায় শাসকশ্রেণীর দীর্ঘদিনের অত্যাচার-নিপীড়ন, তার পাল্টা হিসেবে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র লড়াই চলাকালীন জটিল পরিস্থিতিতে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর একজন হয়ে মার্কসবাদী বিপ্লবী রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া সহজ বিষয় ছিল না। তিনি ১৯৯২ সালে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট রাঙ্গামাটি কলেজ কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি হওয়ার পর পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর মধ্যে নানা বিভাজন, শাসকশ্রেণীর মদদে পাহাড়ী-বাঙ্গালী সাম্প্রদায়িক উস্কানি চলতে থাকে। এরকম পরিস্থিতিতে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও জনসংহতি সমিতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করলেও পার্টির সাথে আদর্শগত সম্পর্কে ছেদ ঘটেনি। পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে সবসময় পার্টির সাথে দৃষ্টিভঙ্গি-মূল্যায়ন বিনিময় করেছেন। পরবর্তীতে শাসকগোষ্ঠীর উস্কানিতে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত আরো জটিল রূপ নিলে রাজনীতির সে পথটির আভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে তার প্রশ্ন তৈরি হয়। জাতি সমস্যা সমাধানের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি কি হবে – এসব প্রশ্ন ও অনুসন্ধানের পথ পরিক্রমায় আঞ্চলিক সংগঠনে নিস্ক্রিয় হয়ে পুনরায় পার্টি রাজনীতিতে সক্রিয় হন ২০১১ সাল থেকে। ২০১৩ সালে দলের অভ্যন্তরে মতবাদিক সংগ্রাম চলাকালে পার্টির তৎকালীন নেতৃত্বের শোধনবাদী অবস্থান প্রত্যাখ্যান করে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-শিবদাস ঘোষে র চিন্তাধারার ভিত্তিতে দলের আদর্শিক অবস্থানের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে পার্টি রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সমন্বয়কের দায়িত্ব নেন। এই দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় আমাদের মত দলের দায়িত্ব নেয়া, ক্রমাগত নিজেকে প্রস্তুত করা যথার্থ রাজনৈতিক উপলব্ধির গভীরতা ছাড়া সম্ভব ছিল না।” তিনি আরো বলেন, “বোধিসত্ত্ব স্পষ্টভাবে বুঝেছিলেন – বিদ্যমান ব্যক্তিমালিকানাধীন সমাজব্যবস্থা মানুষের মধ্যে নানা ব্যক্তিকেন্দ্রিক মনোভাব ও সংস্কৃতির যে পরিমন্ডল গড়ে তোলে, তাকে মোকাবেলা করতে হলে সমষ্টি তথা পার্টিস্বার্থের সাথে নিজেকে একাত্ম করতে হয়। শুধু ঐকান্তি—ক ইচ্ছা ও সততা দিয়ে এটি সম্ভব নয়। এ কঠিন কাজটি সঠিক পথে অনুশীলনের মধ্য দিয়ে রপ্ত করতে হয়। বোধিসত্ত্ব এ সংগ্রামের একজন অনুধ্যানী ছাত্র ছিলেন। সৌম্য শান্ত অথচ দৃঢ় মনোভাবাপন্ন বোধিসত্ত্বর ব্যক্তিগত গুণের আলোচনার মাধ্যমে প্রত্যেক কমরেড নিজেকে এই সংগ্রামে নিবিড়ভাবে নিবেদিত করার মাধ্যমেই সত্যিকার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন সম্ভব হবে। তাঁর মৃত্যুতে যে বড় ক্ষতি হলো সকলের সম্মিলিত সংগ্রামে তা পূরণ করা হোক আমাদের ব্রত।” কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল গাওয়ার মাধ্যমে স্মরণ সভা সমাপ্ত হয়।

রাঙামাটিতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

IMG_20160610_111004

বাসদ (মার্কসবাদী) রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে কমরেড বোধিসত্ত্ব চাকমা স্মরণে ১০ মে বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিশিষ্ট রাজনৈতিক, সামাজিক , সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পার্টি সংগঠক কলিন চাকমা। বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড মানস নন্দী, কমরেড উজ্জ্বল রায়, খাগড়াছড়ি জেলা সমন্বয়ক কমরেড জাহেদ আহমেদ টুটুল, বিশিষ্ট শিক্ষক ও জ্াক এর নীতি নির্ধারণী কমিটির সদস্য শিশির চাকমা, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয়কেতন চাকমা, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুনীল কান্তি দে। স্মরণ সভা পরিচালনা করেন জেলা সংগঠক আশাধন চাকমা।

গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবনা বাতিলের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি পেশ

“নতুন করে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবনা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, কারণ বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ অনেক কমেছে। অথচ, বিদ্যুতের দাম কমানোর বদলে উল্টো বাড়ানো হচ্ছে। আর, গ্যাস আমাদের নিজস্ব সম্পদ ও লাভজনক খাত, এর দাম দফায় দফায় বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। সকলের মতামত উপেক্ষা করে দাম বাড়ানোর উদ্যোগ মহাজোট সরকারের চরম স্বৈরতান্ত্রিক ও গণবিরোধী চরিত্রের পরিচায়ক।” গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবনা বাতিলের দাবিতে বাসদ (মার্কসবাদী)-র উদ্যোগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি পেশের পূর্বে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। পার্টি ঘোষিত ১১-২৫ মে ‘দাবি পক্ষ’-এর অংশ হিসেবে ২২ মে সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মানস নন্দী, জহিরুল ইসলাম, ওবায়দুল্লাহ্ মুসা, ফখ্রুদ্দিন কবির আতিক, সাইফুজ্জামান সাকন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সচিবালয়ের সামনে গেলে পুলিশী বাঁধার মুখে পড়ে। সেখান থেকে একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তাঁর একান্ত সচিবের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ

রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও সম্প্রতি ঘোষিত বাজেট গণবিরোধী দাবী করে নোয়াখালীতে মানববন্ধনসমাবেশ হয়েছে। গত ৯ জুন বেলা সাড়ে ১১টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে বাসদ (মার্কসবাদী) নোয়াখালী জেলা শাখা এ কর্মসূচি পালন করে।। সমাবেশে দলের জেলা আহ্বায়ক দলিলুর রহমান দুলালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের আহ্বায়ক তারকেশ্বর দেবনাথ নান্টু, বিটুল তালুকদার, মোবারক করিম প্রমুখ। এ সময় বক্তারা রমজানকে পুঁজি করে যেসব অসাধু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ গ্রহণের দাবী জানান। একই সাথে দেশের সর্বত্র নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

উন্নয়ন বাজেটের ৪০% কৃষিখাতে বরাদ্দের দাবিতে জেলায় জেলায় স্মারকলিপি পেশ

উন্নয়ন বাজেটের ৪০% কৃষিখাতে বরাদ্দ ও সরকার ঘোষিত ৯২০ টাকা মণ দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট ২ জুন সকাল ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) দিনাজপুর জেলার সমন্বয়ক রেজাউল ইসলাম সবুজ, কৃষক ফ্রন্ট-এর জেলা সংগঠক অনুপ বিশ্বাস প্রমুখ। সমাবেশ শেষে এক প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। উল্লেখ্য যে, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালিত হয়। একই দিন রংপুর, গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।

শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন-এর ২য় কেন্দ্রীয় শিক্ষা শিবির ২৭ ও ২৮ মে দুইদিনব্যাপী তোপখানা রোডস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তন ও সংগঠন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারাদেশ থেকে শ্রমিক ফেডারেশনের নির্ধারিত সংগঠকরা এই শিক্ষাশিবিরে অংশগ্রহণ করেছেন। শিক্ষাশিবিরের আলোচ্য বিষয় ছিল Ñ ‘সর্বহারা রুচি-সংস্কৃ তি শ্রমিকদের কাছে নিয়ে যেতে হবে’ শীর্ষক কমরেড শিবদাস ঘোষের পুস্তিকা, শ্রমনীতি ও ন্যূনতম জাতীয় মজুরি প্রসঙ্গে এবং সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা ও সমস্যাদি। দেশের বিভিন্ন জেলার সংগঠকরা এসব বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষাশিবিরে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল রায়। শিক্ষাশিবিরের সমাপনী সেশনে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও শ্রমিক আন্দোলনের সংগঠকদের করণীয় প্রসঙ্গে আলোচনা করেন বাসদ(মার্কসবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী।

তনু হত্যা, বর্ষবরণে নারী লাঞ্চনার বিচারসহ ৫ দফা দাবিতে নারীমুক্তি কেন্দ্রের দেশব্যাপী স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান

তনুহত্যার বিচার, বর্ষবরণে নারী লাঞ্ছনাসহ ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী গণসাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে। গত ৬ মে ঢাকার শাহবাগে কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত। সংগঠনের ঢাকা নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক তাসলিমা নাজনীন সুরভীর পরিচালনা অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা আক্তার রুবি। চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সুস্মিতা রায় সুপ্তি।

মহান মে দিবস পালিত

মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) ও বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে ১ মে সকাল ১০টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এক মিছিল বের হয়ে পল্টন, প্রেসক্লাব হয়ে আবার সংগঠন কার্যালয়ের নিচে এসে শেষ হয়। ফখরুদ্দিন কবির আতিকের সভাপতিত্বে মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জহিরুল ইসলাম, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য উজ্জল রায়, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন নেতা ডা. মুজিবুল হক আরজু, রেডিমেড দর্জি শ্রমিকনেতা ইদ্রিস আলী, পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্য সচিব মানিক হোসেন, প্রাইভেট গাড়ী চালক ইউনিয়নের আহ্বায়ক মামুন মিয়া, নির্মাণ শ্রমিক রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ। পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ্ (ভিক্টোরিয়া) পার্কে ৮ মে বিকাল সাড়ে ৪টায় শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। থানা সংগঠক রাজীব চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক কিশোর সরকারের পরিচালনায় সভায় আলোচনা করেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল রায়, সাইফুজ্জামান সাকন, পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক জামিল ভূইঁয়া, মানিক হোসেন, রেডিমেড দর্জি শ্রমিকনেতা ইদ্রিস আলী, আবির মাহমুদ প্রমুখ। আলোচনা সভার শুরুতে গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

এছাড়াও রংপুর, সিলেট, ফেনী খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মহান মে দিবস পালিত হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কমিটি গঠিত

গত ২৭ মে ২০১৬ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফ্রন্টের ষোড়শ কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে সংগঠনের সপ্তদশ কমিটি গঠিত হয়। ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কমন রুমে আলোচনা সভা ও কমিটি পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটি পরিচিতি সভায় উপস্থিত ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য সাইফুজ্জামান সাকন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু। আলোচনা সভা শেষে মশিউর রহমানকে আহ্বায়ক ও মাহাথির মুহাম্মদকে সাধারণ সম্পাদক করে সদ্য গঠিত ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।

সাম্যবাদ জুন-জুলাই ২০১৬

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments