Friday, April 19, 2024
Homeছাত্র ফ্রন্ট১২ মে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রধর্মঘটের সমর্থনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মিছিল-সমাবেশ

১২ মে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রধর্মঘটের সমর্থনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মিছিল-সমাবেশ

SSF_11.05.15

১০ মে ২০১৫ বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ডিএমপি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের নৃশংস হামলা, পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সংগঠিত যৌন নিপীড়নের ঘটনার সাথে দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার, ঘটনাস্থলের নিস্ক্রিয় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র জোট এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের ডাকা সারা দেশের সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘটের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ১১ মে দুপুর ১২ টায় মিছিল-সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকন, সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রী চক্রবর্ত্তী রিন্টু, দপ্তর সম্পাদক শরীফুল চৌধুরী, সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাশেদ শাহরিয়ার, সাধারণ সম্পাদক ইভা মজুমদার।

নেতৃবৃন্দ বলেন, নারী নিগ্রহের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনে গতকাল ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি হাসান তারেকসহ ৩৪ জন নেতা-কর্মীকে গুরুতর আহত করা হয়েছে, ৫ জনকে পুলিশ আটক করেছে। এই সময় অনেক নারী কর্মী পুলিশের বর্বর আক্রমণের শিকার হয়েছেন। নারী লাঞ্ছনার বিচার করতে পারেনি যে পুলিশসহ রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাদের হাতেই লাঞ্ছিত হয়েছে আমাদের বোনেরা। এ ঘটনা প্রমাণ করেছে পুলিশ হলো নারী লাঞ্ছনাকারীদের মদতদাতা এবং নিজেরাও এই কর্মকান্ডে যুক্ত। আমরা সংবাদ সম্মেলন থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।

নেতৃবৃন্দ সারাদেশের ছাত্রসমাজের প্রতি ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানান। সেই সাথে ধর্মঘটের প্রচার করতে গিয়ে সংগঠনের খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক সুজয় সাম্যকে হামলার সাথে জড়িত ছাত্র লীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার টিএসসির রাস্তায় ভীড়ের সুযোগে একদল সংঘবদ্ধ যৌন নিপীড়ক পরিকল্পিতভাবে নারীদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার ২৭ দিন অতিবাহিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন দোষীদের রক্ষাকারীর ভূমিকা পালন করেছে।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments