Thursday, December 26, 2024
Homeফিচারযুদ্ধের উপর দাঁড়ানো আমেরিকার অর্থনীতি, ট্রাম্প বলছেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন

যুদ্ধের উপর দাঁড়ানো আমেরিকার অর্থনীতি, ট্রাম্প বলছেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন

“যুক্তরাষ্ট্র কখনো যুদ্ধকে সমর্থন করে না।” বিজয় ভাষণে বলেছেন আমেরিকার সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি বিশ্বে চলমান। সব যুদ্ধ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প এমন সময় ঘোষণাটি দিলেন, যখন তিন ধরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে। প্যালেস্টাইনে নতুন করে ইসরায়েলের ভয়াবহ রক্তাক্ত আগ্রাসন ও গণহত্যা চলছে গত এক বছর ধরে। ফিলিস্তিনিদের নিজ দেশ ও তুমি থেকে সমূলে উচ্ছেদ ও নির্মূল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল এ জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল সে হামলা আরো তীব্র করেছে। বছর ১ মাসের আগ্রাসনে নিহত হয়েছে ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে লাখের বেশি। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলছে, গত মাসে গাজায় যারা নিহত হয়েছে, তার ৭০ ভাগই নারী ও শিশু। সংস্থাটি বলছে, এদের ৮০ ভাগই আবাসিক বিল্ডিং বা একই ধরণের থাকার জায়গার উপর হামলায় নিহত হয়েছে। যুদ্ধের সমস্ত নিয়ম ভেঙ্গে গাজার হাসপাতালে, জাতিসংঘ শরণার্থী শিবিরে মিসাইল ছুড়ছে ইসরায়েল। গাজায় যুদ্ধ নয়, চলছে নির্বিচারে, পরিকল্পিত গণহত্যা। চলছে বিশ্বের মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনকে মুছে দেয়ার চেষ্টা।

সম্প্রতি ফিলিস্তিনের অধীনতার সমর্থক হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীকে নির্মূলের নামে লেবাননেও আগ্রাসন শুরু করেছে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে হত্যা করেছে প্রায় তিন হাজার লেবানিজকে। হামলা চালিয়েছে ইরান ও সিরিয়ায়। জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক আইন, বিশ্ব জনমত কোনকিছুকেই ইসরায়েল তোয়াক্কা করছেনা। ইসরায়েলকে অস্ত্র অর্থ, সমর্থন দিয়ে দিচ্ছে সাম্রাজ্যবাদের শিরোমণি আমেরিকা। এই সেপ্টেম্বরে আমেরিকা ইসরায়েলের জন্য ৮.৭ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ অনুমোদন করেছে। এ নিয়ে গত একবছরে আমেরিকা ইসরায়েলকে ১৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে।

অন্যদিকে ২০২২ সাল থেকে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোন লক্ষণ নেই। এ যুদ্ধ শুরু হয় ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ হলেও, ইউক্রেনকে সামনে রেখে রাশিয়ার সাথে ছায়াযুদ্ধ করছে বাস্তবে আমেরিকা, যুদ্ধজোট ন্যাটোকে সাথে নিয়ে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে ৬১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও অন্যান্য সহযোগিতা দিয়েছে আমেরিকা।

অন্যদিকে তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিরুদ্ধে নতুন করে এ অঞ্চলে যুদ্ধোন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। নতুন করে তাইওয়ানের কাছে ৪৪০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করবে আমেরিকা। অর্থাৎ বিশ্বজুড়েই যুদ্ধ, যুদ্ধ উন্মাদনা সৃষ্টি ও চক্রান্তের পেছনে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধবাজ আমেরিকা যুক্ত। ফলে আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সব ধরণের যুদ্ধ বন্ধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা যথেষ্ট কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ট্রাম্প কীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করবেন- সেরকম কোন পরিকল্পনা হাজির করেননি।

অনেকে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, ট্রাম্প তার যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন, অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ হবে, বিশ্বের সব যুদ্ধ বন্ধ হয়ে শান্তির সুবাতাস বইবে ইত্যাদি। এটা ঠিক, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প আন্তরিক হলে ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটাতে পারেন। কিন্তু সেজন্য আমেরিকার আগে ইসরাইলকে অস্ত্র ও অর্থ সহযোগিতা দেওয়া বন্ধ করতে হবে, যার বোঝা সাধারণ মানুষকেই বইতে হয়। ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনের দখলকৃত ভূমি ফেরত, অবৈধ ইহুদি বসতি উচ্ছেদ, ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণ ও দখলমুক্ত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি দেওয়া ছাড়া প্যালেস্টাইন সংকট সমাধান কি সম্ভব?

ট্রাম্প আজকে শান্তির কথা বললেও, ইতিহাস ভিন্ন কথা বলছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার পূর্বের মেয়াদে এ অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী অশান্তির বীজ রোপণ করেছিলেন। জেরুজালেমকে ইসরাইল তাদের রাজধানী ঘোষণা করলে, ২০১৮ সালে তাতে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দূতাবাস খোলে। ট্রাম্পের কন্যা ইভানকা সে দুতাবাস উদ্বোধন করেন। সেসময় তারা ইসরাইল কর্তৃক অবৈধভাবে দখলকৃত গোলান মালভূমি এলাকাকে ইসরাইলের অংশ বলে স্বীকৃতি দেন। ট্রাম্প ২০২০ তার তথাকথিত শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন, তা ফিলিস্তিনিরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিল। সে প্রস্তাবে জেরুজালেমকে দেখানো হয়েছিল ইসরাইলের অংশ হিসেবে, ইসরাইলের দখলদারিত্বে উচ্ছেদ হয়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিজের মাতৃভূমিতে ফিরে আসার অধিকারকে অস্বীকার করা হয়েছিল।

ট্রাম্প কি ইউক্রেনকে ঘিরে আমেরিকার সাম্রাজ্যবাসী চক্রান্ত বন্ধ ও ইউক্রেনকে অস্ত্র-অর্থ সহযোগিতা বন্ধ করে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করার মধ্যস্থতা করবেন? ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে কী করেন, তা দ্রুত পরিষ্কার হবে। বিশ্ববাসী শান্তি চায়। তাই যুদ্ধ বন্ধের প্রত্যাশাটাই স্বাভাবিক যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে ব্যথিত অনেকেই ট্রাম্পের যুদ্ধ বন্ধের আহবানে আশান্বিত হমোন তারা তাদের শুভ প্রত্যাশার সাথে সাথে যুদ্ধ কেন হয়, যুদ্ধের পেছনে সাম্রাজ্যবাদী ভূমিকা কী- ইত্যাদিকে যদি নির্মোহ বিচার করতে না পারেন, তাহলে আশাহত হতে হবে।

যুদ্ধ কেন হয়? বিশ্ব সাম্যবাদী আন্দোলনের মহান নেতা লেনিন দেখিয়েছেন, পুঁজিবাদ তার বিকাশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সাম্রাজ্যবাদের জন্ম দিয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো বিশ্বজুড়ে তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার দখল ও ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয় এবং একে কেন্দ্র করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ফলে সাম্রাজ্যবাদ যতদিন টিকে থাকবে, ততদিন যুদ্ধের সম্ভাবনাও টিকে থাকবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্বজুড়ে বাজার সংকট আরো তীব্র হয়েছে। সমস্ত সাম্রাজ্যবাদী-পুঁজিবাদী দেশই আজ ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। উৎপাদনের পরিমাণে ঘাটতি না থাকলেও কেনার ক্ষমতা নেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের। ফলে সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য দেশগুলো অর্থনীতির সামরিকীকরণের পথে যাচ্ছে। রাষ্ট্র অস্ত্র কোম্পানিগুলো থেকে অস্ত্র কিনছে, সামরিক ব্যয় বড়াচ্ছে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে একটা কৃত্রিম তেজীভাব আসছে। আবার রাষ্ট্র অস্ত্র কিনে জমা করে রাখতে পারে না, তার অস্ত্র খালাস করা দরকার। এই অবস্থায় নিজে যুদ্ধ বাঁধিয়ে এবং অন্যদেশগুলিকে যুদ্ধে উস্কানি দিয়ে অস্ত্র ব্যবসার রাস্তা খুলে দেওয়া ছাড়া পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলির নিজেদের টিকিয়ে রাখার অন্য উপায় নেই। যুদ্ধে প্রাণ হারায়, নিঃস্ব হয় সাধারণ মানুষ। কিন্তু লাভবান হয় সব দেশের ধনিক, সাম্রাজ্যবাদী, পুঁজিপতি ও যুদ্ধ ব্যসায়ীরা।

যুদ্ধ বন্ধ হোক, এটা তারা চায় না। চলমান যুদ্ধে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যুদ্ধকে পুঁজি করে যুদ্ধ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা রমরমা। বিশ্বব্যাপী তাদের অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে। ‘কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপন্সিবল স্টেট ক্রাফট’ সম্প্রতি তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরায়েলের যুদ্ধ মানেই মার্কিন অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিশাল মুনাফা। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের হামলা শুরুর পর থেকে এক বছরে মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানি ও নানা সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠাগুলোর উৎপাদন ও আয় বেড়েছে। ইসরায়েলের অস্ত্রের প্রখন সরবরাহকারী বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানি লকহিড মার্টিন, আরটিএক্স, বোয়িং, ডায়নামিক্স, নর্থম্যান ক্রম্যান আমেরিকান। এক বছরে লকহিড মার্টিনের রেভিনিউ প্রায় ৫৫% বেড়েছে গাজাকে বোমা হামলা করে তাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করায়। ইসরায়েল লকহিড নির্মিত ‘এফ-৩৫’ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র নির্মাতা মার্কিন কোম্পানি আরটিএক্স (পূর্বে রেইথিয়ন)-এর রেভিনিউ গত একবছরে বেড়েছে প্রায় ৮৩ ভাগ। তার নির্মিত বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা, যা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্যবহার নিষেধ, তা ইসরায়েল গাজা ও লেবাননে শরনার্থী শিবির ও আবাসিক এলাকায় ব্যবহার করে গণহত্যা চালাচ্ছে। আরেক মার্কিন কোম্পানি ডায়নামিক্সের রেভিনিউ বেড়েছে ৩৭%। ডায়ানামিক্সের তৈরি ‘বাঙ্কার বাস্টার বোমা’, ‘ব্লু -১০৯’ দিয়ে লেবাননে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসদরগাহকে হত্যা করা হয়েছে।

অস্ত্র নির্মাতাদের পাশাপাশি ইসরাইলকে নানা সরঞ্জাম সরবরাহকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ও বেড়েছে। যেমন- কাটারপিলার। গাজায় ইসরায়েলি সৈন্যরা বোমায় বিধায় বাড়ির ধ্বংসস্তুপ ও লাশের স্তুপ সরাতে ক্যাটারপিলারের তৈরি বুলডোজার ব্যবহার করা হচ্ছে। অস্ত্র নির্মাণ ও যুদ্ধকাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম নির্মাণ শিল্পের উপর নির্ভরশীল ও যুক্ত থাকে অনেক ধরণের ছোট বড় প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত বছর বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ২০২৩ সালে সর্বমোট ২৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে সামরিক খাতে নিজেও সর্বোচ্চ ব্যয় করা দেশটি। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপের আশপাশের দেশগুলো নিজেদের সুরক্ষা জোরদার করতে নতুন অস্ত্র কিনছে। এই অস্ত্র বিক্রির মাত্রা ২০২২ সালের তুলনায় ৫৬ শতাংশ বেশি। (দৈনিক কালের কন্ঠ, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪)

ইউ্যলে-রাশিয়ার যুদ্ধে এবং সৌদি আরবে বিক্রি বাড়ায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই জার্মানির অস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ লড়িয়েছে ৭.৪৮ বিলিয়ন ইউরো। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অস্ত্র বিক্রির এই পরিমাণ ৩০ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ জুনের মধ্যে জার্মান সরকার অন্তত ৭.৪৮ বিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র রপ্তানি অনুমোদন করেছে। জার্মানির অস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ গত বছরও সর্বকালের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছিল। সে বছর ১২.২ বিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র বিক্রি করে দেশটি। (দৈনিক আমাদের সময়, ১ জুলাই ২০২৪)

রয়টার্স তাদের অক্টোবর, ২০২৩-এ করা এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপে অস্ত্র শিল্পের নতুন করে উত্থান হয়েছে এবং অস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে। ফলে, অস্ত্র উৎপাদন বাড়াতে ইউরোপের অস্ত্র নির্মাতারা শ্রমিক খুঁজছেন। এমনকি তারা নতুন কর্মীদের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ শুরু করেছেন। শুধু তাই নয় তারা অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে চান।

ফলে যুদ্ধ মানেই অস্ত্র ব্যবসা চাঙ্গা হওয়া। যুদ্ধ মানে পুঁজিবাদী অর্থনীতি সৃষ্ট মন্দা থেকে বাঁচার জন্য কৃত্রিমভাবে অর্থনীতিতে তেজী ভাব আনা। যুদ্ধ মানে গণহত্যা, মূল্যবৃদ্ধি, ক্ষুধা, দারিদ্র, যুদ্ধের ব্যয় মেটাতে জনগণের উপর কর বৃদ্ধি- যার বোঝা সাধারণ মানুষকেই বইতে হয়। যুদ্ধ মানে দেশের নিরাপত্তা, আত্মরক্ষার অধিকার ইত্যাদি ধুয়ো তুলে পুঁজিবাদী সংকটে বিপর্যন্ত গরীব মানুষকে তাদের সংকট ভুলিয়ে রাখা। ফলে আজ যখন সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ট্রাম্প যখন যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তির প্রতিশ্রুতি দেন, তা শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসীর সাথে শঠতা ও প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। আজ দেশে দেশে যুদ্ধবিরোধী শান্তিপ্রিয় জনগণকেই যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। গড়ে ভুলতে হবে সাম্রাজ্যবাদ- পুঁজিবাদবিরোধী জোর লড়াই ও ঐক্য।

 

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments