Sunday, October 6, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি সংবাদসুন্দরবন রক্ষায় প্রাণ-প্রকৃতি বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করতেই হবে

সুন্দরবন রক্ষায় প্রাণ-প্রকৃতি বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করতেই হবে

দক্ষিণ আমেরিকার চিরসবুজ সুবিস্তৃত আমাজন বনাঞ্চলকে বলা হয় বিশ্বের ফুসফুস। তেমনি সুন্দরবনকে বলা হয় বাংলাদেশের ফুসফুস। সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ  বন। একই সঙ্গে বন, জলাভূমি, সামুদ্রিক ও উপকূলীয় বাস্তুতন্ত্রের সমন্বয়ে গঠিত এমন প্রাকৃতিক বন পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি দেখা যায় না। নজরকাড়া নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এ বন সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। সারা দেশের মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণীর আনুমানিক মোট প্রজাতি ১১ হাজার ৮০০টির মধ্যে সুন্দরবনেই আছে ২ হাজার ২০০। বৈশ্বিকভাবে বিপদাপন্ন ৩১টির বেশি প্রজাতি আছে এখানে। সুন্দরবনে মোট উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা ৩৩৪। বিশ্বের মোট ৪৮ প্রজাতির শ্বাসমূলীয় বৃক্ষের মধ্যে সুন্দরবনেই রয়েছে ১৯টি। সুন্দরবনের প্রায় ৬২ শতাংশ বাংলাদেশে। পৃথিবীর বেশির ভাগ ম্যানগ্রোভ বনে দুই থেকে তিন প্রজাতির শ্বাসমূল রয়েছে। আর সুন্দরবনে ছয় ধরনের শ্বাসমূল দেখা যায়।

এই ঘন বনাঞ্চল বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগেরও এক প্রতিরোধ দূর্গ। সুন্দরবন কতবার যে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। এখন তো  প্রায় প্রতিবছরই এসব দুর্যোগ মোকাবেলা করছে সুন্দরবন। ১৯৮৮ ও ১৯৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়, ২০০৭ সালে সিডর, ২০০৯ সালে আইলা, ২০০৬ সালে রোয়ানু, ২০১৮ সালে বুলবুল, ২০১৯ সালের ফণী, ২০২০ সালের ঘূর্ণিঝড় আম্পান এবং এ বছরের ইয়াস প্রভৃতির মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ঠেকাতে খুলনাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে ঢাল হিসেবে কাজ করেছে সুন্দরবন। বরাবরই এ বন মায়ের মতো বুক পেতে ঝড়ের আঘাত থেকে রক্ষা করেছে উপকূলীয় মানুষের জীবন-জীবিকা, আবাসস্থল। নানা বৃক্ষের মজবুত বেষ্টনী আর অসংখ্য নদীনালা বছরের পর বছর ধরে প্রাণী ও সম্পদ রক্ষা করে আসছে। নিজে ক্ষত-বিক্ষত হলেও উপকূলের তেমন ক্ষতি হতে দেয়নি।

কিন্তু শাসকশ্রেণির হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে উপকূলীয় এলাকার রক্ষাকবচ সুন্দরবন বিপর্যস্ত। ইউনেস্কো ১৯৯৭ সালে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিলেও বনের আশপাশে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ নানা স্থাপনা নির্মাণের কারণে সুন্দরবনের ওই তালিকায় অবস্থান ঝুঁকিতে পড়েছে।

ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার এবং ইন্টারন্যাশনাল কনজারভেশন ইউনিয়ন (আইইউসিএন) বলেছে, এমন সম্ভাবনা খুব প্রবল যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণ সুন্দরবনের অপূরণীয় ক্ষতি করবে। তাই ২০১৯ সালে  ইউনেস্কোর ৪৩তম সাধারণ সভায় সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রাখতে ৯টি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। এ সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এ বছরই সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অবস্থান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। তবে কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইউনেস্কোর বিশেষজ্ঞ কমিটি এ বছর সিদ্ধান্ত না নেওয়ার সুপারিশ করে বলেছে, আগামী সম্মেলনের আগে বাংলাদেশকে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। আগামী সম্মেলন হবে ২০২২ সালের জুলাইয়ে। বাংলাদেশকে  শর্ত পূরণের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে আগামী বছর ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। এরই মধ্যে সরকারের একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তাদের দাবি ইউনেস্কোর প্রায় সব শর্ত পূরণ করেছেন তারা। কিন্তু পরিবেশবাদীরা বলছেন, সরকার যে প্রতিবেদন দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে নানা অসঙ্গতি।

এভাবেই স্বার্থান্ধ শাসকেরা লোভের বশে খ্যাতনামা দেশি-বিদেশি জীববিজ্ঞানী, পরিবেশবিদ, দেশের সকল বাম প্রগতিশীল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিদের সকল মতামত উপেক্ষা করে অব্যাহত রেখেছে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ। সারা পৃথিবীতে যখন কয়লাভিত্তক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, তখন আমাদের দেশে শুধুমাত্র নতজানু পররাষ্ট্র নীতিতে সা¤্রাজ্যবাদী ভারতকে তুষ্ট করতে  সুন্দরবনের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে চিহ্নিত এ প্রকল্পটি  কোনোভাবেই বন্ধ করছে না বর্তমান সরকার।

সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এ কেন্দ্র  অত্যন্ত প্রয়োজন – এ কথাই প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু বিগত কয়েক মাসের দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায় সরকারের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী দেশে গ্রীষ্মকালেও বিদ্যুতের চাহিদা ১২ হাজার মেগাওয়াটের উপরে ওঠে না। শীতে সেটি আট হাজারে নেমে আসে। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াটের বেশি কখনোই উৎপাদন করতে হয়নি। অথচ দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২১ হাজার মেগাওয়াট। এ বছরের ফেব্রুয়ারি  মাসে জাতীয় সংসদে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ১০ বছরে সরকার বিদ্যুৎ খাতে ভতুর্কি দিয়েছে ৫২ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। যার বেশিরভাগ ব্যয় হয়েছে অলস বসে থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য। জনগণের কষ্টার্জিত কোটি কোটি টাকার অপব্যয় ছাড়া একে আর কী বলা যেতে পারে।

সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী ‘পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিকল্পনা বাতিল’ করেছে। কিন্তু এ পরিকল্পনায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নেই। পুরোদমে চলছে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ। ডিসেম্বরের মধ্যেই এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন করতে চায় সরকার। সেই সাথে চরম পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকি মাথায় নিয়েই তৈরি হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। পরিবেশগত প্রভাবের কারণেই যদি সরকার এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বাতিল করে থাকে তাহলে প্রশ্ন উঠে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র কী পরিবেশের ক্ষতি করবে না?

সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়েছিল রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে পরিবেশ সংরক্ষণে ব্যবহার করা হবে উন্নত আধুনিক প্রযক্তি এবং উন্নত কয়লা। প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে ভারত থেকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নিম্নমানের কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কয়লা আরও আমদানির চুক্তিও করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুকেন্দ্রসহ ‘প্রাণ-প্রকৃতি মানুষ বিনাশী মিথ্যাচার, অনিয়ম, অস্বচ্ছতায় ভরা জবরদস্তিমূলক’ সব প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারতীয় একাধিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ‘রামপাল বিদ্যুকেন্দ্রের জন্য ভারতের ঝাড়খন্ডের ধানবাদ থেকে এনে কলকাতা বন্দরে ৩ হাজার ৮০০ টন কয়লা খালাস করা হয়েছে যা বাংলাদেশের মংলা বন্দরে পাঠানো হচ্ছে।’ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে এই বিদ্যুকেন্দ্র চালানোর জন্য এই কয়লা আমদানি করা হচ্ছে।’ প্রকাশিত সংবাদে আরও জানানো হয়েছে যে, ‘পুরোদমে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে প্রতি মাসে কলকাতা থেকে ২০ হাজার টন কয়লা সরবরাহ করা হবে।’ এদিকে সরকার দাবি করছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নয় এই কয়লা আনা হচ্ছে ‘কেবল কোল স্টোকইয়ার্ডফ্লোরে ব্যবহার করার’ জন্য। প্রতি মাসে ২০ হাজার টন কয়লা ব্যবহার হবে এই কাজে? বলাই বাহল্য, ব্যবহার তো বটেই, এই নিকৃষ্ট কয়লা পরিবহনেই সুন্দরবনের ক্ষতি হবে অপূরণীয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভারত থেকে কয়লা আনার ক্ষেত্রে রায়মঙ্গল-চালনা-মংলা রুট ব্যবহার করা হচ্ছে যা সুন্দরবনের ভেতরের বলেশ্বর, শিবসা, শাকবাড়িয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, কালিন্দী, পানগুছি ও রায়মঙ্গল নদী ক্ষতিগ্রস্ত করবে। প্রতি মাসে ভারত থেকে ৩০টি ও আকরাম পয়েন্ট থেকে ৮০টি কয়লাবাহী জাহাজ এসব নদী দিয়ে চলাচল করবে। গত ১০ বছরে সুন্দরবনের শ্যালা, পশুর, কুঙ্গা ও ভৈরব নদীতে ১১টি এবং ভারতের অংশে ৯টি কার্গো ফ্লাইঅ্যাশের জাহাজ ডুবে যায়, যার মাধ্যমে প্রায় ৬ হাজার টন ফ্লাইঅ্যাশ, ৫ হাজার টন কয়লা, ৩৭০ টন জ্বালানি তেল, ৫০০ টন পটাশিয়াম, ১ হাজার ৩৬ টন জিপসাম ও ৭০০ টন গম সুন্দরবনের নদী ও বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে এর ভয়ঙ্কর দূষণের সঙ্গে কয়লা পরিবহনের দূষণ যুক্ত হয়ে সুন্দরবনের পানি, মাটি, গাছপালা ও প্রাণিসম্পদের যে ক্ষতি হবে তাতে বিশ্ব ঐতিহ্য ও বাংলাদেশের এই প্রাকৃতিক ঢাল নিশ্চিতভাবেই ধ্বংসের মুখে পড়বে।”

শুধু এই কয়লা পরিবহনের কারণে সুন্দরবনে যান্ত্রিক যানবাহনের চলাচল বাড়বে। তাদের তেল-ময়লায় নদী দূষিত হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ পরিচালিত এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে সুন্দরবনের পশুর নদের প্রতি লিটার পানিতে তেলের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম (স্বাভাবিক মাত্রা হলো ১০ মিলিগ্রাম)। আর ২০১৮—১৯ সালে সেটা চলে গেছে ৬৮ মিলিগ্রামে। পানিতে তেলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বনের নানা প্রজাতির, নানা আকারের জলজ প্রাণী। নৌযান চলাচল করা রুটের বনের পাশে এখন হরিণ, বানরসহ অন্যান্য বন্য প্রাণীর চলাচল ক্রমেই বিরল হয়ে পড়ছে। সুন্দরবনের নদীতে তেল, ছাই আর কয়লাবাহী জলযানের ডুবে যাওয়ার কারণে নদী বাস্তুতন্ত্র ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন। পরিবেশবাদীদের মতে, যে ধরনের ছাই এ পথে পরিবহন করা হয় তাতে ভারী বিষাক্ত ধাতু রয়েছে, যা সুন্দরবনের প্রকৃতি এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি এক কেজি কয়লা পোড়ার পর ৩৪০ গ্রাম ছাই উৎপাদিত হয়। এ ধরনের বিষাক্ত ছাইয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি বিকিরণ ক্ষমতা রয়েছে। জাহাজডুবির কয়লা নদীর ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় ঘটায়। পরিবেশ সুরক্ষাকর্মী এবং প্রকৌশলী ইকবাল হাবিবের মতে, নদীতে ডুবে যাওয়া কয়লার সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন প্রভৃতি সুন্দরবনের পানি, জীব ও বায়ুমণ্ডল দূষিত করবে। আর ক্ষতিকর মিথেন গ্যাস সুন্দরবনের শ্বাসমূল উদ্ভিদ ও মাছের প্রজননের ক্ষতি করবে।

সবদিক বিবেচনায় দেখা যাচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের মানুষ, প্রাণিকূল  প্রকৃতি পরিবেশের  জন্য শুধু অপ্রয়োজনীয়ই নয় বরং ভয়াবহ ক্ষতিকর। দেশের বামপন্থী পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো তাই লংমার্চ-রোডমার্চ প্রভৃতি কর্মসূচির মাধ্যমে বারবার প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু জনবিচ্ছিন্ন সরকার ক্ষমতা যেনতেন প্রকারে টিকিয়ে রাখতে মুষ্টিমেয় লোকের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষায় আর সাম্রাজ্যবাদী ভারতের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখার জন্য এই  প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করে চলছে। এই অন্যায় জনস্বার্থবিরোধী প্রকল্পটি বাতিলে সরকারকে বাধ্য করাতে জনপ্রতিরোধই এখন সুন্দরবন রক্ষার একমাত্র উপায়।

সাম্যবাদ-আগস্ট ২০২১

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments