সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের চেতনায় পুঁজিবাদবিরোধী লড়াই জোরদার করুন
সভ্যতার বয়স কয়েক হাজার বছরের। একদিনের গুহাবাসী মানুষ উদ্ভাবন করেছে সুউচ্চ অট্টালিকার। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-চিকিৎসাশাস্ত্রসহ বস্তুগত ও ভাবগত উৎপাদনে অভাবিত উন্নতি ঘটেছে। প্রকৃতির অন্যসকল প্রাণীকুলের মধ্যে মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। শুধু পৃথিবীতে নয় পদচারণা ঘটিয়েছে পৃথিবীর বাইরেও। কিন্তু এতসব উন্নতির পরও শ্রমজীবী মানুষরা থেকেছে সম্পদের মালিকানা থেকে বঞ্চিত। এই মালিকানার প্রশ্নটি এত গুরুত্বপূর্ণ যে সেই সুদূর অতীত থেকে কেবল এই প্রশ্নে বহু বিদ্রোহ-বিপ্লব এবং তার ধারাবাহিকতায় সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তনও সূচিত হয়েছে। কিন্তু আজও আসেনি তার সম্পূর্ণ সমাধান। মহান দার্শনিক কার্ল মার্কস ও ফ্রেডরিক এঙ্গেলস এই প্রশ্নটিকেই সামনে এনেছিলেন। বৈজ্ঞানিকভাবে দেখিয়েছিলেন সমাজ পরিবর্তনের ধারা, সম্পত্তি সৃষ্টির ইতিহাস, মানুষে-মানুষে বৈষম্য সৃষ্টির কারণ, পরিবার-রাষ্ট্রের সূচনার কথা। তাঁরাই তুলে ধরেছিলেন লক্ষ-কোটি মানুষের হাতে সৃষ্টি হওয়া সম্পদ অল্প ক’জনের মুঠোবন্দী হওয়া নৈতিক কিংবা যৌক্তিক নয়।
তাঁরা কেবল সংকটের বর্ণনা করেননি। কীভাবে পাল্টাতে হবে — তুলে ধরেছিলেন তারও ইতিহাসসম্মত ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। সমাজ বিকাশের ধারায় সামাজিক মালিকানার অনিবার্যতা তাঁরা তুলে ধরেছেন। দেখিয়েছেন কেমন করে আসবে সত্যিকারের মানবিক সমাজ যেখানে অবলুপ্তি ঘটবে মানুষের দ্বারা মানুষের শোষণ। বলেছেন সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদই হলো মানব সভ্যতার আগামী দিনের ইতিহাস নির্ধারিত পথ। একমাত্র তেমন সমাজব্যবস্থাতেই খুলে যাবে মানুষের সর্বাঙ্গীণ বিকাশের অবারিত রাস্তা। ব্যক্তিগত মালিকানা উচ্ছেদ হয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে সামাজিক মালিকানা।
মার্কস-এঙ্গেলসের চিন্তাকে ভিত্তি করে এবং তাকে আরও সমৃদ্ধ করে পৃথিবীর বুকে প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে। ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর (তখনকার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৫ অক্টোবর) ইতিহাসের পথকে নতুন দিকে মোড় ঘুরিয়ে সাম্রাজ্যবাদীদের সকল আক্রমণ-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে লেনিনের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সমাজতন্ত্রের ভিত্তি। এই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আরেক রাষ্ট্রনায়ক মহান স্ট্যালিন পুরো দেশের জনগণকে যুক্ত করে রাজনীতি-অর্থনীতি-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-ক্রীড়াসহ সকল ক্ষেত্রে এই সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
সমাজতন্ত্র নেই কিন্তু সমাজতন্ত্র যে গৌরবগাথার সৃষ্টি করেছে তা ভোলেনি পৃথিবীর নানাপ্রান্তের শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষ। এবছর মহান সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের শতবার্ষিকী। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এই বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। গঠিত হয়েছে দেশের বাম-প্রগতিশীল দল-সংগঠন ব্যক্তিবর্গ নিয়ে ‘অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটি’। এই কমিটির পক্ষ থেকে পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচি। আলোচনা সভা-সেমিনার-আলোকচিত্র প্রদর্শনী-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ নানা আয়োজন হচ্ছে এবং আরও হবে। আগামী ৭ নভেম্বরে পালিত হবে শতবর্ষের সমাপনী কর্মসূচি।
গত ৬ অক্টোবর বিকাল ৪টায় ঢাকার শাহবাগে জাদুঘরের সামনে জাতীয় কমিটি’র মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদযাপন কমিটির অন্যতম আহ্বায়ক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দরর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বাসদ (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদ-এর সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, বাসদ (মাহবুব)’র নেতা শওকত হোসেন, গরীব মুক্তি আন্দোলনের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান মিলন, গণমুক্তি ইউনিয়নের নাসিরউদ্দিন নাসু। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন নতুন দিগন্ত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মযহারুল ইসলাম বাবলা।
সভাপতির বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘রুশ বিপ্লব মানব মুক্তির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা। এ বিপ্লব মানুষের মুক্তির দিশা নির্দেশ করেছে। ঔপনিবেশিক শোষণে নিপীড়িত জাতিসমূহকে শোষণের নিগড় ভাঙ্গতে অনুপ্রাণিত ও সমর্থন জুগিয়েছে। ৭০ বছর স্থায়ী হবার পর সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার যে পতন হয়েছে, তা সমাজতন্ত্রের পতন নয়, ধাপে ধাপে সমাজতন্ত্রের চিন্তা থেকে সরে আসার ফল। ছিল বাইরে থেকে পুঁজিবাদীদের উৎপাত, অবরোধ ও আক্রমণ। সোভিয়েতের পতনের ফলে সারা পৃথিবীর মানুষকে আজ চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। মানুষের ক্ষোভ ও দুর্দশা জানিয়ে দিচ্ছে সভ্যতা কোন বর্বরতায় গিয়ে পৌঁছেছে। এ ব্যবস্থা চললে পৃথিবীর ধ্বংস ঠেকিয়ে রাখাই অসম্ভব হবে।
বলা হচ্ছে নৈতিকতার অধঃপতন ঘটেছে। কিন্তু আসল সত্য হলো এই যে, পুঁজিবাদ তার নিজস্ব নৈতিকতাকেই সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছে। এই নৈতিকতা মনুষ্যত্বের মর্যাদা দেয় না; মুনাফা চেনে, ভোগলালসায় অস্থির থাকে, মানবিক বিবেচনাগুলোকে পদদলিত করে। সম্প্রতি মিয়ানমারে যখন গণহত্যা চলছে, প্রাণভয়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছে বাংলাদেশে। সেই সময় চীন দাঁড়িয়ে যাচ্ছে পীড়নকারী মিয়ানমারের পক্ষে। রাশিয়ার আচরণও একই রকম। যে ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, সেও দাঁড়িয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের পক্ষে। কারণ একই — পুঁজিবাদী স্বার্থ। সমাজতন্ত্রের অনিবার্যতা ও প্রাসঙ্গিকতা এভাবে বার বার সামনে আসছে। ফলে অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ উদযাপন কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং একটি উদ্দীপনা সৃষ্টি করা, যা সমাজতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানো মানুষদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করবে। বৈজ্ঞানিক নিয়মেই পুঁজিবাদের বিনাশ হবে। পুঁজিবাদের বিনাশ মানে ব্যক্তি মালিকানার সমাপ্তি। আগামীর ভবিষ্যৎ হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানার পৃথিবীর পরিবর্তে সামাজিক মালিকানার মানবিক বিশ্ব গড়ার।’
সমাবেশে বাসদ (মার্কসবাদী) এর কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘রুশ বিপ্লব হঠাৎ করে হয়নি। ইউরোপে যখন শিল্পবিপ্লব হলো, তখন বুর্জোয়ারা স্লোগান নিয়ে এসেছিল সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতার। কিন্তু দেখা গেল এগুলো কেবল কথার কথা। পরিলক্ষিত হলো, প্রতিনিয়ত একদল মানুষের হাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত হচ্ছে আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিপুল সংখ্যক মানুষের অভাব-দারিদ্র্য। এ বিষয়ের কারণ অনুসন্ধান অনেকেই করেছেন। কিন্তু কার্ল মার্কস দেখালেন, শ্রমজীবী মানুষ প্রতিদিন যে সম্পদ সৃষ্টি করছেন, মালিকরা তাকে কুক্ষিগত করছে, লুট করছে। সে কারণেই সমাজে এত বৈষম্য, সে কারণেই যত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকট দূর করতে হলে যারা উৎপাদন করছে তাদের মালিকানা থাকতে হবে। এই নীতির ভিত্তিতে রাশিয়াতে লেনিন বলশেভিক পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছেন, বহু লড়াই-সংগ্রাম এবং শেষ পর্যন্ত বিপ্লব করেছেন। ১৯০৫ সালের বিপ্লব ব্যর্থ হয়েছে, ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতেও আরেকটি বিপ্লব হয়েছে। সেই বিপ্লবে যেমন বলশেভিক পার্টি ছিল, অন্যান্য বামপন্থী দল ছিল তেমনি বুর্জোয়ারাও ছিল। সেদিন জারের শাসনের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল ধনিক শ্রেণি। তখন লেনিন দেশের শ্রমিক, কৃষক, সৈনিকদের আহ্বান করলেন, এখন আমাদের কর্তব্য হবে ধনিক শ্রেণির শাসনের বদল ঘটিয়ে শ্রমিক-কৃষক শ্রেণির শাসন প্রতিষ্ঠা করা। তার ফলাফলে ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর মহান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন হয়েছিল।
সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার পতন ঘটেছে। আমরা মনে করি এই বিপর্যয় সাময়িক। কেননা সবাই মিলে সবার জন্য যে সম্পদ সৃষ্টি করছে যতদিন না পর্যন্ত সেই সম্পদে সবার মালিকানা নিশ্চিত হচ্ছে — ততদিন পর্যন্ত পৃথিবী ব্যাপী আজ যে সংকট চলছে তার সমাধান সম্ভব হবে না। এই সংকটের সমাধান পুঁজিবাদ দিতে পারবে না। এর একমাত্র সমাধান সমাজতন্ত্র। সম্পদের সামাজিক মালিকানা নিশ্চিত করার জন্য আজ পৃথিবীব্যাপী শ্রমজীবী-নিপীড়িত মানুষ লড়ছে। বাংলাদেশেও শ্রমজীবী-শোষিত মানুষও সেই লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এর মাধ্যমেই আমরা অক্টোবর বিপ্লবের চেতনাকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করব।’
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহম্মদ বলেন, ‘অক্টোবর বিপ্লব সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছিল। এর মানে হলো, মার্কস যাকে বলেছেন মুক্ত মানুষের মুক্ত সমাজ। তার ধর্ম-লিঙ্গ-জাতি-পেশা-গায়ের রং যাই হোক, তার ভিতরের যে সৃজনশীলতা তার পূর্ণ বিকাশ হবে। এমন একটি সমাজ যেখানে ব্যক্তির বিকাশ ও সমষ্টির বিকাশ সমন্বিত হবে। সে কারণে সোভিয়েত রাশিয়ায় সকল সম্পদের উপরে, ভূমিব্যবস্থার উপরে, নারী-পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে, জাতিসমূহের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছিল। এই বিপ্লবের কারণে কেবল সোভিয়েত ইউনিয়নের মানুষ নয়, সারা পৃথিবীতে শোষিত মানুষ লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। বৃটিশদের বিরুদ্ধে উপনিবেশিক দেশগুলোর লড়াই, মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ভিয়েতনামের লড়াই, কোরিয়ার লড়াই এমনকি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধও সোভিয়েত বিপ্লবের চেতনা দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়েছিল।
আজ পৃথিবীব্যাপী পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে লড়াই হচ্ছে, প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষার জন্য যে লড়াই হচ্ছে, সেই লড়াইগুলো হচ্ছে অক্টোবর বিপ্লবের চেতনার লড়াই। নারীরা যখন নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, পাহাড়ে আদিবাসীরা যখন তাদের উপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, শিক্ষার্থীরা যখন শিক্ষার অধিকার নিয়ে লড়াই করছে, কৃষকরা যখন তার অধিকারের জন্য লড়াই করছে, দেশের জনগণ যখন সুন্দরবন রক্ষার লড়াই করছে — প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে অক্টোবর বিপ্লবের চেতনা আছে। লেনিন বলেছেন, ‘যেখানেই মানুষ সেখানেই আমাদের কাজ করতে হবে।’ সব ধরনের শ্রেণিগত-লৈঙ্গিক-ধর্মীয়-জাতিগত নিপীড়ন-বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই আমাদের লড়াই। প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার লড়াইও আমাদের লড়াই। এ শুধু বাংলাদেশের লড়াই নয়, সারা বিশ্বের লড়াই। বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষের লড়াইয়ের সাথে সারা পৃথিবীর নিপীড়িত মানুষের লড়াইয়ের সম্পর্ক আছে। যে যেখানে আছে সেখান থেকেই এই লড়াই চালাতে হবে, আবার সমন্বয় করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের একটা ভূমিকা আছে। এটি পালন করতে পারলেই আমরা বলতে পারব মানুষ হিসেবে বৃহৎ স্বপ্ন দেখার সাহস আমরা রাখি। যে স্বপ্ন দেখার সাহস অক্টোবর বিপ্লব আমাদের দেখিয়েছিল।’
সমাবেশে ঢাকা এবং আশপাশের এলাকা থেকে বামপন্থী দলগুলোর কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করে। বক্তব্য পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদযাপন সাংস্কৃতিক পর্ষদের শিল্পীবৃন্দ।