Wednesday, December 25, 2024
Homeফিচারঅধিকার বঞ্চিত মানুষের আকুতির প্রকাশ ঘটেছে সুন্দরবন রক্ষার হরতালে

অধিকার বঞ্চিত মানুষের আকুতির প্রকাশ ঘটেছে সুন্দরবন রক্ষার হরতালে

Hartal 1 copy

গত ২৬ জানুয়ারির ঢাকার শাহবাগ এলাকার দৃশ্য যারা দেখেছেন, তাদের কাছে মনে হবে – এ যেন রীতিমত যুদ্ধক্ষেত্র! যুদ্ধ তো হয় দু’পক্ষে। কিন্তু এতো একপাক্ষিক যুদ্ধ। যাদের দিকে তাক করে মুহুর্মুহু রাবার বুলেট, টিয়ারশেল, জলকামান দাগানো হচ্ছে, তাদেরই ট্যাক্সের পয়সায় এসব কেনা হয়েছে। এমনকি বেঁচে থাকার মাসিক খরপোষের জোগানও তারাই দেয়। জনগণের নিমক খাওয়া পুলিশের হাত ও চেতনা — দুই-ই শাসকের ইচ্ছাধীন। তা না হলে সহযোদ্ধার গায়ে রাবার বুলেট লাগার আক্রোশে জলকামানে চেপে বসা মিজানুরের গায়ে সদলবলে হামলে পড়ার আগে থমকে গিয়ে একবার ভাবত — নিরস্ত্র কেউ আক্রমণ করতে যায় না! অবশ্য অগ্রপশ্চাৎ ভাবার উপায়ও নেই; কেননা এরা তো হুকুমের তাবেদার। আর যারা হুকুমদার তাদের একটাই কথা — তারা যাকে উন্নয়ন বলবে, তা ক্ষতিকর হলেও প্রশ্ন তোলা যাবে না।

দীর্ঘ ৭ বছর ধরে প্রতিবাদের বহু কর্মসূচীর ধারাবাহিকতায় ঢাকায় অর্ধবেলা হরতাল ডেকেছিল জাতীয় স্বার্থে ‘তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি’। দাবি ছিল— সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎপ্রকল্পসহ সকল বাণিজ্যিক অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ভোর ৬টাতেই রাজধানীর পল্টন, শাহবাগ, আজিমপুর, সূত্রাপুর, মিরপুর, সায়েন্সল্যাব, তেজগাঁসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় বাসদ (মার্কসবাদী)সহ বিভিন্ন বামপন্থী দলের কর্মী ও বহু দল নিরপেক্ষ মানুষ। পুলিশী অবস্থান উপেক্ষা করে ভোর থেকে টানা মিছিলে মানুষের কাছে এ বার্তাই পৌঁছে দেয় — ‘ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করতে কেবল দূরে দাঁড়িয়ে সমর্থনই নয়, নামতে হবে রাস্তায়। শক্তিকে কেবল যুক্তিতে নয়, শক্তি দিয়েও মোকাবেলা করতে হবে। সেজন্য বিবেকবান মানুষের সক্রিয়তা চাই। টানা মিছিল-সমাবেশে পা দু’টি ভারী হয়েছিল কি’না , ভাববার অবকাশও কেউ খোঁজেনি। কেননা এ দু’টি পা নিয়ে আরো বহুদূর যেতে হবে। সামনে বহু চড়াই উৎরাই। যুক্তিবুদ্ধি হারিয়ে ক্ষমতামত্ত শাসকদের স্বৈরাচারের আরো বহু কিছু দেখার বাকী যে এখনো! তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে— হরতাল পালনের মধ্য দিয়ে এ প্রত্যয়ই যেন ঘোষিত হল।

সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনকে ব্যঙ্গ করে দৃষ্টি ফেরাতে চাইছে সরকার
যুক্তি-তর্ক, বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে দাঁড়াতে না পেরে ব্যঙ্গ- বিদ্রুপকেই সম্বল করছে সরকার। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের পর এবার ২য় দফায় চট্টগ্রামের একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় কমিটির নেতা-কর্মীদের সুন্দরবনের বাঘের কাছে গিয়ে কুশল জানতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর খেদ হল, আন্দোলনকারীরা বাঘ নিয়ে যত চিন্তিত, মানুষ নিয়ে তত নয়। অথচ বিশ্ব বাঘ সম্মেলনের বক্তব্যে বাঘ নিয়ে উদ্বেগ প্রধানমন্ত্রীও প্রকাশ করেছিলেন, — ‘বাঘ বাঁচলে সুন্দরবন বাঁচবে, সুন্দরবন বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে।’ সংবেদনশীল মানুষমাত্রই জানেন, প্রকৃতি-পরিবেশের বাইরে মানুষের আলাদা অস্তিত্ব নেই। বন-প্রকৃতি পরিবেশ মানুষ ছাড়াও বাঁচতে পারে, কিন্তু এগুলো ছাড়া মানুষ বাঁচবে না। গোটা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঋতু পরিবর্তন, উপকূলে ভাঙন ইত্যাদি বেড়ে যাচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর দাবি মানতে বাধ্য হচ্ছে উন্নত ধনীদেশগুলো। একসময়ের কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি থেকে ব্যাপকভাবে সরে আসছে তারা; তীব্র পরিবেশ দূষণের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি এড়াতে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর দিকে ঝুঁকছে। প্রকৃতি-বন-নদী রক্ষার আকুলতা-উদ্বেগ আমরা কতটুকু অনুভব করছি? জলবায়ু তহবিলের ভাগ পেতে যত মরিয়া, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ভূমিকা পালনে কতটা তৎপর? — এসব প্রশ্নে সরকার নিরুত্তর। এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে গত ২৫ বছরে ১লক্ষ ২৫হাজার হেক্টর শালবনের ৮৫ভাগ উজাড় হয়ে ১৭হাজার ৫শ হেক্টর টিকে আছে। ৭লাখ হেক্টর পার্বত্য বনাঞ্চলের মধ্যে অবশিষ্ট আছে ১ লক্ষ হেক্টর। আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য যেখানে ২৫ভাগ বনভূমি প্রয়োজন, সেখানে আমাদের আছে মাত্র ১১ভাগ! ফলে একটা সুন্দরবনের গুরুত্ব কেবল ৩৫-৪০লক্ষ মানুষের জীবিকা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় কোটি মানুষের প্রতিরক্ষাব্যুহ হিসেবেই নয়; আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রায় একমাত্র সম্বল হিসেবেও। ফলে প্রধানমন্ত্রী যখন নিরাপদ দূরত্বে বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবস্থান ব্যাখা করে, আন্দোলনকারীদের দূরত্ব মেপে আসার পরামর্শ দেন, তখন উদ্বেগ আরো বেড়ে যায়। জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে বারবারই বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যে দূরত্বের কথা বলছেন তা মোটেই নিরাপদ নয়। সরকারি আতিথ্যে ও তত্ত্বাবধানে সুন্দরবন পরিদর্শন করে ইউনেস্কোও একই কথা বলেছে। আর বিজ্ঞানের এ উৎকর্ষতার যুগে গজ ফিতা দিয়ে দূরত্ব মাপার প্রয়োজন হয় না, গাণিতিক সূত্র দিয়ে মানুষ গ্রহ-নক্ষত্রসহ যে কোনো কিছুর দূরত্ব মাপতে পারে। হয়তো বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী প্রধানমন্ত্রীকে উপদেষ্টারা তা জানানোর সময় পাননি! সম্প্রতি ১০০টনের কয়লা বোঝাই জাহাজ ডুবে যাওয়ার কি ক্ষতি হয়েছে — এ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন উত্থাপন নিয়ে কান্ডজ্ঞানের প্রসঙ্গ না তুলেও বলা যায়, বিগত সময়ে তেলবাহী জাহাজডুবির ক্ষতির কথা বিশেজ্ঞরা যুক্তি-প্রমাণ সহকারেই তুলে ধরেছেন। তাছাড়া এ সব ক্ষতি তাৎক্ষণিকভাবে দৃশ্যমান হয় না, ধূমপানের ক্ষতির মতই দীর্ঘমেয়াদে তার প্রকাশ ঘটে। বড় পুকুরিয়া প্রকল্পে ক্ষতির কথাও তো সরকারি রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে।

hartal 4 copy

গায়ের জোরে সব কিছু করার মনোভাবের বিরুদ্ধে এখনি প্রতিবাদ
না হলে কোনো গণতান্ত্রিক অধিকারই রক্ষা পাবে না
সরকারের ক্ষমতার দাপট সুন্দরবন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট। কেবল সুন্দরবন প্রশ্নে নয়, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, গণঅধিকার সংকোচনের লক্ষ্যে নানা আইন প্রণয়ন, দলীয়করণ, সরকারি বাহিনীর বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, নারী নির্যাতন ও হত্যাসহ সবক্ষেত্রেই বিচারহীনতা — এসব কিছুর মধ্য দিয়ে এমন এক যুক্তি বুদ্ধিহীন, প্রশ্নহীন পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে মানুষের প্রতিবাদের মনই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। সরকারও এ পরিবেশ চায়। নিরঙ্কুশ ক্ষমতার কাছে কোনো প্রশ্নই তার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবি উচ্চকিত করেছে জাতীয় কমিটি। মানুষ চায় কার্যকর একটা লড়াই গড়ে ওঠুক। জাতীয় কমিটি এ আকুতিকে ভাষা দিয়েছে।

নীতিনিষ্ঠ লড়াইয়ের মধ্যেই আশার আলো খুঁজতে হবে
যখন সরকারি দলের লোকেরা দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে খুনোখুনিতে ব্যস্ত; যুব সমাজের পতনোম্মুখ চেহারা দেখে মানুষ রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলছে; তখন টিম টিম প্রদীপের মত স্বার্থকেন্দ্রিকতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে একদল যুবকতরুণ- প্রবীণ সমষ্টিচেতনায় লড়াই করছে। হ্যাঁ, সমর্থন থাকলেও যে নৈতিক আবেদন মানুষ অন্তরে ধারণ করে কষ্ট স্বীকার করে, কোনো ১ দিন চাকুরী থেকে বিরত থাকে, হুকুম তামিলে বিরত হয়ে জীবিকার উপায় বন্ধ রাখে, অন্যদের চোখে চিহ্নিত হবার ভয় অতিক্রম করে সামাজিক দাবির প্রতি একাত্ম হয় — তা হয়তো বেশিমাত্রায় ঘটেনি। কিন্তু মানুষের সমর্থন ছিলই। হরতাল পূর্ব প্রচারণা-মিছিল-চলাকালে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানাতে অনেককেই দেখা গেছে। কেউ বাসের জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে নিজের অব্যক্ত ভাষাকে ব্যক্ত করছে — ‘আন্দোলন জোরদার করুন।’ মানুষের এ উৎসাহ-প্রেরণা-সমর্থন সমালোচনা শাসকদের গুলি-ভয়কে উপেক্ষার শক্তি। আন্দোলনের চড়াই উৎরাই পার হবার পাথেয়।

সারাদেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে গণভোট

সরকার কোথায় আছে, আর জনমত কী বলছে?

15370012_10206294425839767_2242108450063405129_o

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ইডেন কলেজ শাখার উদ্যোগে গত ১-৮ ডিসেম্বর গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। ১০ ডিসেম্বর কলেজের ১ নং গেইটে গণরায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণা করেন তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ৪১৩৮টি ভোটের মধ্যে সুন্দরবনের পক্ষে ভোট পড়ে ৪০২৫টি আর রামপালের পক্ষে ৯টি। কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক তৌফিকা লিজার সভাপতিত্বে আলোচনা করেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য ফখরুদ্দিন কবির আতিক, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সহ-সভাপতি এ্যডভোকেট সুলতানা আক্তার রুবি, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা ও ঢাকা নগর শাখার সভাপতি মাসুদ রানা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কলেজ কমিটির সদস্য লুবাইনা আন্নি।

কারমাইকেল কলেজ
রংপুরে কারমাইকেল কলেজে অনুষ্ঠিত প্রতীকী গণভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে গতকাল ২১ জানুয়ারি। কারমাইকেল কলেজে ৪৩৮৩ ভোটের মধ্যে সুন্দরবনের পক্ষে পড়ে ৪১৫৩টি, রামপালের পক্ষে ১৯৮টি এবং ৩২টি ভোট বাতিল হয়। কারমাইকেল কলেজে ৯৪.৭৫% শিক্ষার্থী রামপাল চুক্তি বাতিলের পক্ষে ভোট দেয় এবং সুন্দরবনের বিপক্ষে ভোট পড়ে ৪.৫২%।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশগ্রহণকারী ২০২৩ জন ভোটারের মধ্যে সুন্দরবনের পক্ষে ১৮৮০টি, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে ১৬৫টি এবং ১২টি ভোট পরিত্যক্ত হয়। শতকরা ৯১.৩০ ভাগ সুন্দরবনের পক্ষে এবং ৮.১১ ভাগ রামপালের পক্ষে মত দেয়। রংপুর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত ছাত্র সমাবেশে গণভোটের ফলাফল প্রকাশ করেন কারমাইকেল কলেজের সাবেক ভাইস-প্রিন্সিপাল অধ্যাপক সাহারা ফেরদৌস। এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি আহসানুল আরেফিন তিতু। বাসদ(মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু, লেখক ও গবেষক ড.মিজানুর রহমান, রংপুর বিভাগ উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক ওয়াদুদ আলী, ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেন চাঁদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পাঠাগার সম্পাদক আবু রায়হান বকসী, কারমাইকেল কলেজ সভাপতি হোজায়ফা সাকওয়ান জেলিড, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
এদিকে গত ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সুন্দরবন নিয়ে গণভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৯১.৯০ শতাংশ অর্থাৎ ৪৭৭৭ জন শিক্ষার্থী সুন্দরবনের পক্ষে মত দিয়েছে। আর রামপালের পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৯২টি অর্থাৎ ৭.৫৪ শতাংশ। ভোট বাতিল হয়েছে ২৯টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে রায় ঘোষণা করেন প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য সচিব অপু দাশ গুপ্ত, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সত্যজিৎ বিশ্বাস। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ফজলে রাব্বী।

দিনাজপুর
গত ২৩ জানুয়ারি দিনাজপুর জেলা শাখা আয়োজিত গণভোটের ফলাফল ঘোষিত হয়। এতে অংশগ্রহণকারী ২৪৯৭ জন ভোটারের মধ্যে ২৩২৫ জন ভোটার অর্থাৎ ৯৩.১১ শতাংশ ভোটার সুন্দরবনের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আর রামপালের পক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ১৪৯ টি। ২২টি ভোট বাতিল হয়েছে। প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে রায় ঘোষণা করেন তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতা আমিনুল ইসলাম বাবলু। উপস্থিত ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী) দিনাজপুর জেলার সমন্বয়ক রেজাউল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসানুল আরেফিন তিতু প্রমুখ।

খুলনা
খুলনার হাসিদ পার্কে গত ২০ জানুয়ারি খুলনা জেলা শাখা আয়োজিত গণভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাসদ(মার্কসবাদী) খুলনা জেলার সমন্বয়ক বিপ্লব মন্ডল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও খুলনা জেলার সংগঠক রুহুল আমিন ও পরিচালনা করেন সুজয় সাম্য। এখানে মোট ৩১৬৫টি ভোট সংগৃহীত হয়। সুন্দরবনের পক্ষে ভোট পড়ে ২৭৯৪টি আর রামপালের পক্ষে ৩৪৪টি।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
কুয়েটে অনুষ্ঠিত গণভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা। এখানে মোট ভোট পড়ে ১২১৫ টি। সুন্দরবনের পক্ষে ১১১২ টি অর্থাৎ ৯১.৫২ শতাংশ ভোট পড়ে। আর রামপালের পক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৯০টি অর্থাৎ ৭.৪১ শতাংশ, ভোট বাতিল হয়েছে ৬টি।

যশোর
গত ৬-১৮ জানুয়ারি যশোরে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ জানুয়ারি যশোর জেলার দড়াটানা ভৈরব চত্ত্বরে গণভোটের রায় ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান। উপস্থিত ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী) যশোর জেলার সমন্বয়ক হাসিনুর রহমান, অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু। সভাপতিত্ব করেন উজ্জ্বল বিশ্বাস, পরিচালনা করেন পলাশ পাল। মোট সংগৃহীত ভোটের (৬৪৪৮টি) ৯১.৬৫ শতাংশ(৫৯১০টি) সুন্দরবনের পক্ষে আর ৭.৩৩শতাংশ(৪৭৩টি) রামপালের পক্ষে। ভোট বাতিল হয়েছে ৬৫টি।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments