সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপত্র
(৩য় বর্ষ ৩য় সংখ্যা)
প্রকাশকাল : অক্টোবর ২০১৬
সূ চি প ত্র
ভূ মি কা
দেশজুড়ে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক চলছে। আমরা দেখছি বিষয়টি বুঝে নেবার জন্য ছাত্রদের বিপুল আগ্রহ। তারা রামপাল নিয়ে জানার চেষ্টা করছে, তর্ক-বিতর্ক করছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য যেমন মানুষ শুনছে, আবার সরকারের বক্তব্যও জানছে। সরকার হয়তো ধারণা করেছিলো যে, প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো সামনে আনলে সাধারণ মানুষ আর এ বিষয়ে ঢুকবে না। কিন্তু ব্যাপারটা তেমন ঘটেনি। ছাত্র-জনতা তাদের মনোযোগ ধরে রেখেছে।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সম্পদের মালিক দেশের জনগণ। অর্থাৎ, সম্পদ কোথায় ব্যবহৃত হবে, কার স্বার্থে ব্যবহৃত হবে সে ব্যাপারে জনগণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। কিন্তু, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারে জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। বিশেষত, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ সুন্দরবন নিয়ে প্রবল আবেগ ধারণ করে। সুন্দরবন তাদের কাছে একটি প্রতীকের মতো। সুন্দরবন মানে বাংলাদেশ, সুন্দরবন মানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থ পরিবেশ। তাই দেশের মানুষ কিছুতেই সুন্দরবনকে হুমকির মুখে পড়তে দেবে না। অথচ, জনমতের তোয়াক্কা না করে সরকার রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়নে একরোখা মনোভাব ব্যক্ত করছে। একের পর এক মিথ্যার জাল বুনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। সর্বশেষ, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোরদের সাইকেল মিছিলে হামলা করেছে পুলিশ ও ছাত্রলীগ, ব্যবহার করা হয়েছে জলকামান। সংবিধানের সাথে সরকারের কাজের কোনো সংগতি থাকলো কি?
সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন চলমান আছে। ‘অনুশীলন’র এবারের সংখ্যা এ বিষয় নিয়ে। সরকারের করা যুক্তিগুলোর উত্তর আমরা এ সংখ্যায় করার চেষ্টা করেছি । এই বক্তব্যে অসম্পূর্ণতা রয়েছে। তবুও এই প্রকাশনা আন্দোলনকে সহযোগিতা করবে বলে প্রত্যাশা রাখি। আপনাদের মতামত, মূল্যায়ন আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।
নাঈমা খালেদ মনিকা
সভাপতি
স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু
সাধারণ সম্পাদক