ভূমিকা
“ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ দুপুর বেলার অক্ত/ বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কেথায়? বরকতের রক্ত।/ হাজার যুগের সূর্যতাপে জ্বলবে এমন লাল যে,/ সেই লোহিতেই লাল হয়েছে কৃষ্ণচূড়ার ডাল যে!”
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ছাত্র-যুব সমাজের লড়াইয়ের প্রতীক। ১৯৫২-তে অসাম্প্রদায়িক, শোষণ-বৈষম্যবিরোধী লড়াইয়ে আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত যে মাসে, সেই ফেব্রুয়ারিতেই আমাদের অনুশীলন বের করতে হচ্ছে পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতা, দলীয় প্রচার, আর লৈঙ্গিক বৈষম্যের বিষবাষ্প শিশুদের মধ্যে ছড়ানোর অপচেষ্টার প্রতিবাদে। ‘প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শিশুদের মনন কাঠামো তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে’- সে কথা ক্ষমতাসীনরাও জানে ভালো করে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তারা কোন চিন্তা দিয়ে গড়ে তুলতে চায় তা স্পষ্ট করলো ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার। শুধু শিশু-শিক্ষা নয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরও অব্যাহত আছে নানামুখী আক্রমণ। তাই আমরা উচ্চশিক্ষার এই দুই প্রতিষ্ঠান নিয়েও ক্ষুদ্র পরিসরে সাম্প্রতিক সময়ের তাৎপর্যপূর্ণ কিছু দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
শুধু শাসকদের আক্রমণ নয়, দেশে আছে তার পাল্টা প্রতিরোধও। সুন্দরবন রক্ষা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে চলেছে প্রতীকী গণভোট, হয়েছে হরতাল-ছাত্র ধর্মঘট। দেশের অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে এর গুরুত্ব অনুধাবন করে এই আন্দোলন সম্পর্কে একটি লেখা দেয়া হলো এবারের সংখ্যায়।
এ বছর পালিত হচ্ছে মহান রুশ বিপ্লবের শতবর্ষ। এ উপলক্ষে বিগত সংখ্যার ধারাবাহিকতায় ‘মহান স্ট্যালিন’ এবং ফিদেল ক্যাস্ট্রো ও কিউবা নিয়ে লেখা প্রকাশিত হলো।
বর্তমানের সংকটময় পরিস্থিতি আর সেই পরিস্থিতি পাল্টানোর জন্য মানুষের সংগ্রাম- এ দুয়ের সম্মিলনেই এবারের অনুশীলন সাজানো হয়েছে। আপনাদের মতামত, পরামর্শ, সমালোচনা প্রত্যাশা করছি।
সূচিপত্র :
পাঠ্যপুস্তকে ভুল, বিষয়বস্তুর পরিবর্তন নিছক দুর্ঘটনা নয়
সরকারি অপপ্রচারের পরও মানুষ সুন্দরবনের পক্ষে
বিশ্ববিদ্যালয় কেমন মানুষ তৈরি করছে
মহান স্ট্যালিনকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে
‘ভালোবাসা দিবস’র আড়ালে যে রক্তস্নাত লড়াইয়ের ইতিহাস আমরা ভুলতে বসেছি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কি এভাবেই চলবে?
ফিদেল ক্যাস্ত্রো ও কিউবা
সংগঠন সংবাদ