ঢাকা ১৬(মিরপুর-পল্লবী) আসনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতা নাঈমা খালেদ মনিকার কোদাল মার্কার সমর্থনে এক নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪ টায় মিরপুর সাড়ে ১১ এর নিকটস্থ ঈদগাহ মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নাঈমা খালেদ মনিকার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট, স্থানীয় বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতা মাহমুদুল হক আরিফ এবং পরিচালনা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী ছাত্র নেতা রাশেদ শাহরিয়ার। প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী নাঈমা খালেদ মনিকা। বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মুজিবুল হক আরজু, বাসদ (মার্কসবাদী) ঢাকা মহানগরের নেতা ফকরুদ্দিন কবির আতিক, কমিউনিস্ট পার্টি ঢাকা মহানগর কমিটির সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ নেতা শবনম হাফিজ, গণসংহতি আন্দোলন নেতা শাহ মান্না, , সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রিয় সভাপতি মাসুদ রানা, নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, স্থানীয় শ্রমিক নেতা মকবুল হোসেন,শামীম মিয়া, মিজান পাটোয়ারী, মো:আপন, ছাত্র ফ্রন্ট নেতা মীরপুর থানা শাখা সজীব চৌহান প্রমুখ।
সমাবেশে বাম জোটের প্রার্থী নাঈমা খালেদ মনিকা বলেন, নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারবে কিনা অনিশ্চয়তা আছে। চারদিকে অবরুদ্ধ আতংকের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। আমাদেও পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। এই প্রতিকুল পরিবেশের মধ্যে ভোটাধিকারসহ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বামপন্থিরা নির্বাচনে লড়ছে। নির্বাচন কমিশন সকলের জন্য সমান সুযোগ ও পরিবেশ তৈরি করছেনা । জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান সকল বাধা উপেক্ষা করে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।
তিনি আরো বলেন, বাস্তবে স্বাধীনতা পরবর্তী ৪৭ বছরে দেশ শাসন করা সকল সরকারই কিছু সংখ্যক শিল্পপতি-পুঁজিপতি ও লুটেরা-মাফিয়াদের স্বার্থে দেশ চালিয়েছে। কিন্তু গত ১০ বছরে আওয়ামী শাসনে যে অভাবনীয় লুটপাট, দুর্নীতি ও শোষনের মধ্য দিয়ে কিছু সংখ্যক লোক বিপুল টাকার মালিক হয়েছে – এটা অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। আজ দেশের ১০ শতাংশ পরিবারের হাতে দেশের মোট সম্পদের ৩৮ ভাগ কুক্ষিগত।
তিনি আরো বলেন, ঘনবসতিপূর্ন মিরপুর-পল্লবী অঞ্চলে দিন দিন বাড়িভাড়া বাড়ছে। নিম্ন আয়ের মানুষের কাজ ও আবাসনের নিশ্চয়তা নেই। বস্তিবাসীরা চাঁদাবাজদের অত্যাচারের শিকার। আওয়ামী দুশাসন থেকে মুক্তির জন্য জনগণ এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্ত এও ঠিক যে কেবল নির্বাচন সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমেই এই আকাঙ্খিত মুক্তি আসবেনা। তাই সরকারে যারাই আসুক না কেন, আন্দোলনই জনগণের অধিকার আদায়ের একমাত্র গ্যারান্টি। এর মধ্য দিয়েই বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে উঠবে, যা যথার্থবিপ্লবী দলের নেতৃত্বে সমাজ পরিবর্তন ঘটাবে। আন্দোলনের এই শক্তিকে কোদাল মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।