গাজীপুরের মাল্টি ফ্যাবস পোশাক কারখানার সামনে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ৭ জুলাই ২০১৭ বিকেল সাড়ে ৪ টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অবিলম্বে মালিককে গ্রেফতার, নিহত শ্রমিকের এক জীবনের ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহত শ্রমিকের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং ক্ষতিপূরণ আইন সংশোধনের দাবি করা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের অন্যতম নেতা আ ক ম জহিরুল ইসলাম। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিকনেতা মোশরেফা মিশু, ইসমাইল হোসেন, প্রকাশ দত্ত, জুলহাস নাঈম বাবু, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, ডা. শামসুল আলম ও তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন মশিউর রহমান খোকন। সমাবেশ থেকে আজ ঐ অঞ্চলে শোকদিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ শ্রমিকরা সেখানে কালো ব্যাচ পড়ে নিহত শ্রমিকদের জন্য শোক পালন করছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন- বাংলাদেশে বয়লার বিস্ফোরণ, অগ্নিকা-, ভবনধস, নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এবং কর্মস্থলে নানাবিধ দুর্ঘটনায় এপর্যন্ত অসংখ্য শ্রমিক নিহত ও আহত হয়েছে। গাজীপুরের মাল্টি ফ্যাবস কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিকের মৃত্যু এটা কোন দুর্ঘটনা নয় মালিকের গাফিলতির কারণে এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। মালিকের অবহেলার কারণেই কারখানাগুলোতে এধরনের দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে। সরকার আগের ঘটনাগুলোতে যদি মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে সকল কারখানায় কাজের সুষ্ঠু কর্ম পরিবেশ নির্মাণ করতো তাহলে কারখানাগুলোতে এভাবে শ্রমিকদের আগুনে পুড়ে, ভবন চাপা পড়ে এবং বয়লার বিস্ফোরণসহ নানাবিধ দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের মরতে হতো না। বাংলাদেশ সরকার শ্রমিকের জীবনহানির ঘটনায় দায়ী মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ দূরের কথা সরকার মালিক পক্ষের হয়ে এধরনের ঘটনায় মালিক শ্রেণির বিরুদ্ধে গড়ে উঠা শ্রমিক আন্দোলন পুলিশ, গুন্ডা-মাস্তান দিয়ে কঠোর হস্তে দমন করে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে শ্রমিক হত্যার দায়ে পোশাক কারখানার মালিকের গ্রেফতার, শ্রমিকের এক জীবনের ক্ষতিপূরণ অর্থাৎ ৪৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা ও ক্ষতিপূরণ আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করার দাবি জানানো হয় এবং এই মালিকি ব্যবস্থা উচ্ছেদের জন্য সংঘবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।