বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখার উদ্যেগে সুনামগঞ্জসহ হাওর অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ, নদী খনন এবং বাধঁ নির্মানের কাজে দূর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধের দাবিতে ৯মার্চ’১৮ বিকাল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়ের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সুশান্ত সিনহার পরিচালনায় সিটি পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সদস্য এডভোকেট হুমায়ুন রশীদ সোয়েব, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক মুখলেছুর রহমান,বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক ইশরাত রাহী রিশতা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সভাপতি রেজাউর রহমান রানা প্রমুখ। সমাবেশ পরবর্তিতে একটি মিছিল সিটি পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে আম্বরখানায় গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত বছরের অকাল বণ্যায় ফসল হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন সুনামগঞ্জসহ দেশের প্রায় লক্ষ লক্ষ হাজার কৃষক পরিবার। এই বণ্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় বাঁধ নির্মাণে দূর্নীতি,সময় মত বাধঁ নির্মান না করা, নদী ভরাট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি অর্থাৎ এ দূর্যোগ ছিল অনেক বেশি মনুষ্যসৃষ্ট। এই দূর্নীতি,গাফিলতির সাথে সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও প্রসাশনের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তার নামও পত্র পত্রিকায় এসেছিল। কৃষকদের আন্দোলন, সমাজের বিভিন্ন মহলের চাপে সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যথা সময়ে বাধঁ নির্মাণ ও নদী খনন করবে, বাধঁ নির্মাণে খোদ কৃষকদের যুক্ত করা হবে। কিন্তু এত কিছুর পরও সরকার তার প্রতিশ্রুতি আবার ভঙ্গ করলো। এ বছরের ২৮ ফ্রেবুয়ারির মধ্যে বাধেঁর কাজ শেষ হওয়ার কথা, অথচ কাজ বাকি রয়েছে প্রায় ৪০ ভাগ, শুধু তাই নয় ডিসেম্বরে বাধঁ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোন কোন জায়গায় এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি। বাধঁ নির্মান প্রকল্পে আবার শুরু হয়েছে লোটপাট,দূর্নীতি,প্রায় প্রতিটি বাধঁ নির্মাণের সাথে যুক্ত হয়েছে সরকার দলীয় সংগঠনের নানা স্থরের নেতারা। ফলে একদিকে যেমন বাঁধ নির্মাণে ধীরগতি হচ্ছে, অন্যদিকে লোটপাট হচ্ছে প্রকল্পের টাকা। তাই কৃষকদের মনে আবারো ফসল হারানোর আতঙ্ক জেগে উঠেছে। তাই দ্রুত বাধঁ নির্মান,নদী খনন এবং দূর্নীতি ও অনিয়মের সাথে যুক্তদের বিচার হওয়া জরুরি। একই সাথে গত বছরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষিঋণ মওকুফ, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান,সরকারি উদ্যোগে কৃষি ঋণ প্রদান এবং বিভিন্ন এনজিওদের দৌরাত্ব বন্ধ করে কৃষকদের রক্ষা করা দরকার।
বক্তারা উক্ত দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।