Sunday, November 24, 2024
Homeসাম্যবাদসাম্যবাদ - ডিসেম্বর ২০১৫আন্দোলন ও সংগঠন সংবাদ - সাম্যবাদ ডিসেম্বর ২০১৫

আন্দোলন ও সংগঠন সংবাদ – সাম্যবাদ ডিসেম্বর ২০১৫

বগুড়ায় শিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে গুলিবর্ষণ-হত্যার নিন্দা ও বিচার দাবি
নিরাপত্তাহীনতা ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ২৭ নভেম্বর এক বিবৃতিতে বগুড়ার শিবগঞ্জে শিয়া মসজিদে নামাজরতদের ওপর বন্দুকধারী হামলাকারীদের গুলিতে মসজিদের মুয়াজ্জিন নিহত ও কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে ঘাতকদের গ্রেপ্তার-বিচার দাবি করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক মহাজোট সরকারের গণবিরোধী শাসনে দেশে আজ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। এই সুযোগে ইসলামী উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও সন্ত্রাসবাদী রাজনীতির বিস্তার ঘটাতে উঠে-পড়ে লেগেছে। এর প্রাথমিক শিকার হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ভিন্নমতাবলম্বীরা। এর আগেও ঢাকার হোসেনী দালানে শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর বোমা হামলায় দুইজন নিহত হয়েছে, খ্রীস্টান ধর্মযাজক হত্যার চেষ্টা হয়েছে। গতকালই আবার রংপুর এলাকার পাদ্রীদের হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত কয়েকমাস ধরে ব্লগার-প্রকাশক হত্যা, মাজার ও সুফিপন্থীদের খুন করা, বিদেশি নাগরিক হত্যা ও পুলিশ খুন — ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত এসব ঘটনার পরও সরকার এসবকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাবি করে এসেছে। আক্রান্তদের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পালন না করে বরং এসব ঘটনা থেকে সরকার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে। সরকারের দায়িত্বহীনতা ও মৌলবাদী জঙ্গীগোষ্ঠীর বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের ফলে সৃষ্ট নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সুযোগে বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী নানা ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্র সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে, জনগণকেই আজ নিরাপত্তার দাবিতে, মৌলবাদী ধ্যান-ধারণা ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। একইসাথে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি — যারা সন্ত্রাসবাদকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগায় — তাদের অপতৎপরতা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।

হোসেনী দালান পরিদর্শন বাম মোর্চা নেতৃবৃন্দের

DLA_26.10.15 (07)

আশুরার প্রাক্কালে বোমায় আক্রান্ত হোসাইনী দালান ইমামবাড়া ও আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যেয়ে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, এই মর্মান্তিক ঘটনাকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করার কোনো অবকাশ নেই। নেতৃবৃন্দ শিয়া সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিধানসহ ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করার জন্যে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে তারা আহতদের উপযুক্ত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবারও আহ্বান জানান।

২৫ অক্টোবর সকালে হোসাইনী দালান পরিদর্শনকালে শিয়া নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের যাবতীয় অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জোরদার করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মোর্চার নেতৃবৃন্দ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাম মোর্চার সমন্বয়ক সাইফুল হক, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, আবদুস সালাম, কামরুল আলম সবুজ, বহ্নিশিখা শিখা জামালী, আকবর খান, মুখলেছুর রহমানসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

রামপালে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ‘সুন্দরবন রক্ষা সংহতি দিবস’ পালন বাম মোর্চার

গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত ‘সুন্দরবন রক্ষা’ সংহতি সমাবেশে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বলেছেন, এই সরকারের হাতে এদেশের মানুষের জীবন থেকে সুন্দরবন তথা জাতীয় সম্পদ পর্যন্ত কোনো কিছুই আর নিরাপদ নয়। বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুন্দরবনের অদূরে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প সুন্দরবনসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের জন্য অচিরেই এক ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। তারা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক বিকল্প আছে, কিন্তু সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই। চাপের মুখে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনকূলে ছাড়পত্র নেয়া হয়েছে। তারা প্রকল্পের সমুদয় কাজ স্থগিত করে প্রয়োজনে স্বাধীন সমীক্ষা কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। দেশব্যাপী আহুত ‘সুন্দরবন রক্ষা সংহতি’ দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসাবে ৫ নভেম্বর বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাম মোর্চার সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক আকমল হোসেন, প্রকৌশলী ম ইনামুল হক, ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়–য়া, সাংবাদিক আবু সাইদ খান, অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, শিল্পী-লেখক অরূপ রাহী, এড. হাসনাত কাইয়ুম, সংস্কৃতিকর্মী মফিজুর রহমান লাল্টু, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, এড. আব্দুস সালাম, মোশাররফ হোসেন নান্নু, মোশরেফা মিশু, হামিদুল হক, ইয়াসিন মিয়া, বহ্নিশিখা জামালী প্রমুখ। খুলনা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, রাজশাহী, বগুড়া, পিরোজপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, দিনাজপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের ৪৫টির বেশী জেলায় সমাবেশ, র‌্যালি ও মানববন্ধনের মাধ্যমে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সংহতি সমাবেশের সভাপতি সাইফুল হক সুন্দরবন রক্ষায় ঢাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর অভিমুখে বিক্ষোভ, পদযাত্রা, দেশব্যাপী সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
খাগড়াছড়ি : বাসদ (মার্কসবাদী) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উদ্যোগে শহরের শাপলা চত্বরে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে অরিন্দম কৃষ্ণ দে-র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাসদ (মাকর্সবাদী) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহ্বায়ক জাহেদ আহমেদ টুটুল, শাহাদাত হোসেন, নাজির হোসেন, কবির হোসেন ও কৃষ্টি চাকমা। মানববন্ধন শেষে একটি মিছিল শাপলাচত্বর থেকে শুরু করে ডিসি অফিসের মোড় ঘুরে শাপলা চত্বরে এসে শেষ হয়।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রসঙ্গে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ

গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক সাইফুল হক ও মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, সিদ্দিকুর রহমান, মোশারফ হোসেন নান্নু, জোনায়েদ সাকি, মোশরেফা মিশু, ইয়াসিন মিয়া ও হামিদুল হক গত ২৭ অক্টোবর এক যুক্ত বিবৃতিতে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বক্তব্যকে ‘চরম বিভ্রান্তিকর ও সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী ভুল ও অগ্রহণযোগ্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে সুন্দরবন বিপন্নকারী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের পক্ষে যুক্তি দেবার চেষ্টা করেছেন।

কয়লাভিত্তিক এই বিরাট বিদ্যুৎ প্রকল্প যে সুন্দরবন, দক্ষিণাঞ্চলের নদীর পানি, মৎস্য সম্পদ, হাজারো প্রাণ-প্রকৃতি ও জীব বৈচিত্র্যের উপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে দেশী-বিদেশি গবেষক, বিশ্লেষক, পরিবেশবিদ ও বিভিন্ন সংস্থার গবেষণাতেই তা স্পষ্ট। সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের সমীক্ষাতেও তা বেরিয়ে এসেছে। সরকারি চাপের মুখে পরিবেশ অধিদপ্তর এখন সরকারের চাহিদা অনুযায়ী পরিবেশ সমীক্ষা রিপোর্ট দিলেও বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়টি পুরোপুরি তারা এড়িয়ে যেতে পারেনি। নেতৃবৃন্দ বলেন বিরাট আপত্তির মুখে রামপালেই কেন এই প্রকল্প নির্মাণ করতে হবে মন্ত্রী এর গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, ভারতীয় কোম্পানি ভারতীয় আইনের কারণে ভারতেই বনাঞ্চলের ২৫ কি.মিটারের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করতে পারেনি। তারা বলেন প্রকল্পের ধোঁয়া ও বর্জ্য অপসারণে ‘সুপার ক্রিটিক্যাল’ প্রযুক্তি হিসাবে যা বলা হচ্ছে তা নিতান্তই খোঁড়াযুক্তি। ভারতেই এই ধরনের প্রযুক্তির কোনো কার্যকারীতা দেখা যায়নি। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে পরিবেশ বিপর্যয়কারী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করার আহ্বান জানান। তারা প্রয়োজনে স্বাধীন সমীক্ষা কমিশন গঠনেরও দাবি জানান।

প্রকাশক দীপন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

একের পর এক হত্যাকান্ডের দায় সরকারকেই নিতে হবে

Teacher-Student rally

প্রকাশক দীপন হত্যাকারী ও তিন লেখক-প্রকাশক হত্যাচেষ্টাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র উদ্যোগে ১ নভেম্বর বিকেল ৪টায় তোপখানা রোডে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য মানস নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জহিরুল ইসলাম, ফখরুদ্দিন কবির আতিক।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনার কোনো বিচার না হওয়ায় খুনিদের এ ধরনের আক্রমণ চলছে। ফলে জনগণের জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের দায়িত্বহীনতা আজ নগ্নভাবে উন্মোচিত হয়েছে। উপরন্তু সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য খুনিদের মদদ দেয়ার সামিল। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকার মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের বাধা তৈরী করার জন্য নানান অগণতান্ত্রিক আইন জারি করে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির সহযোগী ভূমিকায় অবতীর্র্ণ হয়েছে। সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রশ্রয় ছাড়া এ ধরনের খুনি চক্র গড়ে উঠতে পারে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান অবক্ষয়ী বুর্জোয়া ব্যবস্থা ও সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন বহাল থাকলে সমাজদেহ থেকে হত্যা-সন্ত্রাসের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যাবে না। বামপন্থিদের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম জোরদার করেই এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ১ নভেম্বর সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাশেদ শাহরিয়ার, নাঈমা খালেদ মনিকা ও মাসুদ রানা। একই ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, রংপুর, কারমাইকেল কলেজে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

১ নভেম্বর বেলা ১২টায় প্রগতিশীল ছাত্রজোট এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করে। প্রকাশক দীপন হত্যাকারী ও তিন লেখক-প্রকাশক হত্যাচেষ্টাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী-লেখক-নাগরিকবৃন্দের’ ব্যানারে ২ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ঐক্য ফোরাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল টিএসসি চত্ত্বর, জাতীয় জাদুঘর ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দীপনসহ সকল হত্যাকা-ের খুনীদের গ্রেফতার ও বিচার করতে ব্যর্থ স্বরাষ্টমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। কুশপুত্তলিকা দাহ শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈকত মল্লিক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক ফয়সাল ফারুক অভিক, ছাত্র ঐক্য ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আল ইমরান।

চট্টগ্রাম : লেখক, মুক্তচিন্তার মানুষ ও প্রকাশক হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এবং বিচারহীনতা ও সরকারের দায়িত্বহীনতার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-লেখক-পাঠক-প্রকাশক ও নাগরিকবৃন্দের উদ্যোগে প্রেসক্লাব চত্বরে প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন – অধ্যাপক আবুল মনসুর, বিশিষ্ট লেখিকা ফেরদৌস আরা আলীম, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বব্যিালয়ের শিক্ষক রিগ্যান মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, শিক্ষক আমিরুর ইসলাম, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতি ও বলাকা’র স্বতাধীকারী জামাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির সভাপতি শাহ আলম নিপু, আইনজীবী মুজিবুল হক, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতা ফরহাদ জামান জনি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সত্যজিত বিশ্বাস, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য সোমা, কবি আরণ্যক টিটু, স্বরূপ সুপান্থ, বই পড়ুয়া গ্রুপের হিল্লোল দত্ত।

সমাবেশে অধ্যাপক আবুল মনসুর বলেন, স্বাধীন দেশে এই সময়ের মত চরম নিরাপত্তাহীনতা আর কখনো অনুভব করি নি। ভয় এবং নির্বিকারত্ব কাটিয়ে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। বক্তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন — ‘বিচ্ছিন্ন হত্যাকান্ড’ বলে তিনি ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছেন, আর এতে উৎসাহিত হচ্ছে ধর্মান্ধ খুনিরা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, খুন করা এদেশে অপরাধ নয়, চিন্তা প্রকাশ করাই যেন অপরাধ। ক্ষমতা গদি রক্ষার জন্য রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার করে, ধমার্ন্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠীকে লালন-পালন করে কখনো এসব হত্যাকা- থামানো যাবে না। এ কঠিন পরিস্থিতিতে আজ সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

ফ্রান্সে সাধারণ মানুষের ওপর হামলায় তীব্র নিন্দা

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল(মার্কসবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে থিয়েটার হল এবং জাতীয় স্টেডিয়াম সহ ফ্রান্সের ৬টি স্থানে হামলা করে ১৩২ জন সাধারণ মানুষ হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এ ভয়াবহ হামলা ও হত্যাকান্ড গভীর চক্রান্তের অংশ। ফ্রান্সের মতো উন্নত রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে এ ধরনের সংঘবদ্ধ সশস্ত্র হামলাকে সাধারণভাবে দেখার সুযোগ নেই। দেশে দেশে উগ্র মৌলবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠির লালনকর্তা যে সাম্রাজ্যবাদ, অতীত অভিজ্ঞতায় এ কথা সবারই কাছে স্পষ্ট।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজ পুঁজিবাদের সর্বাত্মক সংকটের যুগে কী উন্নত কী অনুন্নত সমস্ত দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধিতে জীবনধারণ অসম্ভব হয়ে উঠছে। বেকারত্ব ও কর্মসংকোচন মানুষকে চরম অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অস্থির ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ পুঁজিবাদি অর্থনীতি টিকে থাকার মরিয়া চেষ্টায় প্রবল আঘাত হানছে শ্রমজীবী মানুষের উপর। ফলে বেঁচে থাকার তাগিদে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন দানা বেধে উঠছে। দুনিয়ার সকল দেশেই এ ধরনের আন্দোলনে ভীত শাসকগোষ্ঠী চক্রান্তের পথে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। একদিকে বর্ণবাদ-সম্প্রদায়িকতা-উগ্র জাতীয়তাবাদ ইত্যাদির ভাবাবেগে আচ্ছন্ন করা, ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা সংঘটিত করে মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে তোলা, অন্যদিকে এ পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে দমন পীড়ন জোরদার করা — এসবই এ ষড়যন্ত্রের অংশ।’ তিনি আমাদের দেশের সকল গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল শক্তি সহ বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষদের এ ধরনের জঘন্য হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে এবং পুঁজিবাদ সাম্রাজ্যবাদ অবসানের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আন্দোলনের বিজয়

এসএসসি ফরম পূরণে আদায়কৃত অতিরিক্ত ফি ফেরত চট্টগ্রাম ও রংপুরে

চট্টগ্রাম: সরকারের শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ-বেসরকারিকরণ নীতির ফলে স্কুল থেকে উচ্চ শিক্ষা সবক্ষেত্রেই ছাত্রদের উপর শিক্ষা ব্যয়ের বোঝা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিবছরই এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় স্কুলগুলোতে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় নিয়মবহির্ভূত বাড়তি ফি। এবছর শিক্ষাবোর্ড নির্ধারিত ফি বিজ্ঞান শাখায় ১৪৫৫ এবং মানবিক ও ব্যবসা শাখায় ১৩৫৫ টাকা। বিভিন্ন বেসরকারি ও এমপিওভুক্ত স্কুলগুলো নির্ধারিত ফি’র তোয়াক্কা না করে কোচিং ফি, উন্নয়ন ফি ইত্যাদি নামে-বেনামে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করেছে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর শাখা এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণের নামে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। অক্টোবরের ১ম সপ্তাহ থেকে নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলাকালীন সময় ছাত্র ফ্রন্টের কর্মীরা ছাত্র ও অভিভাবকদের কাছে লিফলেট বিলির মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করে এবং পরবর্তীতে ‘ফরম পূরণে কোনো প্রকার বাড়তি ফি আদায় করা যাবে না’ এই দাবিতে ছাত্র ও অভিভাবকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। ১৫ অক্টোবর এই দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। নির্বাচনী পরীক্ষা শেষে ছাত্র ও অভিভাবকদেরকে যুক্ত করে ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল ছাত্রদের উদ্যোগে স্কুল ভিত্তিক মানববন্ধন, প্রধান শিক্ষকের কাছে স্মারকলিপি এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত ৪৭টি স্কুলে ফি নির্ধারণ হয় ৫৪৫৫ ও ৫২৫৫ টাকা। সিটি কর্পোরেশন স্কুল ছাত্রদের উদ্যোগে ১০ই নভেম্বর মেয়র বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। ছাত্র ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে ছাত্র ফ্রন্টের ধারাবাহিক আন্দোলনের এক পর্যায়ে মেয়র বাড়তি ফি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। যে সকল স্কুলগুলো ইতোমধ্যে বাড়তি ফি আদায় করেছে তারাও ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে । অন্যান্য বেসরকারি স্কুলগুলো বাড়তি ফি আদায়ের প্রতিবাদে ১২ নভেম্বর বোর্ড চেয়ারম্যানের বরাবর অভিযোগ পত্র পেশ ও শিক্ষাবোর্ডের সামনে সমাবেশ করা হয়। নগর সভাপতি তাজ নাহার রিপনের সভাপতিত্বে এবং জয়তু সুশীলের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি মুক্তা ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক আরিফ মঈনুদ্দীন, মাহফুজা খাতুন মলি, মো. সাইয়েম, রামপ্রসাদ দে। বক্তারা বলেন, ‘শিক্ষা মৌলিক অধিকার। অথচ, শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করে শিক্ষাকে ক্রমাগত বেচাকেনার পণ্যে পরিণত করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় স্কুলগুলো বাড়তি ফি আদায় করছে কিন্তু তার কোনো তদারকি নেই। বক্তারা উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে স্কুলগুলোতে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধেবোর্ড কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসকের তদারকি এবং ফি আদায় করলে তা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।

রংপুর: ১ নভেম্বর সকাল ১১টায় ছাত্র ফ্রন্ট রংপুর জেলার উদ্যোগে প্রেসক্লাব চত্বরে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি আহসানুল আরেফিন তিতুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকনের পরিচালনায় সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সাহারা ফেরদৌস, বাসদ(মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেন চাঁদ, প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি দেবদাস ঘোষ দেবু, জনস্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ, অভিভাবক মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র ইউনিয়নের প্রদীপ রায়, ছাত্র ফেডারেশনের রবিউল ইসলাম রনি, হোজায়ফা সাকওয়ান জেলিড, মনোয়ার হোসেন প্রমুখ। গত ১৬ নভেম্বর ছাত্র ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাত করেন। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ধারাবাহিক আন্দোলনের মুখে স্কুলগুলোকে এসএসসি ফরম পূরণের অতিরিক্ত ফি ফেরতের নির্দেশ দিলেন রংপুরের জেলা প্রশাসক। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে এসএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে গত ১৯ নভেম্বর সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল-মানববন্ধন ও সমাবেশের পর জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি আহসানুল আরেফিন তিতুর সভাপতিত্বে কাচারী বাজার চত্বরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, রোকনুজ্জামান রোকন, অভিভাবক সালাউদ্দিন মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন, ওয়াহাব শাহ, আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের, শিক্ষার্থী অদ্রি রহমান, সংগিতা দাস, শেখ সাদি, জয়, ফারজানা, তুষার প্রমুখ। সমাবেশে জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার বলেন, হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে বোর্ড নির্ধারিত ফি-র অতিরিক্ত ফি আদায় অত্যন্ত দুঃখজনক। যে সমস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ফি আদায় করেছে তা অবিলম্বে ফেরত দিতে প্রত্যেক স্কুলে নোটিশ পাঠানো হবে।

পীরগাছা: এস.এস.সি ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত ফি নির্ধারণের প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট পীরগাছা উপজেলা শাখার উদ্যোগে গত ২৮ অক্টোবর মানববন্ধনÑসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টায় পীরগাছা চৌরাস্তার মোড়ে মানববন্ধন চলাকালীন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ফ্রন্ট পীরগাছা উপজেলা সংগঠক অন্তরা, বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, কারমাইকেল কলেজ সভাপতি আবু রায়হান বকসি, উপজেলা সংগঠক বিপ্লব রায় প্রমুখ।

গাইবান্ধা: আসন্ন এসএসসি’র ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে ১২ নভেম্বর গাইবান্ধা শহরের ১নং ট্রাফিক মোড়ে এক মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবরে এক অভিযোগ পত্র প্রদান করা হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্ট জেলা শাখার সভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, শামীম আরা মিনা, পরমানন্দ দাস, মাহবুব আলম মিলন, শাহীন আলম, এসএসসি পরীক্ষার্থী রায়হান মিয়া, রাসেল মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা অবিলম্বে শিক্ষাবোর্ড নির্ধারিত ফি বিজ্ঞান ১ হাজার ৪০০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ১ হাজার ৩৯০ টাকা বিপরীতে গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ২ হাজার ৮৯০, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষায় ২ হাজার ৭৮০ টাকা, গাইবান্ধা এনএইচ মডার্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ২ হাজার ৬৭৫, মানবিক ও ব্যবসায় ২ হাজার ৪৯৫ টাকা, হরিণসিংহা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ২ হাজার ৬০০, মানবিক ও ব্যবসায় ২ হাজার ৫০০ টাকা ও দারিয়াপুর আমান উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ২ হাজার ১০০, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষায় ২ হাজার টাকা ফি বাতিলের আহবান জানান। সেই সাথে জেলার অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোকে এসএসসির নির্ধারিত বোর্ড ফি নেওয়ারও আহবান জানান।

SSC Form _Dinajpur 2দিনাজপুর: ছাত্র ফ্রন্ট দিনাজপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে ১৬ অক্টোবর সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আহবায়ক এএসএম মনিরুজ্জামান, মিষ্ঠু বিশ্বাস, আজিজার রহমান, গোবিন্দ চন্দ্র রায়, সুকুমার রায় সৌরভ। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। স্কুলগুলোতে এস.এস.সি ফরম পূরণ বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ করতে বোর্ড কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ; অতিরিক্ত ফি আদায়ের সাথে জড়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ; স্কুলগুলোতে কোচিং ও টেস্ট পেপার কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা এবং রশিদ বিহীন ফি আদায় বন্ধ করা Ñ এই তিন দফা দাবিতে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসাবে গত ২৫ অক্টোবর বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ ও জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

রুনা আক্তার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনীর সামনের রাস্তায় সরকারি কর্মচারী রুনা আক্তার হত্যাকারী আল আমিনসহ বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নারীমুক্তি কেন্দ্র ও ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে ২৪ অক্টোবর বিকাল ৪টায় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারীমুক্তি কেন্দ্র ঢাকা নগর শাখার সহ সভাপতি মর্জিনা খাতুন এবং সভা পরিচালনা করেন ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক শরিফুল চৌধুরী। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নারীমুক্তি কেন্দ্র’র কেন্দ্রীয় সভাপতি সীমা দত্ত, ঢাকা নগর শাখার সভাপতি এড. সুলতানা আক্তার রুবি, নাঈমা খালেদ মনিকা, মাসুদ রানা। আরো বক্তব্য রাখেন নিহত রুনা আক্তারের বাবা মো. সোবহান ও বোন তানিয়া আক্তার।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় বখাটেদের মটর বাইকের চাপায় নিহত হন রুনা আক্তার। মটরবাইকে ওড়না পেঁচিয়ে রাস্তার ওপর টেনে হিঁচড়ে নিয়ে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর মাত্র একজন আসামী আল আমিন গ্রেফতার হলেও অন্যান্য আসামী এখনও গ্রেফতার হয়নি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান।

রুনার বাবা মো: সোবহান ও বোন তানিয়া আক্তার হত্যাকারী আল আমিনসহ বখাটেদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তারা বলেন ইতোমধ্যে অপরাধীরা তাদের হুমকি দিচ্ছে। পুলিশও সহযোগিতা করছে না। বরং সরাসরি ঘটনা প্রত্যক্ষ না করেও মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটা কোনো ভাবেই হত্যাকা- নয় বলে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন। প্রশাসনের এই ধরনের দায়িত্বহীন বক্তব্য অপরাধীদেরই প্রশ্রয় যোগাবে। রুনার খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে প্রশাসনকে বাধ্য করার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে তারা সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

Gazipurp -BSKF

বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন গাজীপুর জেলা শাখার প্রথম জেলা সম্মেলন গত ৯ অক্টোবর বিকাল ৩টায় গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তায় অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী। মশিউর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে ও এড. ফরিদা ইয়াসমিন নাইসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড জহিরুল ইসলাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ দত্ত, স্থানীয় শ্রমিক সংগঠক মনিরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, শাহজালাল প্রমুখ।

সম্মেলনকে সামনে রেখে ২ অক্টোবর জেলার বিভিন্ন এলাকা ও ট্রেডের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে জহিরুল ইসলামকে সভাপতি ও মশিউর রহমান খোকনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে প্রথম গাজীপুর জেলা কমিটি গঠন করা হয়। সম্মেলনের সমাবেশে জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী শ্রমিক আন্দোলনকে সকল প্রকার আপোষকামিতা-সুবিধাবাদ পরাস্ত করে শোষণমূলক পুঁজিবাদী ব্যবস্থা উচ্ছেদের লক্ষ্যে পরিচালিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শুধু অর্থনৈতিক দাবী-দাওয়ার ভিত্তিতে আন্দোলন বেশীদূর এগিয়ে নেওয়া যাবে না। কারণ বর্তমান সময়ে পুঁজিবাদের চূড়ান্ত সংকটকালে মালিক শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষায় সরকার ক্রমাগত গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে চলছে। ফলে শ্রম আইন সংশোধন, ট্রেড ইউনিয়ন সংকোচন, ছাঁটাই, নিম্নতম মজুরি ইত্যাদির মাধ্যমে এ আক্রমণ নামিয়ে আনছে। একে মোকাবেলা করতে হলে রাজনীতি সচেতন বিপ্লবী ধারার ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

গত ২৯ ও ৩০ অক্টোবর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের ২ দিনব্যাপী কর্মী সম্মেলনে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি বক্তব্য রাখেন। এ সম্মেলনে দেশের জেলা, শিল্পাঞ্চল ও সেক্টরের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন। সংগঠনের সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, কমরেড মানস নন্দী। সম্মেলন পরিচালনা করেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড উজ্জল রায়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মালিকানা নির্বিশেষে সকল ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম জাতীয় মজুরি ১৬০০০ টাকা ও ইপিজেড সহ সর্বক্ষেত্রে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়নের দাবি জানান।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখার ১০ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত

IMG_4253
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ১০ম সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইভা মজুমদার -কে সভাপতি, সুস্মিতা রায় সুপ্তি-কে সহ-সভাপতি, সালমান সিদ্দিকী-কে সাধারণ সম্পাদক এবং প্রগতি বর্মণ তমা-কে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ১১ সদস্যের বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠিত হয়েছে।

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ঢাবি’র সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড ফখরুদ্দিন কবির আতিক এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাশেদ শাহরিয়ার। আলোচনা সভা শেষে একটি সুসজ্জিত র‌্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
আলোচনায় ড. সামিনা লুৎফা বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে দেশের পরিস্থিতি যে জায়গায় গেছে তাতে ব্যক্তিগতভাবে কেউ আজ নিরাপদ থাকতে পারছে না। শুধু নিজেদের কথা ভেবে পাশের মানুষটিকেও রক্ষা করা যাচ্ছে না। চরম অসহিষ্ণুতার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতে মতভিন্নতা হলে খুন পর্যন্ত করা হচ্ছে। এ অবস্থায় মানুষের মতো বাঁচতে হলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া আমাদের সামনে কোনো বিকল্প পথ নেই।’

রংপুরে কৃষক ফ্রন্টের কমিটি

সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট রংপুর জেলা শাখার কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ১২ নভেম্বর সকাল ১১টায় বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের জেলা সংগঠক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হাবীব সাঈদ, পলাশ কান্তি নাগ। সভায় বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক-ক্ষেতমজুর প্রতিনিধিদের সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে আনোয়ার হোসেন বাবলুকে আহবায়ক ও আনোয়ারুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়।

হারাগাছে বিড়ি শ্রমিক পুনর্বাসন সংগ্রাম কমিটি গঠিত

হারাগাছের সারাই পোদ্দারপাড়া সরকারি প্রাথমিক স্কুল মাঠে বিড়ি শ্রমিকদের এক সভা গত ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভায় আলোচনা করেন বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলা সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু এবং ভুক্তভোগী বিড়ি শ্রমিকরা। আনোয়ার হোসেন বাবলু অবিলম্বে বিড়ি শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। বৈঠক শেষে নজরুল ইসলামকে আহবায়ক করে ১২ সদস্যবিশিষ্ট সংগ্রাম কমিটি ঘোষণা করা হয়।

চাঁদপুরে পার্টির নতুন অফিস উদ্বোধন

বাসদ (মার্কসবাদী) চাঁদপুর জেলা শাখার নতুন অফিস উদ্বোধন হয়েছে গত ৪ ডিসেম্বর। জেলা শহরের নতুন বাজারস্থ পৌর মার্কেটের ৪র্থ তলায় অফিসটি নির্মাণে দলের নেতা, কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীগণ অর্থায়ন করেন। শুক্রবার সকালে অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে নতুন অফিসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড আলমগীর হোসেন দুলালের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন কমরেড মানস নন্দী, কমরেড দলিলুর রহমান দুলাল, কমরেড জসিম উদ্দিন, পার্টি শুভানুধ্যায়ী কমরেড চন্দন পোদ্দার ও এড. আব্দুল্লা আল ফারুক, চাঁদপুর জেলা কমিটির সদস্য এড. শীতল ঘোষ ও এড. বিধু ভূষণ নাথ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব জিএম বাদশা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন আজিজুর রহমান।

বাঁধাই শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা (রোজ) কাজের মজুরি ২৫০ টাকার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাঁধাই শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা (রোজ) কাজের মজুরি ২৫০ টাকার দাবিতে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে ২৭ নভেম্বর ’১৫ বিকাল ৪টায় পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ্ পার্কের সামনে থেকে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিল শ্যামবাজার, সূত্রাপুর, বাংলাবাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বাহাদুর শাহ্ পার্কে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে সূত্রাপুর থানা শাখার সংগঠক রাজীব চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড জহিরুল ইসলাম, মাসুদ রানা, জামিল হোসেন, শাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাঁধাই শ্রমিক সংগঠক মানিক হোসেন।

রংপুর সদর ভূমি অফিসে ঘুষ প্রদানে বাধ্য করার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি

রংপুর সদর ভূমি অফিসের অফিস সহকারী ফিরোজ কবির, নজরুল ইসলাম, আব্দুল আউয়ালসহ কতিপয় কেরানী জমি খারিজ ও অন্যান্য বিষয়ে জনগণের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ঘুষ প্রদানে বাধ্য করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে গত ৩১ অক্টোবর বাসদ (মার্র্কসবাদী) রংপুর জেলা সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে এই অসাধু কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া না হলে সাধারণ মানুষকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

আন্দোলনের মুখে কারমাইকেল কলেজে অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার

কারমাইকেল কলেজের আইসিটি বিভাগে ল্যাব ও ভাইবার নামে অতিরিক্ত ১২০০ টাকা প্রত্যাহারের দাবীতে শিক্ষার্থীরা গত ১৮ নভেম্বর বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ এবং কলেজ অধ্যক্ষকে ১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের চাপে কলেজ অধ্যক্ষ আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত ১২০০ টাকা ফি প্রত্যাহারের ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। প্রশাসনিক ভবনের সামনের সমাবেশে আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ হোসেন ডলার-এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কলেজ শাখার সভাপতি আবু রায়হান বকসী, সহ-সভাপতি আবু সাঈদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সরকার, শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ, সোহেল রানা, তামান্না প্রমুখ।

কমরেড কৃষ্ণ কমলের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

বাসদ (মার্কসবাদী) বগুড়া জেলা শাখার সাবেক সমন্বয়ক কমরেড কৃষ্ণ কমলের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাসদ (মার্কসবাদী) পীরগাছা উপজেলা শাখার উদ্যোগে ২৬ অক্টোবর বিকেল ৫টায় ডাকুয়ার দীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। রঞ্জন বর্মনের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আলোচনা করেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য কমরেড মনজুর আলম মিঠু, দলের রংপুর জেলা সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, কৃষ্ণ কমলের মেজদাদা শিক্ষক পীযুষ কান্তি বর্মণ, পলাশ কান্তি নাগ, বিপ্লব বর্মণ। স্মরণসভার শুরুতে কমরেড কৃষ্ণ কমলের সংগ্রামী জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

কমরেড আব্বাস উদ্দিনের জীবনাবসান

বাসদ (মার্কসবাদী) নীলফামারী জেলায় প্রধান সংগঠক কমরেড আব্বাস উদ্দিন গত ২৮ নভেম্বর ’১৫ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ করে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। যৌবন থেকেই তিনি বামপন্থী আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সার আন্দোলন, কমরেড তন্না রায়নের নেতৃত্বে জমি ও ফসলের আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০০৬ সালে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-শিবদাস ঘোষের চিন্তাধারার সংস্পর্শে আসেন এবং দলের একজন সংগঠক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি পরিবারের সদস্যদেরকেও পার্টির সাথে যুক্ত করেন। ২৯ নভেম্বর তার শেষকৃত্যে শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তার মৃত্যুতে পার্টি একজন সৎ, একনিষ্ঠ ও দরদী কমরেডকে হারাল।

রোকেয়া স্মরণ

Rokeya-6৯ ডিসেম্বর নারী জাগৃতির পথিকৃৎ মহিয়সী রোকেয়ার ১৩৫তম জন্ম ও ৮৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলী
“কেহ বলিতে পারে যে ‘তুমি সামাজিক কথা বলিতে গিয়া ধর্ম লইয়া টানাটানি কর কেন?’ তদুত্তরে বলিতে হইবে যে, ‘ধর্ম’ শেষে আমাদের দাসত্বের বন্ধন দৃঢ় হইতে দৃঢ়তর করিয়াছে, ধর্মের দোহাই দিয়া পুরুষ এখন রমণীর উপর প্রভুত্ব করিতেছেন। তাই ধর্ম লইয়া টানাটানি করিতে বাধ্য হইলাম। এজন্য ধার্মিকগণ আমাকে ক্ষমা করিতে পারেন।”
“অতএব জাগ, জাগ গো ভগিনী”। “প্রথমে জাগিয়া উঠা সহজ নহে, জানি; সমাজ মহা গোলযোগ বাঁধাইবে, জানি; ভারতবাসী মুসলমান আমাদের জন্য “কৎল”-এর (অর্থাৎ প্রাণদন্ডের) বিধান দিবেন এবং হিন্দু চিতানল বা তুষানলের ব্যবস্থা দিবেন, জানি। (এবং ভগ্নীদিগের জাগিবারও ইচ্ছা নাই, জানি!) কিন্তু সমাজের কল্যাণের নিমিত্ত জাগিতে হইবেই। বলিয়াছিত, কোন ভাল কাজ অনায়াসে করা যায় না। কারামুক্ত হইয়াও গ্যালিলিও বলিয়াছিলেন, কিন্তু যাহাই হউক পৃথিবী ঘুরিতেছে। … আমাদিগকেও ঐরূপ বিবিধ নির্যাতন সহ্য করিয়া জাগিতে হইবে।”

সাম্যবাদ ডিসেম্বর ২০১৫

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments