Monday, December 23, 2024
Homeসাম্যবাদসাম্যবাদ - মে ২০১৮আন্দোলন ও সংগঠন সংবাদ - সাম্যবাদ মে ২০১৮

আন্দোলন ও সংগঠন সংবাদ – সাম্যবাদ মে ২০১৮

বীরেন চন্দ্র শীলসহ সকল গ্রেপ্তারকৃত আন্দোলনকারীদের মুক্তির দাবি

IMG_0875

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ‘আবাদি জমি ও বাস্তুভিটা রক্ষা সংগ্রাম কমিটি’র উপদেষ্টা, বাসদ(মার্কসবাদী) সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক বীরেন চন্দ্র শীলসহ গ্রেপ্তারকৃত ১০ জন আন্দোলনকারীর মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)। আন্দোলনকারীদের উপর শাসকদের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ হয়েছে। ঢাকায় গত ৯ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কেন্দ্রীয়ভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন দুলাল, মানস নন্দী, উজ্জ্বল রায়, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, সাইফুজ্জামান সাকন।

নেতৃবৃন্দ জবরদস্তি ও জালিয়াতি বন্ধ করে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের সম্মতি নিয়ে অকৃষিজমিতে প্রস্তাবিত সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দাবি জানান।

তাঁরা বলেন, “দেশের শীর্ষ ঋণখেলাপি ও শেয়ার বাজার জালিয়াতিতে অভিযুক্ত সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো কোম্পানি সুন্দরগঞ্জের তারাপুর ইউনিয়নে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ‘তিস্তা সোলারপ্ল্যান্ট’ নামে একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। চুক্তির শর্তানুযায়ী বাস্তুভিটা ও আবাদি জমি নষ্ট করে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা যাবে না এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থান হবে লাঠশালার চরে। অথচ শর্ত ভঙ্গ করে কোম্পানি নানা ষড়যন্ত্র এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে এলাকার মানুষকে তাদের বাপ-দাদার বসতভিটা ও আবাদি জমি থেকে উচ্ছেদ করছে। এমনকি তারা পার্শ্ববর্তী মৌজা চর খোর্দ্দার মানুষকেও উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র করছে, যেটি একটি জনবহুল ও উর্বর কৃষিজমির এলাকা। কোম্পানির বে-আইনী কর্মকা-ের প্রতিবাদে এলাকাবাসী ‘বাস্তুভিটা ও আবাদি জমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটি’র ব্যানারে প্রতিবাদ করে আসছিল। তারা ইউএনও, জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
কিন্তু প্রশাসন লুটেরা সালমান এফ রহমানের কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো প্রতিবাদ করার কারণে পুলিশ সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়েছে ১০ জন। পুলিশ এবং কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারীদের নামে ৩টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। যে মামলাগুলোতে নাম উল্লেখ করে শতাধিক এবং অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ২শ জনকে আসামী করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় আদালতে জামিন নিতে গেলে গত ৮ মে বাসদ (মাকর্সবাদী) সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আহ্বায়ক বীরেন চন্দ্র শীলসহ আন্দোলনকারী রুপিয়া বেগম, আরজিনা বেগম, মুক্তি বেগম, শরফুন্নেছা, রেজাউল, রাজ্জাক, বাদশা, শাহজাহান, আকরাম ম-লকে জামিন না দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী, ৪ জন মহিলা, একজন মহিলার সঙ্গে ৬ মাসের শিশু, অন্যজনের সঙ্গে ১ বছরের শিশু।”

নেতৃবৃন্দ গাইবান্ধার সিভিল প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা ও পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক বেক্সিমকো কোম্পানির লাঠিয়াল হিসেবে ভূমিকা পালনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

লক্ষাধিক স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি পেশ

পিইসি বাতিল ও প্রশ্নফাঁস বন্ধ করুন

IMG_0966 copy

প্রায় তিন মাস ধরে সারাদেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) বাতিল ও প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধের দাবিতে দেশব্যাপী লক্ষাধিক স্বাক্ষর সংগৃহীত হয়েছে। সেই স্বাক্ষর ১৩ মে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হলো। সারাদেশে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দুই মন্ত্রণালয়ে স্মারকরিপি দেয়া হয়েছে।

স্বাক্ষর সংগ্রহকালে শিক্ষার্থী-অভিভাবক-পেশাজীবী ও সমাজের সচেতন ব্যক্তিবর্গের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, ক্ষুব্ধতা ছিল চোখে পড়ার মতো। পিইসি পরীক্ষা কেন বাতিল করা প্রয়োজন এ বিষয়ে বলতে গিয়ে একজন অভিভাবক বলেছেন, “ আমার বাচ্চার খেলার সময় নেই, আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ নেই। সকাল ৬ টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত স্কুল, কোচিং সেন্টার আর বইয়ের বোঝায় তাদের দিন কাটে।” জীবনের সবচেয়ে প্রাণবন্ত সময়ের আনন্দ উচ্ছ্বাস কেড়ে নিচ্ছে পরীক্ষার প্রকোপ। অন্যদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস দেখা দিয়েছে সামাজিক ব্যাধি রূপে। প্রাথমিক থেকে যেকোনো চাকুরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস এখন এক অনিবার্য ব্যাপার। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত – আগামী দিনে কোন ভবিষ্যৎ তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সকাল সাড়ে এগারটায় কর্মসূচি শুরু হয়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও বেলা দেড়টা পর্যন্ত সমাবেশ ও মিছিলের কাজ চলে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা। বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ বেইলি স্কুলের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল হক, অভিভাবক মাহমুদুল হক আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা। পরিচালনা করেন দপ্তর সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার।

সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, ‘ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিভাবকরা আন্দোলনে নামার প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে পিইসি পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেয়া হলো। কিন্তু বাতিল করা হলো না। স্কুলে ফাইনাল পরীক্ষা চালু থাকার পরও এ পরীক্ষার কোনো প্রয়োজন আছে কি? এরকম কোনো প্রয়োজন জনগণ-শিক্ষার্থীদের না থাকলেও সরকারের আছে। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য শিক্ষাব্যবসাকে ত্বরাণ্বিত করা। এর জন্য যদি কোমলমতি শিশুদের শৈশব ধ্বংসও করতে হয়, তাতে কিছু যায় আসে না। এ পরীক্ষা এমনই মানসিক চাপ তৈরি করেছে যে গতবছর কয়েকটি শিশু আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছে।

সংবাদমাধ্যমে এসেছে, হাজার হাজার কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে যাদের বছরে মুনাফা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা, বাজারে চলছে গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা। সৃজনশীলতার নামে মুখস্ত নির্ভরতা বেড়েছে। এছাড়াও আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ধরন, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, অপ্রতুল আয়োজন, প্রশিক্ষণের দুর্বলতা বিবেচনায় না নিয়ে একের পর এক নতুন নতুন নিয়ম শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় শুধু পাবলিক পরীক্ষার নামে পিইসি একটি সার্টিফিকেট ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি। এই পরীক্ষা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র ফ্রন্টকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
বক্তরা আরও বলেন, ‘সর্বশেষ এসএসসি পরীক্ষায় সবগুলো বিষয়েই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। প্রশ্নপত্র নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে। অথচ শিক্ষামন্ত্রীসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কেউই দায় স্বীকার করেননি, ব্যবস্থাও নেননি। যারা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাদেরও বা ভবিষ্যৎ কী? এরাই তো একদিন ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবে, দেশের শাসনকর্তা হবে? তাদের হাতে কোন বাংলাদেশ অপেক্ষা করছে? এই সরকার, তার দলীয় প্রশাসনই শিশু-কিশোরসহ শিক্ষার্থীদের ক্রিমিনাল বানাচ্ছে। এ অপচেষ্টা এখনই বন্ধ করতে হবে।”

সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের সাথে দেখা করে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

নারী-শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হোন

রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতার লাইন আছে — ‘অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে’। প্রতিদিন নারী নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনা আমাদের গা সওয়া হয়ে যাচ্ছে। কেবল নারী নির্যাতকের কারণে নয়, আমাদের নিশ্চুপ থাকাটাও কি সংকটের ভয়াবহতা বাড়াচ্ছে না? একজন রূপার মৃত্যুই সমস্ত সমাজের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, এ সমাজ নারীদের জন্য কতটা নিরাপদ। পথ-ঘাট-মার্কেট-গণপরিবহন-উৎসবস্থল, এমনকি আপন ঘরে, অতি প্রিয়জনের কাছেও নারী ও কন্যাশিশু নিরাপদ নয়। অনেকে তাদের সন্তানকে চোখে চোখে রেখেও রক্ষা করতে পারছেন না।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুসারে শুধু ঢাকা জেলার ৫টি ট্রাইব্যুনালে গত ১৫ বছরে ৭ হাজার ৮৬৪টি মামলার মধ্যে ৪ হাজার ৫ শত ৮৫টি মামলা ছিল ধর্ষণের ও ৮৫৬টি ছিল গণধর্ষণের। এ থেকেই বুঝা যায়- কী ভয়াবহতা বিরাজ করছে গোটা সমাজ মননে। এটিই শেষ নয়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে যে, গণপরিবহনে যাতায়াতকারী ৯৪ শতাংশ নারী কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার। অপরদিকে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, গত ১৩ মাসে ২১ জন নারী গণপরিবহনে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে কিছু বলা প্রয়োজন। গণপরিবহন সাধারণ নাগরিকদের যাতায়াতের জন্য পরিবহন। এখানে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ সবাই যাতায়াত করে। পূর্বে গণপরিবহনে নারীদের যাতায়াতের হার কম হলেও বর্তমানে শ্রমজীবী-কর্মজীবী নারী-ছাত্রী-মধ্যবিত্ত নারী তাদের নানা প্রয়োজনে গণপরিবহন ব্যবহার করেন। জনসংখ্যার তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা অল্প বলে দিনে-রাতের বেশিরভাগ সময়ে প্রবল ভিড় থাকে। ঢাকায় এ চিত্র নিত্যদিনের। পরিবহনগুলোতে নারীদের জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের কথা বলা হলেও কখনও কখনও পুরুষরাই সেখানে বসে পড়ে। প্রতিবাদ করেও কাজ হয় না। ভিড়ের মধ্যে নারী লাঞ্ছনার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ঘটে ধর্ষণ-গণধর্ষণের ঘটনা পর্যন্ত। ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলন্ত শুভযাত্রা পরিবহনে এক গার্মেন্ট কর্মী গণধর্ষণের শিকার হন।। ঢাকায় লাব্বায়েক বাসের ভিতরে বাংলাদেশ লেদার টেকনোলজির এক ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হন। নিউ ভিশন পরিবহনে ইডেন কলেজের এক ছাত্রী একই কায়দায় যৌন হয়রানির শিকার হন। গত ২১ এপ্রিল তুরাগ বাসে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে বাসের হেলপার-সুপারভাইজার যৌন হয়রানির চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করে। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়।।

নারী নির্যাতনের সাথে যারা যুক্ত তাদের বিচার হয় না এদেশে। পরিসংখ্যান বলছে এ যাবৎকালে নারী নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটেছে তার মাত্র ৩ শতাংশের বিচার হয়েছে। শাসকরা এই ধর্ষক-অপরাধীদের মদদ দেয়। অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতকরা হয় সরকারি দলের নেতা বা কর্তাব্যক্তি।

প্রশ্ন হলো — নারী ও কন্যাশিশুর এই নিরাপত্তাহীনতা কেন? দুটো খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে Ñ একটি হলো পুরুষতান্ত্রিকতা অন্যটি ভোগবাদিতা। পুরুষতান্ত্রিকতার কারণে পুরুষের চোখে, কর্তৃত্বের চোখে নারীকে দেখা হয়; আর ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গি শেখায় নারী হলো পণ্য। এই দুই জঘন্য চিন্তার শিকার সমাজের বহু পুরুষ, এমনকি নারীরাও। এই চিন্তা মানুষের মনুষ্যত্ব-মানবিকতাকে নিঃশেষ করে দেয়। অমানুষ বানিয়ে কেবল পাশবিক অনুভূতিগুলোকে জাগিয়ে রাখে।

এ সমাজ আমাদের সকলের। নারী এ সমাজের অর্ধাংশ, এ সমাজের নাগরিক। নারী ও কন্যাশিশুর উপর এ পাশবিকতা কি আমাদের বিবেককে নাড়িয়ে দেয় না? প্রতিদিন নারী ও শিশু ধর্ষণ-গণধর্ষণ-যৌন হয়রানির খবর পত্রিকার পাতায় পড়ব, টেলিভিশনে খবর দেখব কিন্তু কোনো কিছুই করব না — একি হতে পারে? কেবল আফসোস দেখানো পর্যন্ত কি আমাদের দায়িত্ব? তাহলে অন্যায় করা আর সহ্য করার মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে কি?

সাম্যবাদ মে ২০১৮

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments