Saturday, November 23, 2024
Homeসাম্যবাদসাম্যবাদ - জানুয়ারি ২০১৯আন্দোলন ও সংগঠন সংবাদ - সাম্যবাদ জানুয়ারি ২০১৯

আন্দোলন ও সংগঠন সংবাদ – সাম্যবাদ জানুয়ারি ২০১৯

ভোটডাকাতির নির্বাচন প্রত্যখ্যান

নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচন দাবি

49098358_1054298034731479_5303470323415384064_oবাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে ৩০ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ভোটডাকাতির নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করে এই নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং ফল বাতিল করে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচন দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “এই প্রহসনমূলক নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণযোগ্য নয় এবং এর মাধ্যমে গঠিত সরকার নৈতিক বৈধতা পাবে না। চলমান নিপীড়নমূলক স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ও জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণকে তা তীব্রতর করবে। নিজেদের অধিকার রক্ষায় গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষকে সংগঠিত হতে হবে ও আন্দোলনে নামতে হবে।”

কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বিবৃতিতে বলেন, “আওয়ামী লীগ ভোটডাকাতির পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে। সরকারি দল, প্রশাসনিক আমলাতন্ত্র, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে কাজ করে এই নির্বাচনী প্রহসন মঞ্চস্থ করেছে। রাতেই দেশের বিভিন্নস্থানে পুলিশের মাধ্যমে প্রিজাইডিং-পোলিং অফিসারদের চাপ দিয়ে ব্যালট বাক্সের একাংশ ভর্তি করা হয়েছে। একারণে অনেকস্থানে সকালে ভোটারদের উপস্থিতির কিছুক্ষণ পরই ব্যালট সংকট দেখা দেয়। ভোর থেকেই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ ছিল সম্পূর্ণভাবে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের হাতে। বিরোধী পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি, কিছুক্ষেত্রে ঢুকলেও প্রতিবাদ করলে পরবর্তীতে বের করে দেয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় সকালে ভোটারদের সবার সামনে নৌকায় সীল দিতে বাধ্য করা হয়েছে। অন্য প্রতীকে ভোট দিয়েছে টের পেলে কোথাও ব্যালট ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। বেলা ১১টা-১২টার পর প্রকাশ্যে সীল মারা হয়েছে। যেখানে ভোটার উপস্থিতি বেশি সেখানে নানা অজুহাতে ভোটগ্রহণ ধীর করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে ভোটারদের ফিরিয়ে দেয়া, বিরোধী ভোটারদের তাড়িয়ে দেয়া, তাদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনাও ঘটেছে। গণহারে জাল ভোট প্রদান তো রয়েছেই। এসব প্রক্রিয়ায় ভোটডাকাতি নির্বিঘ্ন করতেই আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন-এর দাবিকে নাকচ করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে অনড় ছিল।”

নির্বাচনে ভোটডাকাতির কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ ঢাকা ১৬ আসনের ইসলামিয়া হাই স্কুল কেন্দ্রে বাসদ (মার্কসবাদী) প্রার্থীর কোদাল মার্কার পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মীরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় বালক শাখায় সকাল ১১টায় পুলিশ-র‍্যাব-বিজিবি ভোটার ও মিডিয়াকর্মীদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। বেলা ১২.৩০টায় কোদাল মার্কার প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে গিয়ে গেটের তালা বন্ধ দেখেন। তিনি অনেক চেষ্টা করেও ভিতরে ঢুকতে পারেননি। তার উপস্থিতিতেই সেখানে আওয়ামী লীগের কর্মীরা সাধারণ ভোটারদের উপর আক্রমণ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় বাসদ (মার্কসবাদী) কর্মী ইউসুফ রিপন সামান্য আহত হন।

জয়পুরহাট-৩ আসনে আয়মাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৯টায় কোদাল মার্কায় ভোট দিতে চাইলে বৃদ্ধ ভোটারকে বুথ থেকে বের করে দেয়া হয়। সেখানে মহিলা বুথে পর্দা তুলে দিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়। পরবর্তীতে ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। বাসদ(মার্কসবাদী) প্রার্থী কমরেড শাহজাহান তালুকদার জনতাকে সংগঠিত করে বাধা দিলে তার ওপর চড়াও হয়, ক্ষেতলাল পৌরসভার মেয়র তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের বারিক মিয়া স্কুল কেন্দ্র থেকে বাসদ (মার্কসবাদী) প্রার্থীর কোদাল প্রতীকের এজেন্ট সুমনকে বেলা ১২টায় বের করে দেয়া হয়। এই কেন্দ্রে সকাল ১১টায় বাসদ (মার্কসবাদী) কর্মী সন্জিতের হাত থেকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে নৌকায় সীল দেয়া হয়।

চাঁদপুর-৩ আসনে আক্কাস আলী রেলওয়ে একাডেমি কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টায় বুথ দখল করে সীল মারার প্রতিবাদ করায় বাসদ (মার্কসবাদী) কর্মী সাদ্দাম হোসেনকে মারধর করে সরকারী কর্মীরা। বাসদ(মার্কসবাদী) কর্মীরা ভোটারদের সংঘটিত করে রাস্তা অবরোধ করলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। পরে বিজিবি এসে আশ্বাস দিলেও ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি।”

নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল ও নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে

বামপন্থিদের মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন-অবস্থান

নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল ও নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ৩ জানুয়ারি ২০১৯, সকাল ১১টা, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এসময় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচিতে যোগ দেয়। কর্মসূচি শেষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। মানববন্ধন ও অবস্থানে বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশ চক্রবর্তী, মানস নন্দী, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হকসহ বাম জোটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, গোটা দেশকে অবরুদ্ধ করে কোটি কোটি ভোটারের ভোটাধিকার হরণ করে আরও একবার যে জবরদস্তিমূলক প্রহসনের নির্বাচন মঞ্চস্থ করা হলো, বাম গণতান্ত্রিক জোট এই নির্বাচন ও নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করছে। নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে ভর্তি করে রাখা, নিরাপত্তার নামে নজিরবিহীন ভয়ভীতি ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও ন্যাক্কারজনক ভ‚মিকা, বাম জোটের একাধিক প্রার্থীসহ বিরোধীদলগুলোর প্রার্থী ও এজেন্টদের আটক, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত, কেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে অধিকাংশ দেশবাসীকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে গোটা নির্বাচনকে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে ও আশঙ্কানুযায়ী নির্বাচনে সরকারের ছকেরই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভোর থেকেই দেশব্যাপী ভোট কেন্দ্র দখল, প্রকাশ্য জালিয়াতি, ব্যালট পেপারে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কার সিল মারতে বাধ্য করা, বিরোধী দলীয় ভোটারদের জোর করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, কোথাও সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়া প্রভৃতি অসংখ্য ঘটনার মধ্যে দিয়ে সমগ্র নির্বাচনকে পুরোপুরি অর্থহীন ও হাস্যকর করে তোলা হয়েছে।

এই সমুদয় তৎপরতার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী ভোটারদের মধ্যে ভোট নিয়ে যেটুকু আগ্রহ তৈরি হয়েছিল তা পুরোপুরি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের যেকোন অবকাশ নেই তা আরেকবার প্রমাণ হল। তাই এই নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না। এই নির্বাচনে জনগণের মতামতের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।

এমতাবস্থায়, সংগঠিত প্রহসনের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, নির্বাচনের অর্থ-পেশীশক্তি-প্রশাসনিক কারসাজি-সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার নিষিদ্ধ ও ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা’ চালুসহ গোটা নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার সাধন করে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই গণতন্ত্রের দাবি। এই পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে জনগণের প্রতি দৃঢ় মনোবল অক্ষুন্ন রেখে রুটি-রুজি ও গণতন্ত্র-ভোটাধিকারের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
দেশব্যাপী কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় একই ধরনের কর্মসূচি পালিত হয়।

দিনভর গণশুনানীতে বাম জোটের প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা

‘ভোট ডাকাতি’ বললে খুব কমই বলা হবে

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসের কাছে পরাস্ত জনগণের ভোটাধিকার

50091240_377447429491858_6113068669414146048_o

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন পরবর্তী নানা ধরনের অনিয়ম, অভিজ্ঞতা ও সুনির্দিষ্ট ঘটনাবলী শোনার জন্য ১১ জানুয়ারি শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গণশুনানী করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। গণশুনানীতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ৮২ জন প্রার্থী তাদের অভিজ্ঞতা ও ভোটের চিত্র তুলে ধরেন।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানীতে ৮২ জন প্রার্থী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতি, জবর দখল ও অনিয়মের সুনির্দিষ্ট চিত্র তুলে ধরেন। এসময় সকলের কণ্ঠেই একথা প্রতিধ্বনিত হয় যে, কোটি কোটি মানুষকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করে যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে তা মোটেই জনমতের প্রতিফলন নয়। তারা বলেন, এই নির্বাচনকে ‘ভোট ডাকাতি’ বললে খুব কমই বলা হবে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসের কাছে পরাস্ত জনগণের ভোটাধিকার। তাঁরা জনগণের ভোটাধিকার অর্জনের সংগ্রামে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

গণশুনানীর সমাপনী বক্তব্যে মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন নিয়ে বহু অভিযোগ আছে, এটি নজিরবিহীন একটি ভুয়া ভোটের নির্বাচন। তিনি বলেন, গণশুনানীর এসব বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করে আমরা আমাদের করণীয় নির্ধারণ করব। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল, সংসদ বাতিল করে দল নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে বামপন্থিরা রাজপথে থেকেই লড়াইকে এগিয়ে নিবে। তিনি এই লড়াইয়ে দেশবাসীকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।

গণশুনানীতে বাসদ (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদ-এর সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক। গণশুনানীতে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

গণশুনানীতে প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুরের রেয়াজুল ইসলাম রাজু, নীলফামারীর ইউনুস আলী, লালমনিরহাটের আনোয়ার বাবুল, রংপুরের অধ্যাপক কামরুজ্জামান, সাদেক হোসেন, মমিনুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের উপেন্দ্র নাথ রায়, আবুল বাসার মঞ্জু, গাইবান্ধার মিহির ঘোষ, গোলাম রাব্বানী, শামিউল আলম রাসু, জয়পুরহাটের অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজ, বগুড়ার আমিনুল ফরিদ, সন্তোষ পাল, রঞ্জন দে, লিয়াকত আলী, নওগাঁর ডা. ফজলুর রহমান, রাজশাহীর এনামুল হক, আলফাজ হোসেন যুবরাজ, সিরাজগঞ্জের নবকুমার কর্মকার, মোস্তফা নূরুল আমীন, আব্দুল আলিম, কুষ্টিয়ার শফিউর রহমান শফি, ঝিনাইদহের অ্যাড. আসাদুর রহমান, বাগেরহাটের খান সেকান্দার আলী, শরিফুজ্জামান শরিফ, খুলনার এইচ এম শাহাদাত, জনার্দন দত্ত নান্টু, সাতক্ষীরার আজিজুর রহমান, পটুয়াখালীর মোতালেব মোল্লা, জহিরুল ইসলাম সবুজ, বরিশালের আব্দুস সাত্তার, পিরোজপুরের ডা. তপন বসু, দিলীপ পাইক, টাঙ্গাইলের জাহিদ হোসেন খান, জামালপুরের আলী আক্কাস, ময়মনসিংহের অ্যাড. এমদাদুল হক মিল্লাত, হারুন আল বারী, নেত্রকোনার মোস্তাক আহমেদ, জলি তালুকদার, সজিব সরকার রতন, কিশোরগঞ্জের ডা. এনামুল হক ইদ্রিস, ডা. খন্দকার মোসলেউদ্দিন, মানিকগঞ্জের রফিকুল ইসলাম অভি, ঢাকার আবু তাহের হোসেন (বকুল), খালেকুজ্জামান লিপন, সম্পা বসু, জোনায়েদ সাকি, আহসান হাবীব লাবলু, রিয়াজ উদ্দিন, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, নাঈমা খালেদ মনিকা, আহসান হবীব বুলবুল, গাজীপুরের রাহাত আহমেদ, মফিজ উদ্দিন আহমেদ, মানবেন্দ্র দেব, নরসিংদীর কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, নারায়ণগঞ্জের আব্দুস সালাম বাবুল, আবু নাঈম বিপ্লব, ফরিদপুরের রফিকুজ্জামান লায়েক, গোপালগঞ্জের ইসহাক মোল্লা, সুনামগঞ্জের নিরঞ্জন দাস খোকন, সিলেটের প্রণব জ্যোতি পাল, মৌলভীবাজারের প্রসান্ত দেব সানা, মইনুর রহমান মগনু, হবিগঞ্জের পিযুষ চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহরিয়ার মোহাম্মদ ফিরোজ, কুমিল্লার আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, চাঁদপুরের শাহজাহান তালুকদার, ফেনীর জসিম উদ্দিন, হারাধন চক্রবর্তী, চট্টগ্রামের হাসান মারুফ রুমি, অপু দাস গুপ্ত, রাঙ্গামাটির জুই চাকমা প্রমুখ।

সুবর্ণচর পরিদর্শন শেষে বাম জোটের প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতৃবৃন্দ

নারী নির্যাতনের আসামীরা এলাকার দুর্বৃত্ত হিসেবে পরিচিত
সরকার দলের সঙ্গে জড়িত বিধায় এদের দাপটে সবাই অতিষ্ট

৬ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বাম গণতান্ত্রিকজোটের নেতৃবৃন্দ নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের ধর্ষিত নারী, তার পরিবার ও স্থানীয় জনতার সঙ্গে সাক্ষাৎ পরবর্তী বক্তব্য তুলে ধরার জন্য মৈত্রী মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিং করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিদর্শন টিমের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরেন বাম জোটের অন্যতম নেতা, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য লীলা চক্রবর্তী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, রাজেকুজ্জামান রতন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সাত্তার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, বহ্নীশিখা জামালী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা মনিরুদ্দিন পাপ্পু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে পারুল আক্তারের প্রতি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন ও তার সহযোগীরা পরিকল্পনা করে। ঐ দিন রাতে অন্ততঃ ৯ জন এই নারীর বাড়িতে যায়। স্বামী ও মেয়েকে বেঁধে রেখে নারীকে গণধর্ষণ করে ও পিটিয়ে আহত করে। ঘর ভাঙচুর করে। ঐ নারীর এক মেয়েকে ধর্ষণ করতেও চেষ্টা চালায়। ঐ মেয়ে পালিয়ে বাঁচে। আহত নারীর সামনে তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলে এটা আমরা নিশ্চিত হই যে, ঘটনার পর যাদের নাম এজহারে এসেছে, তার বাইরেও এই ঘটনার সঙ্গে অনেকে জড়িত ছিল। নির্যাতিত নারীর সাক্ষাতেই সেই তথ্য বেরিয়ে আসে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা জানা যায়, নির্যাতনের শিকার নারীর পক্ষ থেকে যাদের নাম এসেছে তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার দুর্বৃত্ত হিসেবে পরিচিত এবং নানা ধরনের অপকর্মে জড়িত। সরকার দলের সঙ্গে জড়িত বিধায় এদের দাপটে সবাই অতিষ্ট। তিনি বলেন, আসামীরা যেহেতু সরকারি দলের সঙ্গে জড়িত, তাই ঘটনাকে যাতে কোন আইনী মারপ্যাঁচে অন্যখাতে প্রবাহিত না করতে পারে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
রুহিন হোসেন প্রিন্স ঘটনার নেপথ্যের পরিকল্পনাকারীসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে এজহারভুক্ত করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা পরিচালনা ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নির্যাতিত নারীর সুচিকিৎসা ও তাঁর পরিবারের পুনর্বাসন, নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করার দাবি জানান। প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, নির্যাতিত পরিবারের ৪ সন্তান, যাদের সামনে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংগঠিত হয়েছে, তাদের মানসিক চিকিৎসাসহ নিরাপত্তা, পড়াশুনা নিশ্চিত এবং নির্যাতিত নারীর স্বামী যাতে নির্বিঘেœ কর্ম পরিবেশ পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। আরও বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম থেকে গড়িমসি করাসহ যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্ত করে, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও তাদের দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করাতে হবে।

রুহিন হোসেন প্রিন্স আরও বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের অনেক ঘটনা সংগঠিত হলেও সব ঘটনা দেশবাসীর সামনে আসে না। সুবর্ণচরের ঘটনাও প্রথম থেকে আঁড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সারাদেশে নারী ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবার এবং বিরোধী মতে পরিবারের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এর বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপের পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধও গড়ে তুলতে হবে।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়।

উল্লেখ্য গত ৪ জানুয়ারি বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বজলুর রশীদ ফিরোজ, লীলা চক্রবর্তী, আব্দুস সাত্তার, আকবর খান নোয়াখালীতে নির্যাতিত নারী, পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন।

গার্মেন্টস শ্রমিক সুমন হত্যার প্রতিবাদে ও শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বাম জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ

শ্রমিকদের বাঁচার আন্দোলনে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ করুন

গার্মেন্ট শ্রমিক সুমন হত্যার প্রতিবাদে ও গার্মেন্ট শ্রমিকদের বাঁচার মত ন্যায্য মজুরি বৃদ্ধিতে ১০ জানুয়ারি বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, হত্যা নির্যাতন করে শ্রমিকদের বাঁচার আন্দোলন নস্যাৎ করা যাবে না; শ্রমিকদের বুকে গুলি চালিয়ে সরকার ও মালিকপক্ষ শেষ রক্ষা করতে পারবে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি আর জালিয়াতির মধ্য দিয়ে গঠিত সরকার মালিকদের মত শ্রমিকদের বাঁচার ন্যায্য আন্দোলনকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসাবে আখ্যায়িত করে এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে সকল ন্যায্য আন্দোলন দমন করতে চায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য শ্রমিকশ্রেণিসহ জনগণের ভোটের আর দরকার না থাকায় তারা এমন চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারীতা অব্যাহত রেখেছে। কেবল প্রতিপক্ষের মার্কায় ভোট দেবার জন্য নারীকে ধর্ষিতা হতে হয়। জনগণকে পালিয়ে বেড়াতে হয়। নেতৃবৃন্দ গার্মেন্টস শ্রমিক সমুন মিয়ার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার, আহত গার্মেন্ট শ্রমিকদের উপযুক্ত চিকিৎসা এবং সর্বোপরি গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে যে প্রতারণা চলছে তা বন্ধ করে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ কোন তালবাহানা না করে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি অনতিবিলম্বে পরিশোধের জন্যেও মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকদের দাবি উপেক্ষা করে যে বেতন ও বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ প্রতি বছর ৫% হারে বেতন বৃদ্ধি হলে শ্রমিকদের অনেক বেশি টাকা পাওয়ার কথা। তাই ন্যূনতম বেতন ও বিভিন্ন গ্রেডের বেতন পুনঃনির্ধারণ ছাড়া সমস্যার সমাধান হবে না।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার এখন মানুষের ভাতের অধিকারও কেড়ে নিতে চায়। সে কারণে বাঁচার দাবিতে স্বতঃস্ফ‚র্ত আন্দোলনে সাধারণ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। নেতৃবৃন্দ সরকার ও মালিকদের এই স্বৈরতান্ত্রিক তৎপরতা প্রতিরোধ করে শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেন।

বাম জোটের সমন্বয়ক মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল হক, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বজলুর রশীদ ফিরোজ, মোশাররফ হোসেন নান্নু, তাসলিমা আকতার, মমিনুর রহমান মমিন প্রমুখ।

সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজপথ প্রদক্ষিণ করেন।

হেফাজতের আমির আহমদ শফির বক্তব্য ধর্মীয় কূপমন্ডুকতার নিদর্শন

50217996_10210955967015383_1039921537819344896_n

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি আল্লামা শফি সাহেব এক ওয়াজ মাহফিলে মেয়েদের স্কুলে না দেয়ার জন্য, আর পড়ালে ও ক্লাস ফোর-ফাইভের বেশি না পড়ানোর জন্য মাহফিলের লোকেদের ওয়াদা করিয়েছেন। তার এই ধরনের বক্তব্য ধর্মীয় কূপমন্ডুকতার নিদর্শনই শুধু নয়, বাস্তব বিবর্জিতও। দুঃখের বিষয় এই ধরনের বয়ান তারা আজও দিয়ে যাচ্ছেন। আর আওয়ামীলীগ এ ধরনের প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, তাদের কথায় পাঠ্য পুস্তকের রচনা পাল্টেছে,আবার মুখে অসাম্প্রদায়িকতার চেতনার গল্পও শোনাচ্ছে।

আল্লামা শফিও ধর্মের নামে মানুষকে ঠকাচ্ছেন। একদিকে নারীশিক্ষাকে হারাম বলছেন, অপরদিকে শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনার মাধ্যমে কওমী জননী উপাধি দিয়েছেন। যখন যেমন কথা বললে সুবিধা হয়, তখন সে রকম কথাই বলে যাচ্ছেন। বাস্তবে তারা ধর্মের কথা বলে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেন। এতে মানুষ ন্যায়-অন্যায় কী তাও ঠিক ভাবে ধরতে পারছেনা। কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী সকল গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন মানুষকে এই সকল কূপমন্ডুকতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের আহ্বান জানান।

গৃহবধূকে গণধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভ

49629758_375814732988461_8929972392684421120_o

৩০ ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতির নির্বাচন প্রত্যাখান ও নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নৌকা মার্কায় ভোট না দেওয়ায় গৃহবধূকে গণধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।
মিছিলটি বেলা সাড়ে ১২ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর কেন্টিন থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রদক্ষিণ করে কলা ভবনের সামনে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি ডাঃ জয়দীপ ভট্টাচার্য ও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার। বক্তারা বলেন,” আওয়ামী সরকার দমন- পীড়ন করে জনগনের অধিকারকে হরণ করছে। সর্বশেষ ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে।” বক্তারা আরও বলেন, ” আওয়ামী নেতা- কর্মীদের দ্বারা যে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তা প্রত্যেক বিবেকবান মানুষকে উদ্বিগ্ন করেছে। এটি রাজনৈতিক কারণে সংঘটিত হয়েছে। তাই এর দায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সরকার এড়াতে পারে না।”

বক্তারা এই স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে প্রত্যেক গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের আহ্বান জানান।

সাম্যবাদ জানুয়ারি ২০১৯

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments