Saturday, November 23, 2024
Homeছাত্র ফ্রন্টআবাসিক হল নির্মাণের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

আবাসিক হল নির্মাণের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

JU_19012015
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে রবিবার ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এবং এরপর উপাচার্য বরাবর সমারকলিপি প্রদান করা হয় । আবাসিক হল নির্মাণ,উদ্ধোধনকৃত ছাত্রীহল নির্মাণসহ নতুন ভবন সম্প্রসারণ কাজ শুরু করা এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তরের ফলে খালি হওয়া জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়ার দাবিতে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেহরাব আজাদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোর সরকার, অর্থ সম্পাদক তিথি চক্রবর্ত্তী, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কৃষ বর্মণ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি হল নির্মাণের দাবিতে সংগঠিত তীব্র ছাত্র আন্দোলনের ফলে শিক্ষামন্ত্রী বেদখলকৃত হল উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেরানিগঞ্জে ১০০ একর জায়গা ক্রয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর বিভিন্ন সময় হল নির্মাণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে।  আনুষ্ঠানিক  নির্মাণ কাজ উদ্ধোধন তিন বছর পার হলেও ছাত্রী হল নির্মাণের কাজ এখনো শুরু হয় নি। নতুন ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ দীর্ঘদিন পরে গত বছর শুরু করেও সে কাজ আর এগোয়নি।

সর্বশেষ কেরানিগঞ্জে ৩ একর জায়গা ক্রয় করে গত ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ’ উদ্ধোধন করা হয়েছে। সেখানে একাডেমিক ভবন নির্মাণসহ একটি আবাসিক হল নির্মাণ হবে বলে আমরা জেনেছি। হাজার হাজার শিক্ষার্থী আবাসিক হল না থাকার কারণে মেসে থাকে। এ সংকট আপাতত দূর করার জন্য কমপক্ষে ছেলেদের জন্য ১০ টি হল ও মেয়েদের জন্য ৫টি হল নির্মাণ করতে হবে। আমাদের যুক্তি দেখানো হচ্ছে জায়গা নেই। কিন্তু আমাদের দেশেই তো দেখি ন্যাম সম্মেলনের জন্য ফ্ল্যাট নির্মিত হচ্ছে, বড় বড় রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের জন্য অভিজাত এলাকায় বাড়ি হচ্ছে, পুলিশের জন্য ব্যারাক হচ্ছে, সেনাবাহিনীর জন্য সরকার ৪০ হাজার একর জায়গা ক্রয় করছে। আর হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের থাকার জায়গা পাওয়া যায় না।

এর সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের নামকরণ সামাজিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত মানুষের নামে হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। কারো টাকা থাকলেই আর সে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল নির্মাণে টাকা দিলেই তার নামে হলের নামকরণ হতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তরিত হচ্ছে। আমরা এর আগে জেলা পরিষদ, জজকোর্ট, বাংলাদেশ ব্যাংকের সদরঘাট শাখা অন্যত্র স্থানান্তর করে এ জায়গা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলাম। জেলা পরিষদ অন্যত্র স্থানান্তর করলেও সে জায়গা বিশ্ববিদ্যালয় নিতে পারে নি। আমরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানাই এবং এ ব্যাপারে প্রশাসনের যথাযথ ভূমিকা পালনের দাবি জানান। এরপরে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে দেখা করেন ।

সমাবেশ থেকে আগামী ২১ জানুয়ারি ’১৫,সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য চত্বরে আবাসিক হল নির্মাণের দাবিতে ছাত্র সমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments