Wednesday, November 20, 2024
Homeবিশেষ নিবন্ধইডেন কলেজের আন্দোলন : ঐতিহ্যবাহী কলেজসমূহকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর এখন সময়ের দাবি

ইডেন কলেজের আন্দোলন : ঐতিহ্যবাহী কলেজসমূহকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর এখন সময়ের দাবি

Eden College[dropcap]গ[/dropcap]ত কয়েকদিন ধরে ইডেন কলেজের শত শত শিক্ষার্থী প্রত্যয়দীপ্ত শপথে আওয়াজ তুলেছে, ইডেন কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গত ২৫ তারিখ থেকে মিছিল, মানববন্ধন, স্বাক্ষর সংগ্রহ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি ও সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অতীতেও বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা এভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিল। কিন্তু সবসময় নানা কথার আড়ালে, বাকচাতুর্যে, কুযুক্তি দেখিয়ে সরকার ও প্রশাসনের তরফ থেকে এ দাবিকে পাশ কাটানো হয়েছে। এবারও কি তেমনটি হবে? আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীরা যে লড়াই শুরু করেছে, তাকে অব্যাহত রাখলে কোনো কিছু দিয়েই বিভ্রান্তি তৈরি করা যাবে না, দাবি আদায় হবেই।

কেন ইডেন কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে
বাংলাদেশে নারী শিক্ষার্থীদের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান ইডেন কলেজ। অনেক স্বপ্নসাধ নিয়ে সারা দেশের ছাত্রীরা এখানে পড়তে আসে। কিন্তু অল্প ক’দিনেই প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির বিস্তর পার্থক্য ঘটে যায়। একাডেমিক আয়োজনের দুর্বলতা, আবাসন সংকট, বছরের বেশিরভাগ সময়ে ক্লাস না হওয়া, তীব্র শিক্ষক-ক্লাসরুম সংকট প্রভৃতি সমস্যায় শিক্ষাজীবন হয়ে পড়ে চরম সংকটাপন্ন। অনার্সে যাও ক্লাস হয় ডিগ্রিতে হয় আরও কম। এর সাথে তিন/চার বছরের সেশন জটের কারণে সমস্যা রূপ নেয় মহীরূহে। কিন্তু এর কোনোটিই সমাধান করার ক্ষমতা-এখতিয়ার কলেজ কর্তৃপক্ষের নেই। কেননা ইডেন কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক সংকট ও ব্যর্থতার দায়ভার কলেজকে বহন করতে হয়। পাশাপাশি শিক্ষা সংক্রান্ত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির কারণেও দেশের উচ্চশিক্ষা সংকুচিত। ফলে ঐতিহ্য, অবকাঠামো, শিক্ষার্থী সংখ্যা যাই থাকুক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইডেন কলেজকে ক্রমাগত উন্নত করা হয়নি। গত ২২ বছর ধরে সরকারের পরিকল্পিত অবহেলা-অযতেœ যেভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে তার ভুক্তভোগী ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষা মৌলিক মানবিক অধিকার। শিক্ষা থেকে জনগণকে বঞ্চিত করলে রাষ্ট্রেরই ক্ষতি। দেশের কর্ণধাররাও নানা সময় প্রতিশ্র“তির ফুলঝুরি ছোটান। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের প্রতিশ্র“তি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও দিয়েছেন, ১০ বছরের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবার কথা বলেছেন। কিন্তু এর পরিপূরক আয়োজন কোথায়? কিছু জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে কিন্তু তার অবয়ব, ছাত্র সংখ্যা, অন্যান্য একাডেমিক আয়োজন খুবই সামান্য। সংকট কিছুটা মিটতে পারে যদি ঐতিহ্যবাহী কলেজগুলোকে পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা যায়। ইডেন কলেজ এমনই একটি কলেজ। তাই সামগ্রিকভাবে উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনকে অনুধাবন করে আমরা ইডেন কলেজকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি জানিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের বিরুদ্ধ কয়েকটি যুক্তি
ইডেন কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার ক্ষেত্রে অনেকসময় শিক্ষকবৃন্দ এমনকি শিক্ষার্থীদের তরফ থেকেও কিছু প্রশ্ন বা নেতিবাচক আলোচনা শোনা যায়। কেউ অজ্ঞতাবশত, কেউবা স্বার্থ বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কায় এভাবে প্রশ্ন তোলেন। এতে কখনও বিভ্রান্তি তৈরি হয়। যেমন –
# শিক্ষকরা চাকরি হারাবেন এই বিবেচনা থেকে অনেক শিক্ষকই বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। কিন্তু এই ধারণা অমূলক। তবে এই কথাটি সত্যি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হলে জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনীয়তায় অনেক শিক্ষককে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অনেক শিক্ষকই তা করতে পারবেন। কেউ যদি তাতে অসমর্থ হন তবে তিনি অন্য সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করার সুযোগ পাবেন। ফলে কোনো শিক্ষক চাকরি হারাবেন না বরং উচ্চতর গবেষণার সুযোগ ও প্রয়োজন বাড়বে। অতীতে জগন্নাথ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সময়ে এমনটি হয়েছে। একে কেউ কেউ অসুবিধা মনে করতে পারেন কিন্তু হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ ও সামগ্রিক শিক্ষার মানের বিবেচনায় তা কি খুব বেশি কিছু?
# অনেক সময় যুক্তি আসে – সরকারের অর্থ নেই। কিন্তু এ কথাটি মোটেই ঠিক নয়। কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে কত অর্থের প্রয়োজন? যেখানে সরকার রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে ৯০০০ কোটি টাকার অস্ত্র কিনতে পারে, প্রয়োজন না থাকলেও ৫০ হাজার কোটি টাকার নতুন বিমান বন্দর করার পরিকল্পনা করতে পারে, মন্ত্রী-এমপিদের জন্য ১০০০ কোটি টাকার ট্যাক্স ফ্রি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করতে পারে, ২ লক্ষ কোটি টাকা কালো টাকার অস্তিত্ব আছে সেখানে দেশের সার্বিক উন্নতির বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের সময় ‘অর্থ নেই’ এ যুক্তি কতটুকু যৌক্তিক?
# বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় হলে কলেজের ছাত্রী সংখ্যা কমে যাবে। এই আশঙ্কায় অনেক শিক্ষার্থীও বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের দাবির বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। সকল মানুষের মৌলিক মানবিক গুণের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটানো যদি লক্ষ্য হয়, তবে ছাত্র সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের চিন্তা আসবে কেন? এটা জুতোর মাপে পা তৈরি করার মতো ব্যাপার। বিশ্ববিদ্যালয় হলে অবকাঠামোগত আয়োজন যেমন বাড়ে তেমনি বিভাগ বৈচিত্র্যও বৃদ্ধি পায়। বিভাগের সংখ্যা বাড়ে তাই সে অনুপাতে ছাত্র-শিক্ষকের সংখ্যাও বাড়ে। তাই ছাত্র সংখ্যা কমবে-এ যুক্তি অবান্তর।
# অনেকে যুক্তি করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাশেই অবস্থান করে, আবার ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করছে- একই জায়গায় এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় সরকার করবে না। এই চিন্তা যথার্থ নয়। দেশের জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রসারে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কত প্রয়োজন তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। ফলে কতটুকু জায়গায় কয়টা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নয়, দেশের প্রয়োজন আছে কিনা সেটাই প্রধান বিবেচ্য। জাপানের শুধু টোকিও শহরেই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১৯টি। জাপানের সামগ্রিক উন্নতিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি ভূমিকা রাখছে না?

ঐতিহ্যবাহী কলেজসমূহকে পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর এখন সময়ের দাবি
শিক্ষার্থী সংখ্যায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আজ দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ধারা। প্রায় ১২ লক্ষ শিক্ষার্থী এখানে তাদের স্বপ্ন রূপায়ণের কঠিন সংগ্রামে নিয়োজিত। এই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃত উচ্চ শিক্ষার কেন্দ্রে পরিণত  করা না যায়। প্রকৃত উচ্চ শিক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কিত ধারণার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠান যেখানে সর্বোচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন মানুষ তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের জ্ঞান জগতের সংযোগ, সংরক্ষণ ও বিকাশ সাধন করে। উচ্চতর গবেষণা ও সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সমাজের সব মানুষের মননশীলতা, সত্যানুসন্ধান, উচ্চতর বিবেক ও সংস্কৃতি চেতনা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এখানে শিক্ষকদের ঝবহরড়ৎ ঝপযড়ষধৎ আর ছাত্রদের ঔঁহরড়ৎ ঝপযড়ষধৎ হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি দুটোই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে ন্যস্ত। তারা নিজেরা ঠিক করেন কোন সিলেবাস কতটুকু পড়াবেন, কিভাবে পড়াবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দেশে মতামত তৈরিতে ভূমিকা রাখেন এবং ছাত্রদের সেভাবেই শিক্ষা প্রদান করার ক্ষমতা রাখেন। আর বিশ্ববিদ্যালয় এর কথা ভাবলেই যে বিষয়টি সর্বপ্রথম চোখে ভাসে তা হল বিস্তৃত ক্যাম্পাস, আবাসনের জন্য পর্যাপ্ত হল, প্রয়োজনীয় পরিবহন ব্যবস্থা, ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশ, শরীরচর্চার জন্য ব্যায়ামাগার, খেলাধুলার জন্য মাঠসহ নানাবিধ আয়োজন। যেখানে শিক্ষার্থীদের মননজগত সুবিস্তৃত পরিসরে গড়ে উঠবে, ব্যবস্থা থাকবে মুক্ত জ্ঞান চর্চার, থাকবে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সংস্কৃতিচর্চার অধিকার। একজন ছাত্রকে জ্ঞানে, বিদ্যায়, বুদ্ধিতে মহান এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা গড়ে তোলার ধারণা থেকে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ আয়োজনের ধারে কাছেও নেই। এখানে গবেষণা হয় না, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশের পরিবর্তে আছে দখলদারিত্ব, নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন হয়েছে সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতির মধ্য দিয়ে। পর্যাপ্ত শিক্ষক, ক্লাসরুমের অভাব ও পরীক্ষার কারণে এখানে সারা বছর ক্লাস হয় না। ছাত্র শিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হরহামেশাই হচ্ছে, ভোগান্তি  কেবল ছাত্রদের। যখন কোন বড় বিপর্যয় হয় তখন তাৎক্ষণিক টোটকা সমাধান দেয়া হয়। ফলে মূল সংকট থেকেই যায়।
সিলেবাস-কারিকুলাম প্রণয়ন, পাঠদানকারী শিক্ষক, প্রশ্নকর্তা ও উত্তরপত্র মূল্যায়নকারীর পারস্পরিক যোগাযোগ জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ে থাকে না। মুক্ত জ্ঞান, সাংস্কৃতিক চর্চা এগুলো তো অবাস্তব কল্পনা। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমাজে যে ভূমিকা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তা পালন করতে পারে না। আমাদের দেশে এ ভূমিকা রাখে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। তাই সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের দাবি উচ্চশিক্ষাকে বাধাহীন করতে দাবি করেছে জেলায় জেলায় পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের। তবে আশু সমাধান হিসেবে প্রত্যেক জেলার ঐতিহ্যবাহী কলেজসমূহকে পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করে জেলার অন্য সব কলেজকে অধিভুক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। কলেজেসমূহে এ আয়োজন নিশ্চিত না হলে যত আধুনিক পদ্ধতি চালু হোক না কেন, শিক্ষার মানকে উন্নত করা যাবে না; যাবে না শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করা।

আসুন, আন্দোলনে শামিল হই
৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের দামে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি তার মূল লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তি এবং জীবনের সর্বাঙ্গীন বিকাশের জন্য শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকারসমূহের নিশ্চয়তা। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও তা অধরা স্বপ্নই থেকে গেল। সরকার সকলের শিক্ষার দায়িত্ব নেয়নি। এ কারণে দেশের ৭০ ভাগ মানুষ আজও শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। প্রতিবেশি দেশ ভারতে যেখানে উচ্চশিক্ষার হার শতকরা ১৩.৯ ভাগ, মালয়েশিয়ায় ২৯.৩ ভাগ, থাইল্যান্ডে ৩৭.৩ ভাগ, কিউবায় ৯৮ ভাগ সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ৬ ভাগ। এই সামান্য সংখ্যার মধ্যে  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পড়ে। কত অযতœ-অবহেলার মধ্যে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তাই আসুন, অন্যায়ের এই অর্গল ভেঙে ফেলি, নিজেদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সচেষ্ট হই। প্রত্যেকের সচেতন অংশগ্রহণই কেবল পারে ঐতিহ্যবাহী কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিকে বাস্তবায়ন করতে।

 অনুশীলন : সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মুখপত্র

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments