
বিবৃতিতে তিনি বলেন, একুশে টিভি-র চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে মামলার অজুহাত যা-ই দেয়া হোক্ না কেন, এ কথা সবার কাছেই স্পষ্ট যে, বিরোধী মত প্রচার করে সরকারের বিরাগভাজন হবার কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্যাবল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের নির্দেশ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে একুশে টিভির প্রচার বন্ধ করে রাখা হয়েছে। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ ও ভিন্নমত দলনের এই ফ্যাসিবাদী মানসিকতা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য গুরুতর হুমকি।
কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী আরো বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষমতাসীন সরকারের নির্দেশে সভা-সমাবেশসহ ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ করার পথ রুদ্ধ করা হচ্ছে। মত প্রকাশের সীমিত স্বাধীনতাটুকুও কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা জোরদার হচ্ছে। সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন, সম্প্রতি নিউ এজ পত্রিকা অফিসে পুলিশী অনুপ্রবেশের চেষ্টা ইত্যাদির ধারাবাহিকতায় একুশে টিভি-র ওপর আক্রমণ তারই এক বিপদজনক নজির।
বিবৃতিতে তিনি সরকারের এই স্বৈরতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন সমস্ত নাগরিকদের প্রতিবাদে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।