গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা, নারী ধর্ষণ-খুনসহ সকল নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধের দাবিতে ২৮ এপ্রিল সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে এক সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারীমুক্তি কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সীমা দত্ত ও সমাবেশ পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস পপি। এতে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি এডভোকেট সুলতানা আক্তার রুবি ও অর্থ সম্পাদক তাসলিসা আক্তার বিউটি, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস সোমা প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যাতায়াতকালে গণপরিবহন চলন্ত বাসে কর্মজীবী নারী ও ছাত্রীরা ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে তা নারীদের চরম নিরাপত্তাহীনতাকেই তুলে ধরেছে। চলন্ত বাসে রুপা ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যা, ধামরাইয়ে পোষাক শ্রমিক ধর্ষণ, তুরাগ বাসে ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার মতো বর্বর ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে কিন্তু সরকার নির্বিকার। সরকার নারীদের নিরাপদে চলাচলের অধিকারটুকু নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে অথচ প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন তিনি করেছেন বলে ফাঁকা প্রচারনায় গ্লেবাল উইমেন লিডারশীপ এওয়ার্ডসহ বিভিন্ন দেশী-বিদেশী পুরস্কার গ্রহনে ব্যস্ত। একের পর এক ধর্ষণ-খুন-নিপীড়নের ঘটনা ঘটলেও তার কোন বিচার হচ্ছেনা। সরকারের এ দায়িত্বহীনতার কারণে একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। সরকারকে যেমন এর দায় নিতে হবে; পাশাপাশি সমাজের সকল বিবেকবান মানুষকে প্রতিরোধ-সংগ্রামে এগিয়ে আসতে হবে।
বক্তাগণ আরো বলেন, সরকারের নারীর ক্ষমতায়নের কথা ফাঁকাবুলি ছাড়া যে আর কিছুই নয় তা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে নারী নির্যাতনের হার বৃদ্ধির ঘটনায়। বাস্তবে নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় সরকারের প্রকৃত কোন উদ্যোগ দূরে থাক বরং সরকারী দলের ছাত্রসংগঠনসহ দলের অনেক নেতা-কর্মী ও নারী নির্যাতনের সাথে জড়িত এবং কোন কোন ক্ষেত্রে নির্যাতনকারীর আশ্রয়দাতা। ফলে নির্যাতিত অনেক নারী আইনের আশ্রয় নিলেও শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার দাপটে দোষীদের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়। ফলে আজ সমাজের অর্ধেকাংশ মানুষ নারীদের নিরাপত্তায় আইনের যথাযথ প্রয়োগসহ সকল প্রকার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরোধ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।