গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী এবং মোর্চার কেন্দ্রীয়নেতৃবৃন্দ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধানসমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেননান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মাহবুব)-এর কেন্দ্রীয় নেতাইয়াসিন মিয়া, সন্তোষ গুপ্ত, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, অধ্যাপক আবদুসসাত্তার আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে গুলশানে কূটনৈতিক পাড়ায় একটি রেস্টুরেন্টে আইএস নামধারীসন্ত্রাসীদের হাতে বিদেশী নাগরিক ও পুলিশসহ ২২ জন মানুষ নির্মমভাবে খুন হওয়ার ঘটনায় ধিক্কার ওশোক প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেন, ‘রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া নিরীহ মানুষকে যারা জবাই করতে পারে তারা মানবতার শত্রু।ধর্মের নামে মানুষ হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে সকলকে আজ সোচ্চার হতে হবে।” তাঁরা বলেন, ‘সুরক্ষিতক’টনৈতিক এলাকায় বিপুল অস্ত্র-বোমাসহ সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ প্রমাণ করে দেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও জনগণের নিরাপত্তাহীনতা প্রকটরূপ ধারণ করেছে। সরকার পুলিশকে দলীয়করণ করেবিরোধী দমনে ব্যস্ত। ধর্মের নামে গুপ্তহত্যাকে তারা সবসময় ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে দেখাতে চেয়েছে এবংরাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের কাজে লাগাতে চেয়েছে। এই সুযোগে ধর্মীয় জঙ্গীবাদী শক্তি আজ মহীরুহহয়ে দেখা দিয়েছে।
তাঁরা আরো বলেন, ‘সরকার ফ্যাসিবাদী শাসন পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক নীতি আদর্শ, মূল্যবোধ-সংস্কৃতিসহ নূ্যূনতম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করার চক্রান্তে লিপ্ত। গণতান্ত্রিকঅধিকারহীন দমনমূলক শ্বাসরুদ্ধকর এই পরিস্থিতিতে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের শক্তি যেমন লাভবান হয়, তেমনি অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদি মৌলবাদী শক্তির তৎপরতার জমিন প্রশস্ত হয়।’