২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, সকাল ১১টায় বিইআরসি সামনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারার প্রতিবাদে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় ও গণসংহতি আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এ্যাড. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী ও উজ্জ্বল রায়, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশারেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক হামিদুল হক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একদিকে রাজনৈতিক বিরোধীদের রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা না করে রাষ্ট্রীয় শক্তিকে ব্যবহার করে সরকার জুলুম-নিপীড়নের যে পথ বেছে নিয়েছে তা সংঘাত-সংঘর্ষের পথই কেবল প্রস্তুত করছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর উত্তরোত্তর পেশী শক্তি ব্যবহার করে রাজপথ দখলে রাখার ঘোষণা সরকারের নগ্ন ফ্যাসিবাদী চেহারাকেই তুলে ধরছে। অন্যদিকে বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থে সরকার গ্যাস বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে জনগণের জীবন যাত্রার মান আরো অবনতি করছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, একদিকে আন্দোলনের স্বাভাবিক পন্থাগুলো বন্ধ হবার ফলে যে নৈরাজ্যিক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তার ফলে অধিকাংশ জনগণ, বিশেষ করে শ্রমিক-কৃষক মেহনীতি মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পরেছে। কৃষক তার ফসল বিক্রি করতে পারছেন না। কাঁচামাল বিক্রির আগেই পচে যাচ্ছে। শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যদ্রবের মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেদিকে সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। এই নৈরাজ্যের প্রধান দায় সরকারী দল আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে। এমনকি এই সঙ্কটের পরিস্থিতিতেও বিশ্বব্যাপী তেলের দাম কমলেও সরকার আবারো গ্যাস-বিদ্যুতসহ জ্বালানির দাম বৃদ্ধির তৎপরতা জারি রেখেছে।
নেতৃবৃন্দ সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, অবিলম্বে বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির তৎপরতা বন্ধ করার এবং সরকারের দমন-পীড়নের নীতি বন্ধ করার আহ্বান জানান।