গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত, ওয়াসা কর্তৃক পানির দাম ১৮% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত, বাসা ভাড়ার উপর চসিক কর্তৃক ধার্যকৃত ১৭% হোল্ডিং ট্যাক্সের বিধান বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখা ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪ টায় নগরীর পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য সচিব অপু দাশ গুপ্তের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা সদস্য শফি উদ্দিন কবির আবিদ, রফিকুল ইসলাম ও জান্নাতুল ফেরদাউস পপি। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা সদস্য সত্যজিৎ বিশ্বাস।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এবং গাড়িভাড়া-বাড়িভাড়া আকাশছোঁয়া। তার উপর আবার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি মানুষের জীবনকে আরো দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে ফেলে দিবে। সবগুলো গ্যাস সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর লাভ করছে; কোনটিই লোকসানি নেই। পেট্রোবাংলার অধিভুক্ত কোম্পানিগুলো থেকে সরকার কর-লভ্যাংশ-রয়্যালিটি বাবদ প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকা পেয়েছে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে। এরপরও পেট্রোবাংলার নীট মুনাফা ১২৬৯ কোটি টাকার বেশী। অন্যদিকে গ্যাসের দাম ৮১% অর্থই যায় সরকারি কোষাগারে; যার মধ্যে আছে সম্পুরক শুল্ক ৪০%, ভ্যাট ১৫%, অগ্রিম আয়কর-সম্পদ মূল্য-ডিভিডেন্ট-গ্যাস উন্নয়ন তহবিল ইত্যাদি। এ পরিমান কর-শুল্ক কিছুটা কমালেই স্বল্পমূল্যে গ্যাস দেওয়া সম্ভব।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “নগরীতে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে ২৫০-২৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাসের সংকটের কারণে বেশিরভাগ সময়ই বাসাবাড়িতে রান্নার জন্য চুলায় গ্যাস থাকেনা। আর এই গ্যাস সংকট নিরসন না করে উলটো দাম বৃদ্ধি করা হল। সরকার বলছে ‘সিলিন্ডারের দামের সাথে সমন্বয় করার জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে।’ বাস্তবিকই সমন্বয় করতে চাইলে, সিলিন্ডারের দাম কমানোই ছিল যুক্তিযুক্ত। সরকার উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির পাহাড় গড়ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকে অর্থ লোপাট হচ্ছে, এইসব লুন্ঠন আর অপচয়ের তহবিল জোগাতেই গ্যাসের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ অন্যায় স্বেচ্ছাচারী সিদ্দান্ত বাতিলে সরকারকে বাধ্য করতে সর্বস্তরের জনগনকে আজ প্রতিরোধ ও আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।