গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ না করলে আন্দোলন
এল.পি.জি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে দাম বৃদ্ধির অপচেষ্টা শুধু জনজীবনে নয় বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে ১২ ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারার প্রতিবাদে’ এক বিক্ষোভ সমাবেশ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক বামমোর্চার সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুজ্জামান সাকন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ পানি ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারার নিন্দা জানিয়ে বলেন, গ্যাস উত্তোলনকারী প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান যখন লাভজনক অবস্থায় আছে, তখন কোন যুক্তিতেই মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবনা আসতে পারেনা। সরকারের বেপরওয়া লুটপাট ও দূর্নীতির অর্থ যোগান দেয়ার জন্য জনগণের পকেট কেটে মূল্য বৃদ্ধি করতে চাইলে সকল প্রগতিশীল সংগঠনকে সম্পৃক্ত করে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবী মেহনতি জনগণের ওপর নেমে আসবে নিদারুন অর্থনৈতিক চাপ। কেননা গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথেই বৃদ্ধি পাবে বাড়ি ভাড়া, গাড়ি ভাড়াসহ সকল নিত্যপণ্য মূল্য। জনগণের দুর্দশার দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে এল.পি.জি ব্যবসায়ীদের একতরফা মুনাফার স্বার্থে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে সরকার।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, লুটপাটের সরকার অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে জনগণকেই জিম্মি করতে চাইছে। সরকারের এই স্বেচ্ছাচারি সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। সরকারের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
গণতান্ত্রিক বামমোর্চার সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করলে সাথে সাথে বাংলাদেশের উৎপাদন ও রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা কোন ভাবেই যৌক্তিক নয়।