বাম গণতান্ত্রিক জোট-এর কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি গতকাল শ্রম প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ন্যূনতম মোট মজুরি ৮ হাজার টাকাকে শ্রমিকদের প্রতি তামাশা আখ্যায়িত করে ১৬ হাজার টাকা মোট ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি জানান।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদ-এর সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক আজ ১৪ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবত বাজারদরের সাথে সঙ্গতিমূলক ১৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মোট মজুরি দাবি করে আসছে। কিন্তু সরকার ভোটের আগে মালিকদের খুশি রাখার জন্য ন্যূনতম মূল মজুরি ৪,১০০ টাকা ধরে ন্যূনতম মোট মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে যা গার্মেন্ট শ্রমিকদের প্রতি নিষ্ঠুর প্রতারণা এবং তা অগ্রহণযোগ্য।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সর্বশেষ ঘোষিত পে-স্কেলে সরকারি কর্মচারীদের ন্যূনতম মূল বেতন গার্মেন্ট শ্রমিকদের দ্বিগুণ ৮,২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, এ সরকার মালিকদের স্বার্থের সরকার তাই বাজেট অনুমোদনের মাত্র দুই মাসের মধ্যে গার্মেন্ট মালিকদের উৎস কর ও কর্পোরেট কর কমিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্ত শ্রমিকদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় মজুরি নিশ্চিত করতে আগ্রহী নয় তারা।
নেতৃবৃন্দ মালিক তোষণকারী সরকারের এই অন্যায্য ঘোষণা প্রতাখ্যান করে ১৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মোট মজুরি আদায়ের জন্য ২০০৬, ২০১০ সালের মত তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের এ লড়াইয়ের পাশে থাকার জন্য সমাজের বিবেকবান মানুষদের প্রতিও অনুরোধ জানান।