Saturday, November 23, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদচকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত-ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ

চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত-ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ

আবাসিক এলাকা থেকে অতিদাহ্য রাসায়নিক ও প্লাস্টিক দ্রব্যের মজুদ অবিলম্বে সরানোর দাবি

22.2.2019 resized

চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ও মৃত্যুর ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ-সুচিকিৎসা এবং আবাসিক এলাকা থেকে রাসায়নিকসহ অতিদাহ্য দ্রব্যের মজুদ অবিলম্বে সরানোর দাবিতে বাসদ (মার্কসবাদী) ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আয়োজিত এ সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মানস নন্দী, জহিরুল ইসলাম, ফখরুদ্দিন কবির আতিক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এর আগে একটি মিছিল পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরনো ঢাকার চকবাজার চুড়িহাট্টার মোড়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে এ পর্যন্ত অন্ততঃ ৬৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কি থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত সুনির্দিষ্টভাবে এখনো জানা না গেলেও এটা নিশ্চিত যে, এই অগ্নিকান্ড বিরাট এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়া ও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করার কারণ হলো সেখানকার কেমিক্যাল ও প্লাস্টিক দ্রব্যের মজুদ। ২০১০ সালের ৩রা জুন পুরনো ঢাকারই নিমতলীতে এরকম একটি ঘটনায় ১২৪ জন মানুষ আগুনে পুড়ে মারা যায়। তারপর পুরনো ঢাকার প্রায় ৮০০ কেমিক্যাল কারখানাকে তালিকাভুক্ত করা হয় ও সরিয়ে নেয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্ত সেটা শেষ পর্যন্ত করা হয়নি। এর পরিণতিতে সরকার-প্রশাসনের গাফিলতি ও মালিকশ্রেণির বেপরোয়া মুনাফলোভী মানসিকতার শিকার হল ৬৭টি তাজা প্রাণ। এই বেদনা ও ক্ষোভকে ধারণ করে নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় জনসাধারণকেই সোচ্চার হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং দায়িত্বহীন সরকারকে বাধ্য করতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে। আমরা দাবি জানাই, বিশিষ্ট নাগরিক ও বিশেষজ্ঞদের যুক্ত করে একটি গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করে দায়-দায়িত্ব নিরুপণ ও করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। অবিলম্বে পুরনো ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা থেকে রাসায়নিকসহ অতিদাহ্য দ্রব্যের গুদাম-কারখানা অপসারণ করতে হবে। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।”

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments