সাম্যবাদ প্রতিবেদক
[dropcap]স[/dropcap]ম্প্রতি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরকারি হাসপাতাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করলে তা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। ফলে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় দায়-দায়িত্ব হ্রাস পাবে। চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় ৫ কোটি মানুষ এ অঞ্চলের একমাত্র সরকারি হাসপাতালটির উপর নির্ভরশীল। সরকারি হাসপাতাল হওয়ার কারণে এ অঞ্চলের গরিব-নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত জনসাধারণের অল্প খরচে চিকিৎসা পাওয়ার একমাত্র ভরসাস্থল এ হাসপাতালটি। কিন্তু যে পরিমাণ দরিদ্র মানুষ এ হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল, সে তুলনায় এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা দেয়ার ক্ষমতা সীমিত। বর্তমানে মেডিকেলে ১৩১৩টি শয্যা রয়েছে কিন্তু এখানে প্রতিদিন ২২০০-২৫০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যায় যে, প্রয়োজনের তুলনায় হাসপাতালের আয়োজন অপ্রতুল। এ পরিস্থিতিতে যেখানে হাসপাতালটির আরো সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন প্রয়োজন তার পরিবর্তে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে সরকারি বরাদ্দ হ্রাসের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
২০০৯ সালের পূর্ব পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালগুলোতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হতো। ২০১০ সালে দেশের সকল সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শে স্বাস্থ্যসেবার ২৩ ক্যাটাগরির ৪৭০টি আইটেমের উপর ইউজার ফি-এর নামে ব্যয় বৃদ্ধি ঘটানো হয়েছে। ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যসেবা থেকে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ সংকুচিত করার পরিকল্পনা থেকেই এ ধরনের জনবিরোধী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতকে বেসরকারিকরণ-বাণিজ্যিকীকরণ এর দিকে ঠেলে দিয়ে ব্যবসায়ীদের মুনাফা লুটার ক্ষেত্রে পরিণত করা হচ্ছে। দেশের ধনীরা, বড় বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা কেউই অসুস্থ হলে দেশে চিকিৎসা করে না, তারা ছুটে যায় সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, আমেরিকায়। কিন্তু দেশের শ্রমিক, কৃষক, গরিব শ্রমজীবী মানুষের একমাত্র উপায় সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো। প্রতি বছর স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না দিয়ে নানা অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। চলতি অর্থ বছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল জাতীয় বাজেটের মাত্র ৪.২৬%। দেশে বিভিন্ন সেবা খাতসমূহ থেকে সরকারি বরাদ্দ সংকুচিত করা হচ্ছে ‘টাকা নেই’ বলে, অথচ ঋণখেলাপিরা দেশের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে সেগুলো উদ্ধারে কোনো তৎপরতা নেই। একের পর এক সরকারি ব্যাংকসমূহ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতি করার মাধ্যমে জনগণের অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। সেগুলো উদ্ধারের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ সরকারের তরফ থেকে নেয়া হচ্ছে না, উল্টো অর্থমন্ত্রী বলছেন ‘ব্যাংক জালিয়াতি হওয়াতে উপকার হয়েছে, সর্তক হওয়া যাবে’! এভাবে রাষ্ট্র জনগণের যে ট্যাক্সের টাকায় চলে তা জনকল্যাণে ব্যয় না করে হরিলুট করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, চমেক-কে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে করা হবে, হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, হাসপাতালের যাবতীয় ফি নির্ধারণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়। যেহেতু সরকারি বরাদ্দ ও সুযোগ-সুবিধাসমূহ হ্রাস পাবে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হবে মূলত অভ্যন্তরীণ আয়ের মাধ্যমে। এ আয় বৃদ্ধি করা হবে সাধারণ রোগীদের উপর বিভিন্ন ইউজার ফি বৃদ্ধি করার মাধ্যমে। বিভিন্ন রকমের টেস্টের জন্যও উচ্চমূল্যে ফি দিতে হবে। বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসাপতালের বর্তমান বার্ষিক ব্যয় (২০১০-’১১) সব মিলিয়ে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। আয় হলো প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। অবশিষ্ট টাকা সরকারী বরাদ্দ থেকে আসে। প্রস্তাবনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উৎস হিসেবে বারবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা পিজির উদাহরণ দেয়া হয়েছে। বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে যেসব সেবা দেয়া হয় তা বন্ধ করে যদি পিজির অনুকরণে সেবামূল্য আদায় করা হয় তবে আয় দাঁড়াবে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বর্তমানের চেয়ে ১৫ গুণ অতিরিক্ত টাকা আয় করতে হবে। বলা হয়েছে, শুরুর দিকে এ আয় কম হলেও কয়েক বছরের মধ্যেই এ টাকা আয় করা সম্ভব। তখন সরকারকে আর কোনো টাকা দিতে হবে না। প্রস্তাবনায় বিনামূল্যে আইসিইউ সেবা বন্ধ (বর্তমানে চমেক হাসপাতালে এর কোন মূল্য নেয়া হয় না, পিজিকে অনুসরণ করলে প্রতি রোগীকে প্রতিদিন দিতে হবে ১১,০০০ টাকা), বিনামূল্যে অপারেশন বন্ধ (এতে রোগীকে অপারেশনের জন্য দিতে হবে কমপক্ষে ৫,০০০ টাকা), ক্যান্সারের জন্য রেডিওথেরাপি সেবা, এক্সচেঞ্জ ট্রান্সফিউশন সেবাসহ বিদ্যমান বিনামূল্যের বা স্বল্পমূল্যের সব সেবা বন্ধ করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। স্বল্প মূল্যের প্রতিটি ডায়াগনস্টিক টেস্টের মূল্য বাড়বে ক্ষেত্র বিশেষে তিন থেকে চারগুণ।
এছাড়া মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার পর ছাত্রদের ভবিষ্যতও সংকটে পড়বে। কারণ বর্তমানে কলেজে এমবিবিএস কোর্স ছাড়াও এখানে ৩৪টি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স চালু আছে। শিক্ষকদের প্রধান দায়িত্ব এমবিবিএস কোর্সের ছাত্রদের পড়ানো। কিন্তু সরকারি আদেশে তারা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রদের পড়ান বেতন ছাড়াই বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর শিক্ষকদের দায়িত্ব থাকবে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রদের পড়ানো, এমবিবিএস ছাত্রদের তারা পড়াতেও পারেন, নাও পড়াতে পারেন। ১৯৮০-’৮১ সালে পিজিতে এমবিবিএস চালু হয়েছিল। কিন্তু ’৮১ সালে দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র ভর্তির পর তা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং ছাত্রদের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কারণ একই সাথে এমবিবিএস ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স চালু রেখে উভয় কোর্সে সমানভাবে শিক্ষার মান রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হলে এখানেও এমবিবিএস কোর্স বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা থেকে যায়। কারণ প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, এমবিবিএস কোর্সে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারের অন্য কোনো নির্দেশনা না থাকলে পিজির নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। অর্থাৎ এমবিবিএস কোর্সে ছাত্র ভর্তি করানো হবে না। ফলে দেশের সাধারণ মানুষের সন্তানদেরকে ভর্তি হতে হবে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে। এবং যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের জন্য ভর্তি হবেন তাদেরকেও উচ্চ ফি দিয়ে ভর্তি হতে হবে। এক কথায়, মেডিকেল শিক্ষা গ্রহণের পথ সাধারণ জনগণের জন্য রুদ্ধ হয়ে এটাও ব্যবসায়ীদের মুনাফা অর্জনের ক্ষেত্রে পরিণত হবে। এই জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার নামে জনস্বাস্থ্য অধিকার হরণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে চট্টগ্রামে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমানকে আহ্বায়ক ও প্রগতিশীল চিকিৎসক ফোরাম চট্টগ্রাম-এর আহ্বায়ক ডা. সুশান্ত বড়ুয়াকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট ‘জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি মতবিনিময় সভা গত ৪ এপ্রিল বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ডা. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফি, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সালাউদ্দিন হায়দার সিদ্দিকী, ডা. সুভাষচন্দ্র সূত্রধর, প্রকৌশলী সুভাষচন্দ্র বড়ুয়া, বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক মানস নন্দী, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমী, কাউন্সিলর ও বাসদ নেত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস পপি, ডা. চন্দন দাশ, বাসদ সমন্বয়ক মহিন উদ্দিন, বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক রতন দে প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন ডা. সুশান্ত বড়ুয়া।
সভায় বক্তাগণ বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা চট্টগ্রামবাসিকে একদিকে আনন্দিত করেছে, আবার অপরদিকে শংকিত করে তুলেছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার প্রস্তাবনায় যেসব শর্তাবলী উল্লেখ করা হয়েছে তাতে স্পষ্টই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, এখানে সাধারণ গরীব-নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত জনগণের চিকিৎসা সেবা নেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সভায় প্রস্তাব করা হয়, জনস্বার্থে চিকিৎসা সেবা অক্ষুন্ন রাখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে সরকারের অধীনে বর্তমানের মতো রেখে শুধুমাত্র পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সসমূহ নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকরণে পর্যাপ্ত গবেষণার সুযোগসহ আলাদা আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল সমৃদ্ধ একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হোক। সভায় বক্তারা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা নিয়ে অস্পষ্টতা নিরসন করতে অবিলম্বে চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধি, সব শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
‘জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটি’র ডাকে গত ৯ এপ্রিল বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক ডা. মাহ্ফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ডা. সুশান্ত বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদাউস পপি, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের হোসেন, চমেক হাসপাতাল কর্মকর্তা কর্মচারি সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের সভানেত্রী রুমানা আক্তার, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি জেলা সভাপতি রাজা মিয়া, বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির জেলা সদস্য সচিব অপু দাশগুপ্ত, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমি, বাসদ জেলা সমন্বয়ক মহিনউদ্দীন, ভাসানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিদ্দিকুল ইসলাম, জাসদ দক্ষিণ জেলা সভাপতি নুরুল আলম মন্টু, নারীমুক্তি কেন্দ্রের আসমা আক্তার, এড. বিশুময় দেব।
বিশিষ্ট জনদের বিবৃতি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিল করে পৃথক স্থাপনায় আধুনিক হাসপাতালসহ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত, অধ্যাপক আবুল মনসুর, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী মনসুর-উল-করিম, বিশিষ্ট লেখিকা ফেরদৌস আরা আলীম, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাহেলউদ্দিন হায়দার সিদ্দিকী, প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া, ডা. কিউ এম অহিদুল আলম, অধ্যাপিকা রীতা দত্ত, চিত্রশিল্পী ঢালী আল মামুন, চট্টগ্রাম চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাসিমা মাসুদ রুবী, চিত্রশিল্পী কে এম এ কাইয়ুম, চিত্রশিল্পী নাজলী লায়লা মনসুর, চিত্রশিল্পী দিলারা বেগম জলি, অধ্যাপক ডা. মাসুদ মাহমুদ, ডা. চন্দন দাশ, ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদাউস পপি।
আন্দরকিল্লায় সমাবেশ ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহ
জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির উদ্যোগে ১৯ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টায় আন্দরকিল্লা মোড়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রতিবাদে সমাবেশ ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুফুজুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও কমিটির সদস্য সচিব ডা. সুশান্ত বড়ুয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাসিরউদ্দীন নাসু, বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির চট্টগ্রাম জেলা সদস্য সচিব অপু দাশগুপ্ত, গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমী, বাসদ চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক মহিন উদ্দীন, সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদাউস পপি, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সভাপতি সীমা দত্ত,জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য জাহেদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সহ-সাধারণ সম্পাদক আসমা আক্তার, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা নিজাম উদ্দীন, এড. সফিউদ্দীন কবির আবিদ। সমাবেশ চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা বাতিলের দাবিতে আন্দরকিল্লা মোড়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ হয়। বিপুল পরিমাণ জনগণ গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে স্বাক্ষর দেয়।