গত ২৪ অক্টোবর শেষ হয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) ১৯তম কংগ্রেস। এতে শি জিন পিং পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই কংগ্রেসে চীনা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটিও নির্বাচিত হয়েছে। চীনের এই কংগ্রেসকে স্বাগত জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি।
সিপিসি নিজেদের সমাজতন্ত্রী বলে দাবি করে। শুধু দাবি করে বললে অপর্যাপ্ত হবে, সমাজতন্ত্র নিয়ে তারা নতুন ব্যাখ্যাও দিচ্ছে। বলছে নতুন যুগের সমাজতন্ত্র, ‘চীনা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত সমাজতন্ত্র’। এ প্রবন্ধে আমাদের আলোচনার বিষয় – আসলে ‘সমাজতন্ত্র’ বলতে সিপিসি কী বোঝাচ্ছে? কংগ্রেস থেকে ভবিষ্যতের কোন বার্তা দিচ্ছে তারা? যে চীনকে দেখে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির এত উচ্ছ্বাস, তারও বা যৌক্তিকতা কতটুকু?
চীনের কমিউনিস্ট পার্টর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিবেদনের উপর যে রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে তা এমন – ‘এই কংগ্রেস চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতন্ত্রের পতাকাকে ঊর্দ্ধে তুলে ধরে এবং মার্কসবাদ-লেনিনবাদ, মাও সে তুং এর চিন্তাধারা, দেং জিয়াও পিং-এর তত্ত্ব এবং নতুন যুগে চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতন্ত্র সম্পর্কে সি জিং পিং এর চিন্তাধারা দিয়ে পরিচালিত।’ (সূত্র : http://news.xinhuanet.com/english/2017-10/24/c_136702625.htm) মার্কসবাদ-লেনিনবাদ কিংবা মাও সে তুং এর চিন্তাধারা একটি বহু আলোচিত বিষয়। এই চিন্তাধারাকে ভিত্তি করে আজও বিশ্বব্যাপী সমাজতন্ত্রের লড়াই পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু দেং জিয়াও পিং এর তত্ত্ব কিংবা সি জিং পিং এর চিন্তাধারা সমাজতান্ত্রিক ভাবাদর্শের সাথে কতটুকু সঙ্গতিপূর্ণ?
দেং জিয়াও পিং এর তত্ত্ব
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা ‘পিপলস ডেইলি’তে ১৯৮৪ সালে, যখন দেং জিয়াও পিং ক্ষমতায় তখনই Building Socialism with a Specifically Chinese Character প্রবন্ধে লেখা হয়েছিল, ‘সমাজতন্ত্র কী আর মার্কসবাদ কী? অতীতে এই বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার ধারণা ছিল না। মার্কসবাদ উৎপাদন শক্তি বিকাশের বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। আমরা বলেছি সমাজতন্ত্র হচ্ছে যে সাম্যবাদের প্রাথমিক পর্যায় এবং এর অগ্রসর নীতি হচ্ছে প্রত্যেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সমাজকে দেবে এবং সমাজ প্রত্যেককে তাদের প্রয়োজন অনুয়ায়ী দেবে। এটা বাস্তবায়নের জন্য উৎপাদন শক্তির উচ্চবিকাশ ও বস্তুগত সম্পত্তি প্রচুর থাকতে হয়। সুতরাং সমাজতান্ত্রিক স্তরে মৌলিক কাজ হচ্ছে উৎপাদন শক্তির বিকাশ।… উৎপাদন শক্তির বিকাশের সাথে সাথে ক্রমাগত মানুষের বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত উন্নতি হতে থাকে।’ (বোল্ড করা হয়েছে গুরুত্ব বোঝাতে)
অর্থাৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি দেঙ জিয়াও পেঙ চিন্তাধারা অনুযায়ী যেকোন ভাবে উৎপাদন শক্তির বিকাশ-ই নতুন যুগের সমাজতন্ত্রের ধারণা। কিন্তু এভাবে উৎপাদন বাড়ালে যে বিপদও হতে পারে – তার আলোচনায় নেই। এ সম্পর্কে কমরেড শিবদাস ঘোষ বলেছিলেন, “সমাজতান্ত্রিক উৎপাদন-সম্পর্কের কাঠামোর মধ্যে সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় উৎপাদনের বিজ্ঞানসম্মত নিয়মকে বজায় রেখে — অর্থাৎ উৎপাদনের বিকাশের নিয়মকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ঠিক ঠিকভাবে অনুসরণ করে ধীরে ধীরে সমাজতান্ত্রিক মালিকানায় রূপান্তরের নিজস্ব কর্মসূচিটি বজায় রেখে — সমস্ত মানুষের শক্তিকে সংহত করে এবং উৎপাদনের উৎসগুলিকে – সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বস্তুগত এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সমস্ত কিছু – একত্রিত করে এবং বিজ্ঞানের কারিগরি বিকাশকে তার সাথে যতদূর সম্ভব প্যাটার্ন করে – উৎপাদন বাড়াতে হবে। লেনিন যেহেতু বলে গেছেন, উৎপাদনের প্রাচুর্য ছাড়া সমাজতন্ত্র হতে পারে না, অতএব উৎপাদন যেভাবেই হোক বাড়াতে হবে – বিষয়টা এত সহজ নয়।” (চেকোশ্লোভাকিয়ায় সোভিয়েত মিলিটারি হস্তক্ষেপ, রাশিয়ায় সংশোধনবাদের বিকাশ ও পুঁজিবাদের বিপদ প্রসঙ্গে)
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘উৎপাদনের প্রাচুর্যের দিক থেকে সোভিয়েট আমেরিকার নিচে এবং মোট উৎপাদন আমেরিকার থেকে কম থাকা সত্ত্বেও সারা দুনিয়াকে কমিউনিস্টরা সমাজতন্ত্রের পক্ষে জয় করতে পেরেছিল এই কারণে যে, সমাজতন্ত্রের শক্তি ভিন্ন জায়গায় নিহিত। সেটা শুধু উৎপাদন বাড়ানোর উপরে দাঁড়িয়ে নেই।’ চেতনার নিম্নমানের জন্য এই বুনিয়াদি বিষয়টি সেদিন সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্রুশ্চেভ নেতৃত্ব ধরতে পারেনি। একই কথা দেং জিয়াও পিং ও বলেছেন।
দেং-এর চিন্তা মতে, সমাজতান্ত্রিক স্তরে মৌলিক কাজ হচ্ছে উৎপাদন শক্তির বিকাশ। মনে হবে এটি যেন কোনো কারখানা ব্যবস্থাপকের মন্তব্য। সমাজতান্ত্রিক সমাজে উৎপাদন বাড়াতে হয়, কথা সত্য কিন্তু তা কোনো অবস্থাতেই মৌলিক কাজ হতে পারে না। শ্রমিক শ্রেণির বিপ্লবী দল যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকে তখন তাদের মৌলিক কাজ হচ্ছে সমাজঅভ্যন্তরে আপোষহীন সংগ্রাম চালিয়ে শ্রেণি বিলুপ্তির জন্য বস্তুগত ও ভাবগত সংগ্রাম পরিচালনা করা।
দেং-এর মতে, ‘উৎপাদন শক্তির বিকাশের সাথে সাথে ক্রমাগত মানুষের বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত উন্নতি হতে থাকে’। এই ভাবনাটিও অত্যন্ত যান্ত্রিক। মার্কসবাদের ছাত্র হিসাবে এ কথা জানা থাকার কথা যে, উৎপাদন শক্তি বিকাশের সাথে সাথে মানুষের বস্তুগত ও ভাবগত উন্নতির সম্পর্ক যান্ত্রিক নয়, দ্বান্দ্বিক। এর সাথে রাষ্ট্রের চরিত্র, আদর্শ, সংস্কৃতি, মূল্যবোধের চর্চাসহ আরও নানা বিষয় জড়িত। উৎপাদন বাড়লেই মানুষের সাংস্কৃতিক উন্নতি হতে থাকে এ কথা যে সত্য নয়, তা আজকের পুঁজিবাদী বিশ্বের দিকে নজর দিলেও বোঝা যাবে। সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নেও উৎপাদন বেড়েছিল, অর্থনৈতিক দিক থেকে জনগণের সকল অভাব পূরণ করার জায়গাতেও তারা গিয়েছিল কিন্তু পুঁজিবাদী নানা প্রবণতা তারা সমূলে উৎপাটন করতে পারেনি। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা পতনের এটা ছিল একটি অন্যতম প্রধান কারণ। সংস্কৃতির সংগ্রাম আরেক জাতের। কেবল উৎপাদন বাড়ালে জনগণের সংস্কৃতিগত মান উন্নত হয় না। এই কাজ না করে, জনগণের মধ্যে ব্যক্তিসম্পত্তি ও ব্যক্তি সম্পত্তিজাত মানসিকতাকে নির্মূল করার সংগ্রাম না করে বাস্তবে দেং জিয়াও পিং সমাজতন্ত্রের নামে এক ধরনের চালাকিই করেছেন।
শি জিং পিং এর ‘চীনা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত সমাজতন্ত্র’ সম্পর্কিত চিন্তাধারা
১৯ তম কংগ্রেসে চীনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শি জিং পিং যে বক্তব্য রেখেছেন তার কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ এখানে আলোচনা করছি। শি’র বক্তব্যে দেঙ-এর চিন্তাধারারই ধারাবাহিকতা আমরা দেখতে পাব। পুরো রিপোর্টে চীনের উৎপাদন শক্তি বাড়ানোর ব্যাপারটি বারবার বলা হয়েছে। রিপোর্টে আগামী দিনের ‘সমাজতান্ত্রিক চীনের’ পরিকল্পনাও তুলে ধরা হয়েছে।
রিপোর্টের এক পর্যায়ে আঞ্চলিক উন্নতির কথা বলতে গিয়ে শি জিং পিং উল্লেখ করেছেন যে বেইজিং-এর একটি উচ্চভিলাষী পরিকল্পনা আছে যার নাম হলো ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চীন ‘সিল্ক রোড’কে পুনরুজ্জীবিত করতে চাচ্ছে। সারা বিশ্বের ৬৮টি দেশ এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হলেও মূলত চীনের নেতৃত্বে এই প্রকল্প এগিয়ে যাচ্ছে। এর তিনটি ভাগ ১. চীনের জিয়ান অঞ্চল থেকে শুরু হয়ে কাজাকিস্তান, সমরকন্দ, তেহরান, ইস্তাম্বুল, মস্কো হয়ে জার্মানির রোটেরডেম। এই রাস্তাটিকে বলা হচ্ছে ‘সিল্ক রোড ইকনোমিক বেল্ট’। ২. দ্বিতীয় ভাগটি মেরিটাইম সিল্ক রোড নামে পরিচিত যেটি চীনের ফুযহৌ অঞ্চল থেকে শুরু করে কুয়ালালামপুর, জাকার্তা হয়ে কলকাতা, কলম্বো, জিম্বাবুইয়ের নাইরোবি, গ্রীসের এথেন্স হয়ে ইটালির ভেনিসে গিয়ে শেষ হয়েছে। ৩. আর সর্বশেষটি হলো চীনের খাসঘর থেকে শুরু হয়ে পাকিস্তানের গদর অঞ্চল দিয়ে গিয়ে রুটটি শেষ হয়েছে।
এভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে যাতায়াতের পথ তৈরি করার মাধ্যমে বাস্তবে চীন এই দেশগুলো থেকে বিশেষত অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ দেশসমূহ থেকে সস্তা কাঁচামাল, শ্রমশক্তি, প্রাকৃতিক সম্পদ আরোহন করতে চায়। এই পরিকল্পনা যদি তারা বাস্তবায়ন করতে পারে তবে আগামী দিনে তারা হবে এক নম্বর ধনী দেশ।
১৯৭৮ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি অর্থনৈতিক সংস্কার করে। ১৯৮১ সাল থেকে চালু করে বাজার অর্থনীতি। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার ফলে যে শক্তিশালী ভিত্তি চীনে গড়ে উঠেছিল, তাকে ব্যবহার করে চীনের বাজার বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের পরিকল্পনা।
কিন্তু এটা কি সমাজতন্ত্র? পুঁজিবাদী বণ্টন ব্যবস্থার সাথে এর পার্থক্য কোথায়? চীন যদি বিশ্বের এক নম্বর ধনী দেশ হয় তাতে তার দেশের জনগণের কী লাভ? চীনে এখন প্রায় সাড়ে ৫ কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে মানবেতর জীবনযাপন করে। যাদের মাথাপিছু ভোগের পরিমাণ ১ ডলারেও কম। অন্যদিকে চীনে সবচেয়ে ধনী ৩ ব্যক্তির প্রত্যেকে কমপক্ষে ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদের মালিক।
তাহলে শি’র ‘চীনা বৈশিষ্ট্যযুক্ত সমাজতন্ত্র’ কথাটা মানে কী? আসলে তারা কৌশলে পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থাকেই সমাজতন্ত্রের নতুন বৈশিষ্ট্য বলে চালিয়ে দিচ্ছে। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যকে ‘বৈচিত্র্য’ বলে জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। পুঁজিবাদ যেভাবে তার সংকট মোকাবেলা করে, সেভাবে তারাও কেবল উৎপাদন বৃদ্ধিরই দাওয়াই দিচ্ছেন। আজকের চীনের শাসন মূলত একদলীয় শাসনের মাধ্যমে বিদেশি পুঁজি, রাষ্ট্রীয় পুঁজি, ব্যক্তি পুঁজির সম্মিলিত বিকাশের একটি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ।
সমাজতন্ত্র নিয়ে এমন শোধনবাদী পদক্ষেপেরও পরও আমরা দেখলাম বাংলাদেশের একটি বামপন্থী পার্টি সিপিবি চীনের ১৯তম কংগ্রেস উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালো। (সাপ্তাহিক একতা’র ২২ অক্টোবর ‘১৭ সংখ্যা) তারা বলেছেন, ‘সিপিবি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে কমরেড শি জিন পিং এর সুযোগ্য নেতৃত্বে চীনা পার্টি সফলভাবে এ কংগ্রেস সম্পন্ন করতে পারবে।… সিপিবি বিশ্বাস করে, সমাজতন্ত্রের গৌরবময় লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য চীনা পার্টি তার রাজনৈতিক কর্তব্যসমূহ এগিয়ে নেবে।’ আজকে সারা পৃথিবীতে চীনের কর্মকা- দেখেও, তাদের অর্থনৈতিক সংস্কার পর্যবেক্ষণ করেও সিপিবি’র এই মূল্যায়ন! এই চীন সমাজতন্ত্রের পক্ষে কী গৌরবময় ভূমিকা পালন করছে তা তাদের দেখাতে পারলে ভালো হত। অতি সম্প্রতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের ভূমিকা কি আমাদের অজানা? চীন তার নিজের বৈশিষ্ট্য নিয়েই সমাজতান্ত্রিক – এ ব্যাপারটিরও ব্যাখ্যা থাকা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৬২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের মধ্যে যে মতাদর্শগত বিরোধ তৈরি হয়েছিল, যাকে মহাবিতর্কও বলা হত, তখন সিপিবি’র (তৎকালীন ইপিসিপি) অবস্থান ছিল সোভিয়েতের পক্ষে। সেসময় তারা মাও সে তুং-এর নেতৃত্বাধীন চীনকে সংশোধনবাদী, হটকারী আখ্যাও দিয়েছিল। মাও সে তুং-এর চীন ‘সংশোধনবাদী’ আর আজকের শি চিং পিং-এর চীন ‘সমাজতন্ত্রী’?
শি জিং পিং কেবল দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেননি, তিনি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উৎপাদন শক্তি বিকাশের নামে বাস্তবে ব্যক্তি পুঁজি বিকাশের সর্বোচ্চ সুযোগ করে দেবার পরিকল্পনা করছেন। এবারের কংগ্রেস সেই বার্তাই দিয়ে গেল। তাই চীনের কমিউনিস্ট পার্টিকে কমিউনিস্ট নামের পুঁজিবাদী দল বলতে আমাদের আর দ্বিধা থাকা উচিত নয়।