সমাজতন্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা ও সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু এক যুক্ত বিবৃতিতে হলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর ওপর প্রক্টরের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
৮ আগষ্ট ২০১৬ সংবাদপত্র প্রকাশার্থে দেয়া এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল নির্মাণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। সম্প্রতি দেশে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের মেসে মেসে পুলিশি তল্লাশির নামে হয়রানির প্রেক্ষিতে হলের দাবিতে আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। হলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বারবার ফুঁসে উঠলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময়ই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি অথবা জোর জবরদস্তি, হুমকি দিয়ে অতীতে আন্দোলন থামিয়ে দিতে চেয়েছে। এবারও তেমনি আন্দোলনের ৭ম দিনে শিক্ষার্থীদের উপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। আজ ৮ আগস্ট শিক্ষার্থীরা যখন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভাস্কর্য চত্ত্বরে সমাবেত হচ্ছিল এবং পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির (সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্লাসবর্জন) প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন প্রক্টরের নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডির কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জমায়েত প্রথমে ছত্রভঙ্গ করে এবং পরবর্তীতে মিছিল থেকে শিক্ষার্থীদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এই হামলায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সম্পাদক প্রসেনজিৎ, পাঠাগার সম্পাদক অনিমেষ রায়সহ প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা ছাত্রীদের নানা অশ্রাব্য গালিগালাজও করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘শিবির’ বলে আখ্যায়িত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার হুমকি দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রক্টোরিয়াল বডির এ ধরনের আচরণ নজিরবিহীন। শিক্ষার্থীদের ওপর এধরনের হামলা চালিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানজনক পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন।’
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হামলার সাথে জড়িত প্রক্টরসহ প্রক্টোরিয়াল বডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপাচার্যের প্রতি আহ্বান জানান এবং সাথে সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পূরণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান।