Sunday, November 24, 2024
Homeফিচারডিজিটাল নিরাপত্তা আইন — প্রতিবাদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার কৌশল

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন — প্রতিবাদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার কৌশল

digital security act copy
দেশটা যে ভালো চলছে না তা সবাই জানে। কি কতটা খারাপ, তার সীমা-পরিসীমা কত, তা বোধহয় ঠাওর করা যাচ্ছে না। একটি ঘটনা ছাপিয়ে যাচ্ছে আগেরটিকে। মাত্রা বাড়ছে ভয়ংকর নিষ্ঠুরতার। অসংখ্য সংকটে জেরবার জীবনে ঠাঁই পাচ্ছে নিত্যনতুন মারপ্যাঁচ। শোষণের যেমন নিত্যনতুন কৌশল তেমনি তাকে আড়াল করারও নানা ছলাকলা আসছে প্রতিনিয়ত। আগে অন্যায় হলে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করার সুযোগ থাকত। এখন তারও পথ কীভাবে সবদিক থেকে বন্ধ করা যায়, সে চেষ্টা চলছে। কূটকৌশলের নব্য সংযোজন ঘটছে প্রতিনিয়ত। পরিস্থিতি এখন এমন — অন্যায় হবে বেশুমার, সর্বত্র, কিন্তু প্রতিবাদ করলে থাকবে শাস্তি। এ যেন শ্বাসরোধ করে বাঁচিয়ে রাখার কৌশল।

আলোচনার কারণ সম্প্রতি দেশের মন্ত্রিপরিষদ একটি নতুন আইনের খসড়া ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ পাশ করেছে। ডিজিটাল শব্দটি গত কয়েক বছরে দেশের মানুষের কাছে খুব পরিচিতি পেয়েছে। সরকারের তথাকথিত ডিজিটাল উন্নতির সুফল সাধারণ মানুষ কতটা পাচ্ছে সে আলোচনায় না গেলেও বলা যায় — এক ভয়ংকর বিপদের দিকে আমরা ধাবিত হচ্ছি। মূল আলোচনার আগে শুধু একটি কথা বলে নেয়া ভালো — নিরাপত্তার কথা বলা হলেও এই আইন এক ভয়াবহ নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির দিকে দেশের সাধারণ মানুষকে নিয়ে যাবে।

ইতোমধ্যে আইনটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনার অবশ্য কারণ আছে। কেননা এই আইনটি যার ধারাবাহিকতায় এসেছে সেটি হচ্ছে ‘তথ্য প্রযুক্তি আইন’ বা আইসিটি অ্যাক্ট। যার ৫৭ ধারার কুপ্রভাব দেশের সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সকলে টের পেয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে গত ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত তথ্য প্রযুক্তি আইনে ১ হাজার ৪১৭টি মামলা হয়েছে। যার ৬৫ শতাংশ হয়েছে ৫৭ ধারায়। সমাজের প্রতিটি বিবেকবান সচেতন মানুষ এই আইনটি বাতিলের দাবি তুলেছেন। দাবির প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী বলেছিলেন ৫৭ ধারা বাতিল হবে। নতুন একটি আইন আসবে। আইনমন্ত্রী নিজেও বলেছেন, ‘৫৭ ধারার মধ্যে অনেক অগণতান্ত্রিক বিষয় আছে। এগুলোর পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।’ আইনে পরিবর্তন এলো, কিন্তু যা হলো তা আগের চেয়েও হয়রানিমূলক এবং নিবর্তনমূলক।

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’র পূর্ণাঙ্গরূপ এখনও সরকারের তরফ থেকে প্রকাশিত হয়নি। কেবল মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কথাতে এই আইনের কিছু অংশ প্রকাশ পেয়েছে। তাতেই বোঝা গেছে কতটা ভয়ংকর হতে যাচ্ছে এই আইন! দেখা যাচ্ছে ৫৭ ধারা তো বাতিল হয়নি, বরং এ ধারাটিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় (২৫, ২৮, ২৯ ও ৩১) ভাগ করে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়। নতুন করে ৩২ নম্বর ধারা যুক্ত করা হয়েছে। যেটা আসলে গোঁদের উপর বিষ ফোড়ার মতো। ৩২ নম্বর ধারার মূল কথা হলো — অনুমোদন ব্যতিরেকে সরকারি তথ্য সংগ্রহ করলে তাকে গুপ্তচরবৃত্তি বলে বিবেচনা করা হতে পারে। এই ধারা কার্যকর হলে দেশের সাংবাদিক মহল, গবেষক এমনকি সাধারণ মানুষ আর কোনোভাবে সরকারের দুর্নীতি-লুটপাটের খবর প্রকাশ করতে পারবে না।
প্রত্যেকটি আইনে যেমন থাকে, এখানেও কিছু গালভরা বুলি আওড়ানো হয়েছে। বলা হয়েছে এসব করা হয়েছে ‘তথ্য সুরক্ষা’র জন্য। বলা হয়েছে — ‘মানহানি’ ‘রাষ্ট্রের সুনামের ক্ষতি করলে’, ‘ধর্মীয় অনুভূতি’কে আঘাত করলে’ মামলা করা যাবে। এসমস্ত কথা ৫৭ ধারাতেও ছিল। তার অপপ্রয়োগ আমরা দেখেছি।

যেকোনো একটি আইনের উদ্দেশ্য থাকা উচিত জনগণ যেন সেই আইনের ভাষা পড়ে বুঝতে পারে, সে যেন তার করণীয় কী, না করলে শাস্তি কী তা নির্ধারণ করতে পারে। কিন্তু এই আইনে ‘মানহানি’, ‘রাষ্ট্রীয় সুনাম’, ‘ধর্মীয় অনুভূতি’ ইত্যাদি শব্দগুলির কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। একই অবস্থা যখন ৫৭ ধারাতেও ছিল তখনও এই শব্দগুলোর নিজের মতো ব্যাখ্যা দিয়ে ক্ষমতাসীনরা একের পর এক অপকর্ম ঘটিয়েছে। যেমন- কী করলে মানহানি হবে তা এই আইনে অস্পষ্ট। তাহলে কোনো ক্ষমতাসীন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের সমালোচনা করলেও তো মানহানি হতে পারে। জনগণকে না জানিয়ে যখন একের পর এক দেশবিরোধী চুক্তি হয়, তার প্রতিবাদ করলে তো ‘রাষ্ট্রের সুনামের ক্ষতি’ হতে পারে। শুধু তাই নয়, এই আইনে ‘সংক্ষুব্ধ’ ব্যক্তি ছাড়াও ‘মানহানি’র মামলা করতে পারবে যে কেউ। যেমন — যদি কোনো মন্ত্রী বা এমপি মনে করেন তার বিরুদ্ধে লিখিত বা প্রদানকৃত বক্তব্য তাকে হেয় করেছে তাহলে তিনি তো বটেই বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। এর ফল কী হতে পারে তা আমরা কিছুদিন আগেও ‘ডেইলি স্টার’ পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনামের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দেখলাম। সারাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হলো। প্রায় শত কোটি টাকার মানহানির মামলা হলো। এতে এখনও হয়ত ওই সম্পাদককে জেলে যেতে হয়নি। কিন্তু, এত এত মামলা একজন মানুষকে হয়রানির জন্য যথেষ্ট। দেশের শীর্ষস্থানীয় একজন ব্যক্তির যখন এমন দশা হয় তখন সাধারণ মানুষের কী হবে? এমন জাতের হয়রানি করার সুযোগ ওই আইনে থাকছে।

খসড়া আইনের ২১ ধারায় বলা হয়েছে ‘ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার নামে প্রোপাগান্ডা বা প্রচারণা চালালে বা মদদ দিলে অনধিক ১৪ বছরের কারাদন্ড বা ১ কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড হতে পারে।’ এখন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলতে আমরা কী বুঝব তা কি কোথায় লিপিবদ্ধ আছে? আমরা তো নিত্যদিন দেখছি সরকার তার যত অপকর্ম আছে সবই করছে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার’ কথা বলে। কিন্তু, সরকারের বয়ানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি সত্যিকারের চেতনা? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে তো সমতার কথা বলা, সমাজে বৈষম্য দূর করা, লুটপাট বন্ধ করা, দেশের সম্পদ পাচার হতে না দেয়া, সাম্প্রদায়িক-জাতিগত নিপীড়ন বন্ধ করা, সন্ত্রাস-যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করা ইত্যাদি। কিন্তু, এর কোনোটিই কি সরকার করছে? যদি না করে তাহলে তার প্রতিবাদ করা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী হবে? আসলে সরকার প্রতিদিন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলে যা করছে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা। কিন্তু, এসব নিয়ে বলা যাবে না। চেতনা পরিপন্থী কাজ হবে।

এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম বহু আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত। এই লড়াই কোনো একক ব্যক্তি বা কোনো একটি রাজনৈতিক দল করেনি। লাখ লাখ শহীদ যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁরা বেশিরভাগই ছিলেন শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। কিন্তু, এ কথা বলা অত্যুক্তি হবে না যে, সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কথা ভেবে আজ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচিত হয়নি। এখনও এর সকল গৌরব একক ব্যক্তি বা দলের কানাগলিতেই সীমাবদ্ধ আছে। বাঙালি জাতির এই মহান সংগ্রাম নিয়ে তাই আরও বেশি করে গবেষণা-আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ঐতিহাসিক কালপঞ্জি সংগ্রহ করা এবং তা নিয়ে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। কিন্তু যে আইন আজ বলবৎ হতে যাচ্ছে, তাতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এ কাজ কোনো গবেষক, কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে করা সম্ভব হবে না। কেননা তাতে নেমে আসবে সরকারি নিষেধাজ্ঞার খড়্গ। কেবল এবং একমাত্র আওয়ামী লীগ এবং তার সরকার যেভাবে মুক্তিযুদ্ধকে ব্যাখ্যা করবে সেভাবেই দেশের সকল মানুষকে তা মেনে নিতে হবে। জাতির এতবড় অর্জনকে এভাবে দলীয় সম্পত্তিতে কুক্ষিগত করার আয়োজন চলছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে’ মামলা করার বিধান রাখা হয়েছে। এমন বিধান তথ্যপ্রযুক্তি আইনেও ছিল। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে কী? ‘ধর্মীয় অনুভূতি’ বলে যা বোঝানো হয়েছে তা আসলে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণেরই অনুভূতি। সংখ্যালঘুদের উচ্ছেদ করলেও তাতে ধর্মীয় অনুভূতি আহত হয়নি। এই সময় ফেসবুকের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি সাম্প্রদায়িক আক্রমণ হয়েছে। দেখা গেছে ঘটনাগুলো পরিকল্পিত, জায়গা-জমি-সম্পত্তি-সম্পদ লুটপাট করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। সবগুলো ঘটনার সাথে সরকারের লোকজন সম্পৃক্ত ছিল। যেমন কক্সবাজারের রামু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে, রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যাদের বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা প্রত্যেকে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর এবং তারা কেউই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে জানে না। এদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আসলে তাদের পরিবার পরিজন এমনকি গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ একটি ঘটনাতেও কারা প্রকৃত অপরাধী তা প্রকাশ করা হয়নি।

খসড়া আইনে নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে ৩২ নম্বর ধারা। এতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ কোনো সংস্থার গোপনীয় বা অতিগোপনীয় তথ্য-উপাত্ত ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কেউ ধারণ করলে তা হবে ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির শামিল। শাস্তি প্রথমবারের অপরাধে ১৪ বছরের কারাদন্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা, দ্বিতীয়বার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা।’ এই আইনটি কার্যকর হলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বা গবেষণা বলে কিছু থাকবে না। ব্যাপারটি এমন — কেবল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির অনুমতি পেলেই কোনো তথ্য-গবেষণা প্রকাশ করা যাবে। যেন কোনো মন্ত্রী-এমপি-সরকারি আমলা বা যেকোন সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ যার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-লুটপাট বা যেকোনো ধরনের অপরাধের অভিযোগ উঠেছে, তিনি বা তারা যদি অনুমতি দেন একমাত্র তখনই কেবল তা প্রকাশ করা যাবে। এর মতো অগণতান্ত্রিক ও কালো আইন কি আর হতে পারে?

আসলে এমন বিধান করার পিছনে সরকারের উদ্দেশ্য আছে। আগে তথ্যপ্রযুক্তি আইন করা হয়েছিল সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তি যেমন প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রীর নিকট আত্মীয় এদের রক্ষা করার জন্য। এবারের আইনটিতে এর পরিধিটিকে আরও বিস্তৃত করে প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গকে যুক্ত করা হয়েছে। সরকারের বেশুমার লুটপাট তো কেবল শীর্ষে বসে থাকা ব্যক্তিবর্গ করে না, এর সাথে যুক্ত আরও অনেকেই থাকে। তাদের সুরক্ষা দেবার জন্যই আসলে এই আইন। তাই বলা যায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আসলে দুর্নীতিবাজ ও লুটপাটকারীদেরই আরও নিরাপত্তা দেবে।

পরিশেষে বলতে হয়, দেশের বিচারব্যবস্থা যখন সর্বোতভাবে দেশের আইনবিভাগের উপর নির্ভরশীল, বিচারব্যবস্থা যেখানে ন্যূনতম নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারছে না, যে দেশে প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র বলে কোনো কিছু আজও গড়েই ওঠেনি, যেখানে শাসনব্যবস্থায় জবাবদিহিমূলক কোনো রীতি-নীতি নেই সেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কেবল ক্ষমতাসীনদের আরও বেশি একক ক্ষমতাশালী করবে। সমাজে ক্ষমতাকাঠামো যখন এমন বিরাট পার্থক্য তৈরি হয়, তখন অনিবার্যভাবে তলার মানুষরা হয় সবচেয়ে বেশি নিষ্পেষিত, শোষিত। আজকের বাংলাদেশ তারই এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। তবে একটা ভুল সব শাসকরাই করে থাকে। তারা দমন-পীড়নের নতুন নতুন পথ আবিষ্কার করে আর ভাবে তাতে প্রতিবাদ বোধহয় বন্ধ হবে। কিন্তু এটাই সভ্যতার শিক্ষা — মানুষকে চিরদিন চুপ করে রাখা যায় না। চিন্তা করার শক্তিই তাকে পথ দেখায়। মানুষ তখন সংগঠিত হয়। বাঁচবার পথ খুঁজে নেয়। এই সত্য ইতিহাসে বারবার ফিরে ফিরে এসেছে। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম হবে না।

সাম্যবাদ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments