আজ সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিবৃতিতে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধিতে সংক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অবিলম্বে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাসদ(মার্কসবাদী)-র ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী কমরেড ফখরুদ্দিন কবির আতিক।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে সরকার। গতকাল বুধবার হঠাৎ করেই সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এবং যা রাত থেকেই কার্যকর করে। বরাবরের মতোই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধিকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশে বছরে মোট যে জ্বালানি ব্যবহার করা হয় তার ৭৩ শতাংশই ডিজেল। সড়ক ও নৌ পরিবহন, কৃষির সেচ পাম্প এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অনেক ক্ষেত্রেই ডিজেলের ব্যবহার হয়। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যায়, এর ফলে যানবাহনের ভাড়া বাড়বে। কৃষি পণ্য উৎপাদনে খরচ বাড়বে, বিদ্যুতের মূল্যও আবারও বাড়বে। পণ্য পরিবহনের খরচ বৃদ্ধির কারণে পণ্যের দামও বাড়বে। ফলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনস্বার্থবিরোধী।”
তিনি আরও বলেন, “এমনিতেই গত কয়েক মাস ধরে চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের জনগণ দিশেহারা। করোনা মহামারীতে দেশের মানুষের আয় কমেছে। অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়ে বেকারত্বের বোঝা বহন করছে। সংসার চালানোই হয়ে পড়েছে দুষ্কর। এই অবস্থায় সরকার পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা তো নেয়ইনি, উল্টো এখন ডিজেল-কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে পণ্যমূল্য আরও বৃদ্ধির পথ করে দিল। ফলে জীবন-যাপনের ব্যয় আরও বাড়বে। জনগণের জীবন হয়ে উঠবে দুঃসহ। ”
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকেই একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনগণের ন্যূনতম ভোটাধিকারের অধিকার পর্যন্ত হরণ করেছে। দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। তাই কার্যত এদেশে জনগণের মতামতের আর কোনো তোয়াক্কা করতে হয় না। তাই যখন যা খুশি, মালিক শ্রেণির স্বার্থে তাই করতে পারে। এই অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদসহ এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের গণআন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। ”