Sunday, November 24, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদঢাকায় পুস্তক বাঁধাই শ্রমিকদের মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ঢাকায় পুস্তক বাঁধাই শ্রমিকদের মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৮ ঘন্টা (রোজ) কাজের মজুরি ২৫০ টাকা, রোজের সাথে সঙ্গতি রেখে প্রোডাকশনের রেট নির্ধারণ, সবেতনে সাপ্তাহিক ছুটি ও দূর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের নীতিমালা প্রণয়নের দাবি

00000 copy

পুস্তক বাঁধাই শ্রমিকদের ৮ ঘন্টা (রোজ) কাজের মজুরি ২৫০ টাকা, রোজের সাথে সঙ্গতি রেখে প্রোডাকশনের রেট নির্ধারণ, সবেতনে সাপ্তাহিক ছুটি ও দূর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, সূত্রাপুর থানা শাখার উদ্যোগে ২২ জানুয়ারি ’১৬ বিকাল ৪টায় পুরান ঢাকার বাংলাবাজার মোড় (সদরঘাট ওভারব্রীজে) থেকে মিছিল ও প্যারীদাস রোডে কে.এল জুবিলি স্কুলের মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিছিলটি শ্যামবাজার, সূত্রাপুর, বাংলাবাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে বাহাদুর শাহ্ পার্কে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সূত্রাপুর থানা শাখার সংগঠক রাজীব চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা কমরেড উজ্জল রায়, কেন্দ্রী সংগঠক শ্রমিক নেতা কমরেড ফখ্রুদ্দিন কবির আতিক, ছাত্রনেতা মাসুদ রানা ও শ্রমিক প্রতিনিধি জামিল ভূঁইয়া, যাদু মিয়া প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাঁধাই শ্রমিক ও সংগঠক মানিক হোসেন।
বক্তারা বলেন,  “যে শ্রমিকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বই তৈরি করার মাধ্যমে মানুষের শিক্ষার আলো জ্বালানোর ব্রত নিয়েছে, তাদের জীবন আজও অন্ধকারে নিমজ্জিত।২০১৬ সালের জানুয়ারি মাস শেষের দিকে চলে এসেছে কিন্তু এখন তালবাহানা চলছে মজুরি বাড়ানো নিয়ে। গত ২০১৫ সালে ও মজুরি বাড়েনি। ২০১৪ সালে বেড়েছিল ১০ টাকা প্রতি রোজে। অতিদ্রুত শ্রমিকদের রোজ মজুরি বাড়ানোর ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পরিশ্রমের পরও তারা বাঁচার মতো মজুরি পাচ্ছে না। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করে এক রোজ মাত্র ১৫০-১৭০ টাকা মজুরি পায় শ্রমিকরা। নারী শ্রমিকরা সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পায় মাত্র ১০০- ১২০ টাকা আর শিশু শ্রমিকরা সকাল ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করে পায় তিন বেলা খাবার ও মাস শেষে ১০০০/১৫০০ টাকা। এই টাকায় কিভাবে চলে শ্রমিকের সংসার?
সাপ্তাহিক ছুটিতো যায়ই না এমনকি মাতৃ ভাষা দিবস,স্বাধীনতা দিবস,বিজয় দিবস, মে দিবসেও কাজ করতে হয়। আর পুরানো কাটিং মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটিতে শ্রমিকের হাত কেটে গেলে সারা জীবন পঙ্গু হিসেবে বেঁচে থাকতে হয়। ক্ষতিপূরণের নেই কোন নীতিমালা। সেই সুযোগে মালিকরাও শ্রমিকের দায় প্রায়ই অস্বীকার করে।”
শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের আহ্বান জানান শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments