দল বিভক্তির ৪ বছর পর বাকৃবি ছাত্র ফ্রন্টের অফিস দখলের চেষ্টা ও নেতাদের উপর সন্ত্রাসী হামলার বিচারের দাবীতে সমাবেশে অনুষ্ঠিত
গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কার্যালয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় বাসদ খালেকুজ্জামানের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু পরদিন পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা পুণর্বার হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হয় বাকৃবি শাখার সভাপতি রফিকুজ্জামান ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক গৌতম কর এবং সাংগঠনিক সম্পাদক প্রেমানন্দ দাস সহ আরও অনেকে। নেতা কর্মীদের হাত, পা ও মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
এই হামলার প্রতিবাদে আজ ২৯ এপ্রিল’১৭ শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের টিএসসিতে মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে কেন্দ্রীয় সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা বলেন, “দখলদারিত্বের মানসিকতা দিয়ে আদর্শের রাজনীতি হয় না। আমাদের পার্টি বিভক্ত হয়েছে ৪ বছর আগে। বাকৃবির প্রায় সকল নেতা কর্মীরা আমাদের পক্ষে অবস্থান নেন। ফলে বরাবরের মত গত ৪ বছর ধরেও এই অফিস আমরাই ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার করেছি। অতর্কিতে এই হামলা ন্যক্কারজনক তা বামপন্থী রাজনীতিকে কালিমালিপ্ত করেছে। সাথে সাথে তাদের অগণতান্ত্রিক চরিত্রকে উন্মোচিত করেছে।”
সমাবেশ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় পুলিশ ও ক্যাম্পাসের বাইরের নেতা-কর্মীদের দিয়ে করানো এই ন্যক্কারজনক হামলা এটাই প্রমাণ করে যে বাসদ খালেকুজ্জামানদের রাজনীতি কতটা অন্তঃসারশূণ্য। প্রশাসনের হাতে গতদিনের হামলাকারীদের ক্যাম্পাসের বহিরাগত তিনজনকে সোপর্দ করা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয় নি। বরং দ্বিতীয়দিন নিরাপত্তার অজুহাতে পুলিশ ঢুকিয়েছে। পরবর্তীতে বাসদ খালেকুজ্জামানের বহিরাগত নেতা-কর্মীরা হামলা করার সময়ও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। হামলা সহ্য করেও আমাদের নেতা-কর্মীরা অফিসে অবস্থান নিলে পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের লাঠিচার্জ করে অফিস থেকে বের করে দেয় এবং অফিস দখলে নিয়ে তালা দেয়। আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া আক্রান্তদের উচ্ছেদ করা প্রশাসনের এ ভূমিকা অন্যায় ও পক্ষপাতদুষ্ট।”
সমাবেশ থেকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বাকৃবি শাখার অফিস দ্রুত খুলে দেবার এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের জোর দাবী জানানো হয়।