নিরাপদ সড়ক দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং মন্ত্রিসভা থেকে শাহজাহান খানের অপসারণের দাবিতে ৬ আগস্ট বাম গণতান্ত্রিক জোটের দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন। সমাবেশ পরিচালনা করেন ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকম-লীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা দীপক রায় প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার বলছে তারা ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়েছে, কিন্তু আমরা দেখছি আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর সারাদেশে পুলিশ নির্যাতন চালাচ্ছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশের সাথে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। আজ সারদিন রামপুরায় ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং বসুন্ধরা এলাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর টিয়ারশেল ও ছড়া গুলি চালানো হয়েছে। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
শাহাবাগ এলাকা থেকে ছাত্রফ্রন্ট নেতা সজীব চৌহানসহ তিনজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রফ্রন্ট নেতা সোহাইল হোসেন শুভ, ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মোরশেদ হালিমকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা মারাত্মকভাবে আহত করেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্টের নেতা আব্দুর গফুর মিয়া, ফয়েজ হোসাইন ও হুমায়ুন মজিবকে।
বিদেশি টেলিভিশনের সাথে সাক্ষাৎকার প্রদানের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রখ্যাত আলোকচিত্রি শিল্পী শহীদুল আলমকে।
জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, দমন-পীড়ন, গ্রেপ্তার করে এ সরকার তার দুঃশাসন দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবে না। তিনি গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি এবং জনগণের দাবি অনুযায়ী শাহজাহান খানকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি করেন।