Wednesday, December 25, 2024
Homeফিচারদমন-পীড়ন চালিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায় সরকার

দমন-পীড়ন চালিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায় সরকার

20_BNP-Police+Clash+_300118_0008

দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে গত এক মাস ধরে কারাগারে আছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। এই মামলার রায় যেদিন হয়, সেদিন ঢাকা শহরকে মনে হয়েছিল পুলিশের শহর। বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি। সাধারণ মানুষ ভোগান্তির একশেষ হয়েছিল সেদিন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় গ্রেপ্তার হয়েছিল বিএনপি’র বহু নেতা-কর্মী। পরবর্তীতে ধরপাকড়, নির্যাতন, গ্রেপ্তার থামেনি। বরং এখন বিএনপি’র যেকোনো কর্মসূচি মানেই পুলিশের আক্রমণাত্মক মেজাজ। বিএনপি নেত্রীর গ্রেপ্তার হবার এক মাসের মধ্যে যে ১৩টি কর্মসূচি পালন করেছে তারা, প্রত্যেকটিতেই পুলিশের ছিল ব্যাপক মারমুখী অবস্থান।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা ও মিছিলের কর্মসূচি ছিল। এ কর্মসূচি পুলিশ করতে দেয়নি। ব্যাপক লাঠিচার্জই কেবল করেনি, গ্রেপ্তারও করেছে প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মীকে। গত ৬ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের মতো কর্মসূচিতেও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অস্ত্র উঁচিয়ে এমন তৎপরতা চালিয়েছিল যে চারপাশে ব্যাপক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গত ৮ মার্চ বিএনপি সারা দেশে এক ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। এ কর্মসূচিও পুলিশের বাধায় পন্ড হয়েছে। সম্প্রতি রিমান্ড শেষে কারগারে মারা গেছেন ছাত্রদল মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলন। এমনকি লিফলেট বিতরণের মতো কর্মসূচিও সরকার করতে দিচ্ছে না।

‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ মামলায় বিএনপি নেত্রীর সাজা দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি করলে তার সাজা হবে — ব্যাপারটা এমন নিয়মতান্ত্রিক হলে হয়তো কিছুই বলার থাকত না। কিন্তু এই সরকার আইন-আদালত-বিচার ব্যবস্থা সবগুলোকে এমন বিতর্কিত করেছে যে তা আর বলা যাচ্ছে না। আইন-আদালত সব যেন বিরোধী দল দমন করার জন্য। যেমন, নিয়মিত বিরতিতে সরকারি দলের অনেক মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির শক্তপোক্ত প্রমাণ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কোনোটিরও বিচার হয়নি। সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যত্ব থাকে না এমন আওয়ামী লীগ নেতা বহাল তবিয়তে সংসদে আজও আসীন আছেন। এখানে আইনবিভাগ, বিচার বিভাগ কাজ করছে না। শুধু তাই নয়, বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে যেসময় এই মামলাটি হয়, সেই সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে, সেসময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছিল। যেমন — বেপজায় পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি (২ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬৮৮ টাকা), ফ্রিগেট ক্রয় দুর্নীতি মামলা (৪৪৭ কোটি টাকা), মেঘনা ঘাট বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুর্নীতি মামলা (১৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা), খুলনায় ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা (৩ কোটি টাকা), নাইকো দুর্নীতি মামলা (১৩ হাজার ৬৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা), ৮টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা (৭০০ কোটি টাকা), বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণ দুর্নীতি মামলা (৫২ কোটি টাকা) ইত্যাদি। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় এসেই সেই মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু বিএনপি নেত্রীর নামে মামলা চালিয়ে এই নির্বাচনের বছরে তাকে জেলে ঢোকানো হয়েছে।

শুধু সরকার প্রধান বলে নয়, এই সময়ে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন প্রায় সাত হাজারের বেশি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসবের মধ্যে এমনকি খুনের মামলাও আছে। এসব তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহজেই বোঝা যায় আদালত পুরোপরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে। উচ্চ আদালতের কী হাল — তাও স্পষ্ট হয়েছে গত কয়েকদিন আগে একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির সাথে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের আচরণ দেখে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ‘পাকিস্তান প্রেমী’, ‘দালাল’, ‘সংখ্যালঘু’, ‘মনিপুরী’, ‘প্রধানমন্ত্রীর আর্শীবাদে নিয়োগপ্রাপ্ত’ ইত্যাদি বলার পাশাপাশি তুই তোকারী সম্বোধনও করা হয়েছে। পরিস্থিতি এমন হলো যে, তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন। ফলে বাংলাদেশে এখন এমন অবস্থা — ন্যায়বিচার, বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা এসব কথায় এখন আর মানুষ বিশ্বাস করে না।

বিএনপি নেত্রী দুর্নীতি করতে পারেন না বা বিএনপি জনগণের পক্ষের রাজনীতি করে — উপরের আলোচনায় আমরা তা বলতে চাইনি। বিএনপি-জামাতেরও চরিত্র-বৈশিষ্ট্যও এক। তারাও তিনবার ক্ষমতায় এসেছে। সেসময় তাদের সৃষ্ট দুর্নীতি-লুটপাটের অসংখ্য নজির বাংলাদেশের মানুষ ভুলতে পারবে না। তখনও গণতন্ত্র, আইনের শাসন বলে কিছু ছিল না, বিএনপি’র সাথে সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীরা সম্পদের পাহাড় জমিয়েছিল, বিদেশে সম্পদ পাচার করেছিল। এসবের যদি বিচার হতো তবে সেখানে আমাদের আপত্তি থাকার কথা ছিল না। কিন্তু তা কি করছে সরকার? আবার বিচার কি কেবল খালেদা জিয়া বা বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের কর্মকান্ডের হবে? গত ৮ বছর ধরে যে দুঃসহ পরিস্থিতি দেশে তৈরি করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার, যেভাবে ব্যাংক ডাকাতি, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার নজির স্থাপন করেছে — তার কি কোনো বিচার হবে না? সেটা হওয়া কি উচিত নয়? তা না হলে এই বিচারিক প্রক্রিয়ার সাথে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও জড়িয়ে আছে — তা বলা কি ভুল হবে?

দেশটাকে আওয়ামী লীগ সরকার কোথায় নিতে চাচ্ছে তা গত ৭ মার্চের সমাবেশের প্রস্তুতি দেখেও বোঝা গেছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুরো ঢাকায় তারা অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছিল। পাবলিক পরিবহনগুলো সরকারি দলের জমায়েত আনার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জোর করে জমায়েত বাড়ানোর জন্য নেতা-কর্মীদের অশ্লীল-অশ্রাব্য ব্যবহারের শিকার হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ, এমনকি পথচারীরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছিল। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে জোর করে, হুমকি দিয়ে এমনকি গায়ে হাত তুলে ছেলে-মেয়েদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেয়া হয়েছে। এভাবে একদিকে তারা ভয়-ভীতি-লোভ দেখিয়ে হাজার হাজার লোকের সমাবেশ করছে, অন্যদিকে বিরোধীদলগুলোর কণ্ঠ রোধ করছে, জনগণের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের জায়গাগুলোকে নস্যাৎ করতে তৎপরতা চালাচ্ছে। এসব করে তারা জনগণের মধ্যে এই বার্তা-ই দিতে চায় যে, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো দল নেই। ক্ষমতায় তাদের ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’ এই সরকার গত ২০১৪ সালেও সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় এসেছিল। এবারও তেমন পরিস্থিতি তারা তৈরি করতে চাইছে। ক্ষমতায় থেকেই সরকারি তহবিলের টাকা খরচ করে জেলায় জেলায় নির্বাচনী জনসভা করছে আওয়ামী লীগ ও তার জোটভুক্ত দলগুলো।

আজকে আওয়ামী লীগের জায়গায় বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে একই কাজ করত। আমরা তারও প্রতিবাদ করতাম। আজ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার তাদের বিরুদ্ধে ন্যূনতম প্রতিবাদ শুনতেও প্রস্তুত নয়। মানুষের প্রতিবাদের কণ্ঠকে কতভাবে স্তব্ধ করে দেয়া যায়, সেটাই তাদের ভাবনা। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের কুখ্যাত ৫৭ ধারাকে আরও সমৃদ্ধ করে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ করেছে। এ আইনের কারণে মুক্ত সাংবাদিকতা, নিরপেক্ষ বিচার বিশ্লেষণ বলে আর কিছু করার আইনি সুযোগ থাকবে না দেশে। সরকারের বিপক্ষে যায় এমন যেকোনো তথ্য, সংবাদ, গবেষণা পত্রকে নিষিদ্ধ করা যাবে, লেখকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাবে। এভাবে সরকার নিজেদের প্রয়োজনে আইন করে, বিচার বিভাগকে কাজে লাগিয়ে ভিন্ন চিন্তাকে দমন করছে। সম্পূর্ণ একদলীয় ও অগণতান্ত্রিক শাসনের দিকে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে।

এমন পরিবেশে মনুষ্যত্ব বাঁচে না, মানুষ হবার প্রক্রিয়াটিই ধ্বংস হয়ে যায়। এ ধরনের শ্বাসরোধ অবস্থায় কূপমন্ডূক চিন্তার জন্ম হয়, বিস্তার ঘটে। তাই দেখছি আজ আমরা আমাদের চারপাশে। এদেশে আজ ধর্মীয় উগ্র ও সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোর ব্যাপক আস্ফালনের কারণে কোনো মুক্তবুদ্ধি, প্রগতিশীল, গণতন্ত্রমনা মানুষই নিরাপদ নয়। কেবল চিন্তা প্রকাশের জন্য তাদের খুন হতে হচ্ছে, শারীরিক-মানসিক লাঞ্ছনার শিকার হতে হচ্ছে। নারীরা নিরাপদে নেই ন্যূনতম অর্থেও। ধর্ষণ-গণধর্ষণ-খুনের ঘটনা এখন নিত্যদিনের। পাহাড় থেকে সমতল, ক্যান্টনমেন্ট থেকে রাজপথ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কর্মস্থল – কোথাও তারা ভালো নেই। সংখ্যালঘু জনগণ নিরাপত্তাহীন। তরুণ-যুবকরা আশাহীন। সুযোগ আর সক্ষমতা থাকলে চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে।

এ-ই যখন দেশের অবস্থা, তখন সরকার টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় যাবার জন্য একদিকে বিএনপি-কে ঠেকাতে অন্যদিকে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক দলগুলোর সাথে আঁতাতে ব্যস্ত। কেন? কারণ ক্ষমতায় যেতে হলে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হবে আর সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোর ভোট লাগবে। আওয়ামী লীগের এই চরিত্র যখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার তখনও আমাদের দেশের কিছু বামপন্থী দল আওয়ামী লীগের প্রতি মোহগ্রস্ততা কাটাতে পারছে না। আওয়ামী লীগ আর বিএনপি’র মধ্যে মন্দের ভালো হিসাবে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকাটাই যৌক্তিক মনে করছে। তাদের বক্তব্য — বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় এলে দেশ মৌলবাদী-জঙ্গীবাদী গোষ্ঠীর চারণক্ষেত্র হয়ে যাবে। ভাবটা এমন এখন যেন দেশ প্রগতিশীল আর গণতান্ত্রিক শক্তি চালাচ্ছে!

শত্রু-মিত্র নির্ধারণ করতে না পারা — এদেশের বাম আন্দোলনের একটা বড় ব্যর্থতা। আওয়ামী-বিএনপি’র চরিত্র-বৈশিষ্ট্য যে এক তা আজও অনেক বামপস্থী দলের বোঝার ভ্রান্তি থেকে গেছে। তাই তারা আজও মনে করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আওয়ামী লীগ সামান্য হলেও ধারণ করে কিংবা আওয়ামী লীগ যে উন্নয়ন ঘটিয়েছে তাতে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হলেও তেমন কোনো সমস্যা নেই। আসলে বামপন্থী দলগুলো মিলিতভাবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে যদি শ্রেণির রাজনীতিকে বিকশিত করতে পারত, তবে আজ আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপি, এই চিত্র দেশে থাকত না। দেশের সকল বুর্জোয়া শক্তি, লীগ-বিএনপিকে মিলিতভাবে বামপন্থীদেরই মোকাবেলা করতে হতো। কিন্তু সে পরিস্থিতি আজও তৈরি হয়নি। দৃষ্টিভঙ্গির অস্বচ্ছতা আর গণআন্দোলন-শ্রেণি আন্দোলন গড়ে তোলার দুর্বলতা এর কারণ। আর নির্বাচন নিয়ে বামপন্থীদের ব্যতিব্যস্ত হয়ে যাওয়ারও কিছু নেই। নির্বাচনে যদি তারা অংশগ্রহণ করে তবে নির্বাচনী ব্যবস্থার অসারতাকে প্রকাশ করাই হবে তাদের উদ্দেশ্য। নির্বাচন নিয়ে পড়ে থেকে বামপন্থীরা তাদের সংগঠন গড়ে তুলেছে, ইতিহাসে কখনই এটা ঘটেনি। বামপন্থীদের নিজস্ব লড়াকু শক্তি গড়ে তুলতে হবে গণআন্দোলনের মাধ্যমেই।

সরকার দেখাতে চায় তাদের বিরোধিতা করা মানে বিএনপি-জামাতকে সমর্থন দেয়া। কিছু বামপন্থী দলগুলোর মধ্যেও এমন মনোভাব আছে। তাই তারা সরকারের এত এত নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে পারে না। মনে করে, প্রতিবাদ করলে বিএনপি’র পক্ষ নেয়া হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আজ যদি আমরা বিরোধী শক্তির উপর সরকারের তীব্র দমন-পীড়নের প্রতিবাদ না করি, দু’দিন পর এই আক্রমণ আমাদের উপরও এসে পড়বে। এই অগণতান্ত্রিকতা সামাজিক ন্যায্যতা পাবে। দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন আরও তীব্র রূপ লাভ করবে। তাই জনগণকে যুক্ত করে এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে অবশ্যই আমাদের সোচ্চার হতে হবে। পাশাপাশি বুর্জোয়া শক্তিগুলোর চরিত্র-বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্যও জনগণের মধ্যে তুলে ধরতে হবে। তীব্র গণআন্দোলন-শ্রেণিআন্দোলন গড়ে তুলে দেখাতে হবে একমাত্র বামপন্থী-প্রগতিশীল শক্তিই এই সংকট থেকে সমাধানের পথ দেখাতে পারে।

সাম্যবাদ মার্চ ২০১৮

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments