দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধের দাবিতে ২২ মে মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও সিপিবি-বাসদের উদ্যোগে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির চর্চার নামে সরকার বাজার নৈরাজ্যকে প্রণোদনা দিচ্ছে। মানুষের আয় বেড়েছে এই যুক্তি দিয়ে বাজারে যে লুট চলছে তাকে বৈধতা দেয়া হচ্ছে। মন্ত্রী, আমলা, ব্যবসায়ী সব সিন্ডিকেটের অংশ। সরকারি দলের মাস্তানরা শহর থেকে গ্রামের হাটে, ঘাটে চাঁদাবাজি করছে। দেশে একটি নব্য ধনীকশ্রেণি গড়ে উঠেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি তাদের কোন সমস্যা তৈরি করে না বরং তারা লাভবান হয়। এই শ্রেণির মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন, ঘুষখোর, মুনাফাখোর রয়েছে। কিন্তু বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবনে আয় বৃদ্ধির তত্ত্ব কোন প্রভাব সৃষ্টি করেনি। তারা রুটি-রুজির সংস্থান করতে প্রতিনিয়ত গলদ খর্ম হন। অথচ সরকার তাদের সংকটের কথা মনে রাখে না। তারা লুটেরা ব্যবসায়ীদের অবাধে লুটের সুযোগ করে দেয়।প্রতি বছর রোজার আগে মন্ত্রীরা ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেন ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দেন – দাম বাড়বে না। সরকার সেটা প্রচারও করেন। কিন্তু দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক হারে বাড়ে এটা একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে।
বক্তারা বলেন, সরকারের লোক দেখানো উদ্যোগ শহরের কিছু মানুষ সুবিধা পায় ঠিক। খোলা বাজারে কিছু পণ্য বিক্রি হয় কিন্তু তা জেলা শহর পর্যন্ত বিক্রি হয় গ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্য সরকার ভাবে না। বক্তারা বলেন, একটা দেশের সরকার তার দেশের গ্রামের গরীব মানুষকে মুনাফা লুটেরাদের হাতে সপে দিতে পারে না। কিন্তু সেটা এখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে।
বক্তারা আরো বলেন, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি ও ভেজাল খাদ্য মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করছে। সরকার যদি কৃষকদের কৃষি কার্ড দিতে পারে তাহলে দরিদ্র স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য পল্লী রেশন কার্ড কেন দিতে পারে না?
বক্তারা সরকারি উদ্যোগে সার-বীজের মতো টিসিবির মাধ্যমে পণ্য আমদানি করে গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানান।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জননেতা আজিজুর রহমান, হামিদুল হক, বজলুর রশীদ ফিরোজ ও কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।