বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে অনির্বাচিত অবৈধ সরকারের অগণতান্ত্রিক কায়দায় প্রণীত এ বাজেটে জনগণের প্রতি কোন প্রকার দায়বদ্ধতা ধারণ করার প্রয়োজন বোধ করেনি। বরং ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের জন্য অন্যায্য সুবিধা প্রদানের মধ্য দিয়ে ধনীক শ্রেণী তোষণের এ বাজেট বর্তমান শোষণ- বৈষম্যের চিত্রকেই তুলে ধরেছে।
তিনি বলেন, নিত্য পণ্যের উপর করারোপের ফলে জনগণের উপর আবারো মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপবে। ক্রমবর্ধমান ভয়াবহ বেকারত্বের সমস্যা সমাধানে সুস্পষ্ট কোন পরিকল্পনা নেই। নেই শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের দুর্দশা লাঘবে কোন প্রকার ব্যবস্থা। ব্যবসায়ীদের কর ছাড়, সারচার্জ কমানোর ঘোষণা থাকলেও কৃষকদের ফসলের নায্যামূল্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কোনো প্রকার প্রণোদনা কিংবা পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, ব্যাংকসহ আর্থিক খাত ধ্বংসের জন্য দায়ী খেলাপীঋণ আদায়ে ও টাকা পাচার বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিয়ে বরং কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে অপরাধীদের পুরষ্কৃত করা হয়েছে। উপরন্তু বিশাল অংকের ঋণের বোঝা জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ জনগুরুত্বপূর্ণ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না রেখে মাথাভারী প্রশাসন ও তথাকথিত মেগা প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধির মাধ্যমে মেগা দূর্নীতির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি এ গণবিরোধী বাজেট বাতিলের দাবিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার দাবি জানান।