Thursday, December 26, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদনভেম্বর বিপ্লব দেখিয়েছে শোষণ মুক্তির পথ সমাজতন্ত্র — বাসদ (মার্কসবাদী)

নভেম্বর বিপ্লব দেখিয়েছে শোষণ মুক্তির পথ সমাজতন্ত্র — বাসদ (মার্কসবাদী)

14955966_1275025219184204_3799942973062214247_n-2

মহান নভেম্বর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের শতবর্ষের সূচনা ও পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ বিকেল ৩ টায় মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাসদ(মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, কমরেড আলমগীর হোসেন দুলাল ও কমরেড মানস নন্দী।

কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, “সভ্যতার ইতিহাসে শোষিত মানুষ বার বার মুক্তির জন্য লড়েছে, কিন্তু কাঙ্খিত মুক্তি আসেনি। এক শোষণমূলক ব্যবস্থা পাল্টে আরেক শোষণমূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু মহান নভেম্বর বিপ্লবক প্রমাণ করেছিল, সমাজ বিকাশের ধারাবাহিকতায় সমাজতন্ত্রেই কেবল শোষণমুক্তি হতে পারে। সেই নতুন সভ্যতার অভ্যুদয়কে রবীন্দ্রনাথ, আইনস্টাইন, রম্যা রল্যা প্রমুখ মনীষীরা অবাক বিষ্ময়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন। পৃথিবীর প্রথম শ্রমজীবী মানুষের রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন কেবল সে দেশের শ্রমজীবী মানুষের সর্বাঙ্গীন বিকাশের পথ খুলে দেয়নি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রবল পরাক্রমশালী হিটলার বাহিনীকে অকুতোভয় সাহসে রুখে দিয়েছিল। দেশে দেশে ঔপনিবেশিক শোষণ বিরোধী মুক্তি সংগ্রামে প্রেরণা সঞ্চার করেছিল। যথা নিয়মে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সাম্যবাদের দিকে অগ্রসর করতে না পারার দরুন কেবল সোভিয়েতরই পতন ঘটেনি, মানবসভত্যা আজ সাম্রাজ্যবাদী দেশসমূহের আগ্রাসনের কাছে অসহায়, অরক্ষিত। মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা দুনিয়া জুড়ে তাদের রক্তাক্ত নখরে মানব সভ্যতা আজ ভুলুন্ঠিত। তাই সমাজতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদের অনিবার্য শোষণ থেকে মুক্তির জন্য সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে সংগ্রাম গড়ে তোলা ছাড়া কোন পথ খোলা নেই।”

15002422_10206057538797739_5444184136247235219_o
শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্যেদিয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাদী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এতবড় সংগ্রামের পরও কাঙ্খিত মুক্তি আসেনি। বরং ৪৫ বছরে এক দুবৃত্তায়িত রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরী হয়েছে, যেখানে লুটপাট দূর্নিতী প্রথম ও শেষ কথা। শাসক দলগুলো ক্ষমতার স্বার্থে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার করেই ক্ষান্ত হয়নি, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সাথে আপোষ সমযোতার প্রচারনায় ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার এমন এক পরিবেশের জন্ম দিয়েছে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে সম্প্রীতি হারিয়ে যাচ্ছে। বাহ্মণবাড়িয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িতে হামলা চালানোর ঘটনায় স্পষ্টভাবেই বোধ্যগম্য সরকার দলীয় এমপি ও প্রশাসনের ছত্রছায়াতেই এধরনের ঘটনা ঘটতে পেরেছে। এর আগেও সাম্প্রদায়িক সমস্ত ঘটনায় সরকারী মদদ ছিল।

img_3889-copy
বক্তারা সভায় আরো বলেন, গণতন্ত্র মানে তো জনগণের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা। কিন্তু আওয়ামী-মহাজোট শাসনে এসব আজ কথার কথা। তা নইলে রামপালে সুন্দরবন বিনাশী বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে যেখানে গোটা দেশ সোচ্চার, সরকার উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের বুলি আউড়ে গায়ের জোরে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে।

সভায় বক্তারা পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র‌্যালিতে পুলিশি বাধা প্রদানের নিন্দা জানান। আলোচনা সভা শেষে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments