বাম মোর্চারবিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ
নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে অব্যাহত খুন–গুম–অপহরণ–ক্রসফায়ারের দায়–দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে
নারায়ণগঞ্জে আইনজীবীদের ডাকা ৪ মে হরতালের প্রতি সমর্থন ঘোষণা
নারায়ণগঞ্জে ৭ জনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও সারাদেশে অব্যাহত খুন-গুম-অপহরণের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে পক্ষপাতহীনভাবে গ্রেপ্তার-বিচার, সন্ত্রাসী-গডফাদারদের সরকারি প্রশ্রয়দান বন্ধ করা এবং র্যাব-পুলিশের হেফাজতে বিনা বিচারে হত্যা বন্ধের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে ২ মে বিকাল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সাইফুল হক, মোশাররফ হোসেন নান্নু, মোশরেফা মিশু, আবু হাসান রুবেল, কামরুল আলম সবুজ প্রমুখ। সমাবেশ থেকে নারায়ণগঞ্জে আইনজীবীদের ডাকা ৪ মে রবিবার হরতালের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, নারায়ণগঞ্জ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হওয়ার জন্য দায়ী সন্ত্রাসী-গডফাদারদের সরকারি উচ্চমহল থেকে প্রশ্রয়দান। প্রতিহিংসাবশত নিরপরাধ কিশোর ত্বকী হত্যাসহ নানা অপরাধে একটি বিশেষ পরিবারের সংশ্লিষ্টতার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জবাসী সোচ্চার হলেও মহাজোট সরকার ও পুলিশ-প্রশাসন তাদের রক্ষা করেছে। প্রধানমন্ত্রী আজকে ‘যে কোন মূল্যে খুনীদের গ্রেপ্তারের’ মৌখিক নির্দেশ দিলেও জনগণের ধারণায় যারা চিহ্নিত খুনী-গডফাদার তাদেরকে তিনিই দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত করিয়ে এনেছেন। অতীতে খুন-সন্ত্রাস করেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পার পেয়ে যাওয়ার ফলে অপরাধী-গডফাদাররা আজ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে ৭ খুনের মত বেপরোয়া হত্যাকা- ঘটানোর সাহস পেয়েছে। ফলে, এর দায়-দায়িত্ব মহাজোট সরকারকেই নিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন Ñ শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, সারাদেশে আজ লাশের মিছিল। গুম-অপহরণ-নিখোঁজের ঘটনা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- দিনদিন বাড়ছে। জনমনে আতংক, নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বেশিরভাগ খুন-গুম-অপহরণের সাথে সরকারি দলের আশ্রয়প্রাপ্তরা এবং র্যাব-পুলিশ-ডিবি যুক্ত। নেতৃবৃন্দ বলেন, জবরদস্তি ও কূটকৌশলের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতাসীন হয়ে মহাজোট সরকার ও সরকারদলীয়রা আজ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তারা আইন ও জনমতের তোয়াক্কা করছে না। এমতাবস্থায় জনসাধারণকে সংগঠিত হয়ে খুন-গুম-অপহরণ-ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে।