Saturday, November 23, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদনারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

11406956_669456139850947_130336487712979746_n
নারী  লাঞ্ছনার ঘটনায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সারা দেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও গণসমাবেশের অংশ হিসেবে ১২ জুন ২০১৫ ঢাকায় সূত্রাপুর, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর থানায় প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

11392969_669456223184272_7802179675774118030_nসূত্রাপুরে ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্কের সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শরীফুল চৌধুরী, শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সূত্রাপুর থানা শাখার আহবায়ক রাজীব চক্রবর্ত্তী, ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহরাব আজাদ, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক কৃষ্ণ বর্মণ, এলাকাবাসী রহিম ফরায়েজী।

মিরপুর গোল চক্করে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মিরপুর-পল্লবী আঞ্চলিক শাখার আহ্বায়ক সাইফুল হাসান মুনাকাত। বক্তব্য রাখেন নারীমুক্তি কেন্দ্রের সংগঠক নাহিদ ইসলাম, বিদ্যাসাগর পাঠাগারের উপদেষ্টা শিক্ষক মনিরুজ্জামান, শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সংগঠক ডা. মুজিবুল হক আরজু, বাসদ (মার্কসবাদী) মিরপুর থানা শাখার সমন্বয়ক কল্যাণ দত্ত।

মোহাম্মদপুরের টাউন হলে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন। বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাশেদ শাহরিয়ার, গোলাম রাব্বি।

বক্তারা বলেন, ‘একটি অগণতান্ত্রিক পরিবেশে দিনের পর দিন অন্যায় ঘটনাগুলো যেভাবে বিনা বিচারে ঘটে চলছে, নারী নির্যাতনকারীরাও সরকার ও প্রশাসনের সেই অন্যায় প্রক্রিয়ার কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে। যারা সুনির্দিষ্টভাবে দোষী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান হবে না। বিচার করতে পারছে না সরকার কিন্তু মৌলবাদী শক্তিগুলোর মতোই মেয়েদের বাইরে থাকা নিয়ে, পোশাক নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলছে। যেন মেয়েদের চলাফেরাই এই সমস্যার কারণ। এটি বাস্তবে অন্যায়কারীদের রক্ষা করারই আরেকটি কৌশল।’

নেতৃবৃন্দ আরও কলেন, ‘সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় নাটক-সিনেমা-বিজ্ঞাপনে নারীদের প্রতিনিয়ত অশ্লীলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। ছেলে-মেয়েরাও তাদের শিক্ষার পাশাপাশি কোনো বিনোদনের সুযোগ না পেয়ে পর্নোগ্রাফি-মাদকে বিনোদনের পথ খুঁজছে। এই ধরনের সামাজিক আয়োজন প্রতিদিন নারী নির্যাতকের জন্ম দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলাটাই আজ সময়ের দাবি। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র এই লড়াই করছে। সকলকে এই লড়াইয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’

বক্তারা আগামী ১৫ জুন সংগৃহিত স্বাক্ষরসহ প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি পেশের কর্মসুচি সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments