করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দেশ একটা আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে। আর এ সুযোগে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও চিকিৎসা সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে চলছে। চাল ইতিমধ্যেই বস্তাপ্রতি (৫০কেজির বস্তা) ২০০ থেকে ৪০০ টাকা করে বেড়েছে। বেড়েছে পেঁয়াজ ও সব্গজীর দাম। গরীব ও নিম্নবিত্ত মানুষদের বেঁচে থাকাই ভীষণ কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা সংক্রমণের দরকার নেই, না খেয়েই তারা মারা পড়বে এমন অবস্থা তাদের। ইতিমধ্যে বাস চালক, রিক্সা চালক, কন্ডাকটর, নীলক্ষেতের ফুটপাথের বই বিক্রেতা, হকার- সকলের আয় প্রায় শূণ্যের কোঠায় এসে দাঁড়িয়েছে। অথচ ব্যয় বাড়ছেই।
এ পরিস্থিতিতে বাসদ(মার্কসবাদী) ঢাকা নগর শাখার উদ্যোগে আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।তাতে নিম্নোক্ত দাবিগুলো তোলা হয়:
১. আগামী তিন মাসে কোনো মূল্যবৃদ্ধি করা চলবে না। বাজারে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করতে হবে। মজুতদারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. টিসিবিকে কার্যকর করতে হবে। স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৩. শুধু প্রতিষ্ঠান বন্ধ নয়,এ সকল প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল মানুষের জন্য বিশেষ ভাতা ও রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. অসংগঠিত সেক্টরের শ্রমিকদের কাজ ইতোমধ্যে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের তিন মাসের রেশন ও প্রয়োজনীয় ভাতা বরাদ্দ দিন।