Wednesday, December 25, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদনিপীড়িত রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দেয়ার দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ

নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দেয়ার দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ

20161210_152040-copy

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন বন্ধ করা ও নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দেয়ার দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার উদ্যোগে ১০ডিসেম্বর ’১৬, বিকাল ৩.৩০টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি জিন্দাবাজারস্থ পার্টি কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিটি পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সদস্য সুশান্ত সিনহা সুমনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের সিলেট জেলার সদস্য মোখলেছুর রহমান, রেজাউর রহমান রানা প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৯ অক্টোবর ২০১৬ মংডু এলাকায় ৩টি সীমান্ত চৌকিতে সশস্ত্র হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য খুন ও
অস্ত্র লুটের ঘটনার পরে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলিম জঙ্গীগোষ্ঠীকে দায়ী করে তাদের ধরার জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশ রোহিঙ্গা এলাকায় অভিযান চালায়। তল্লাশির নামে শত শত বাড়ীঘরে আগুন দেয়া হয়, অন্তত ৩০ হাজার রোহিঙ্গা গৃহহারা হয়েছে, নিহত হয়েছে শতাধিক।

এর ফলে হাজার হাজার রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে যখন আশ্রয় নিতে আসছে তখন প্রশ্ন উঠেছে, ঘনবসতিপূর্ণ ও সীমিত স¤পদের বাংলাদেশ এদের দায়িত্ব কতটুকু নিতে পারবে? অসহায় মানুষ প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় প্রার্থনা করলে আশ্রয় দেব কি দেব না তা বিবেচনার বিষয় হতে পারে না, কষ্ট হলেও তাদের আশ্রয় দেয়া আমাদের মানবিক দায়িত্ব। ১৯৭১ সালে এক কোটি বাঙালী ভারতে আশ্রয় না পেলে কি পরিণতি হতো? প্রশ্ন হচ্ছে কি প্রক্রিয়ায় আশ্রয় দেয়া হবে, কতদিনের জন্য এবং কীভাবে?

নেতৃবৃন্দ রোহিঙ্গাদের দুর্দশাকে পুঁজি করে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টির বিরুদ্ধে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন — কিছু জঙ্গীগোষ্ঠীর উগ্র কর্মকান্ডের জন্য সমগ্র রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যেমন দায়ী হতে পারে না, তেমনি মিয়ানমার সরকার-সেনাবাহিনী বা বৌদ্ধ সাম্প্রদায়িকতাবাদীদের অপরাধে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে দায়ী করা চলে না। নতুবা তা মিয়ানমারের সমতুল্য অপরাধ হবে।

নেতৃবৃন্দ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিপীড়ন বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সোচ্চার হওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি মিয়ানমার সরকারের সাথে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে আলোচনা করে, প্রয়োজনে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করে রোহিঙ্গা সমস্যার মানবিক সমাধানে তাদের বাধ্য করতে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments