বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসার শিক্ষক কতৃক যৌন নির্যাতন এবং পরবর্তীতে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। নুসরাতের জন্য পদযাত্রা তোপখানা রোডস্থ সংগঠনের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে সেগুনবাগিচা, পল্টন, জিরোপয়েন্ট, বায়তুল মোকাররম হয়ে প্রেস ক্লাব থেকে শিল্পকলায় শেষ হয়।
পদযাত্র চলাকালে বিভিন্ন পয়েন্টে সমাবেশ করা অনুষ্ঠিত হয়। সেগুনবাগিচা হাই স্কুল, পল্টন, জাতীয় প্রেসক্লাব ও শিল্পকলার সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুলতানা আক্তার রুবি, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক তসলিমা আক্তার, সদস্য নাঈমা খালেদ মনিকা, ঢাকা নগর নেতা ফারজানা মালা ও তৌফিকা লিজা।
বক্তারা বলেন, “ প্রতি দিন পত্রিকার পাতা উল্টালে আমরা নারীর ওপর সহিংসতার খবর পাই। আমরা শিহরিত হই কিন্তু সভ্যতা শিহরিত হয় না। নারীর ওপর এ সহিংসতার কারণ কী? আপনারা দেখবেন শৃঙ্খলিত সমাজ দাসত্বের নিগড়ে বন্দী। নারীর প্রতি অধস্তন দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে পাশবিক করে ফেলছে। সমাজ, মূল্যবোধ, নৈতিকতা দিনদিন চেতনা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। একটি নিষ্পাপ মুখ! যার এবছর পরীক্ষা দিয়ে পাশ করার কথা। নানা সময়ের যৌন হয়রানির কথা বেদনার সাথে অভিযোগ আকারে প্রকাশ করার পরিণামে অপরাধী ও তার সহযোগীরা তাকে পুড়িয়ে মারলো। নুসরাত আমাদের কাছে আহ্বান করে গেছে, ‘তোমরা শেষ পর্যন্ত লড়ো।’ আমাদের বোনদের ভবিতব্য কী? এভাবে লাশ হয়ে ঘরে ফেরা?
আমরা যারা এ ভবিতব্য কে মানি না; যারা শেষ পর্যন্ত লড়তে চাই; আমরা যারা নিজেদের মনে করছি আমিই নুসরাতের মা, নুসরাত আমারই বোন তারা সকলে নারী-পুরুষ একসাথে আজ পদযাত্রায় শামিল হয়েছি। আসুন, রাস্তায় নামি। আমাদের শোক নয়, প্রয়োজন প্রতিবাদের শক্তি।। বর্ষ বরণে নারী লাঞ্চনার বিচার হয়নি, তনু হত্যার বিচার হয়নি, অনেক অন্যায় সহিংসতার বিচার হয়নি, তাই ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামতে হবে। সারা দেশের প্রতিবাদে আমরা রাষ্ট্রকে নির্যাতক এবং হত্যাকারীদের বিচার ও শাস্তি দিতে বাধ্য করি।’