৮ মার্চ ২০১৬ সারাদেশের নারীসমাজ তথা সমগ্র জাতি যখন নারী দিবসের সংগ্রামী ইতিহাস স্মরণ করে নিজেদের মর্যাদা রক্ষার লড়াইকে জোরদার করার শপথে উদ্দীপ্ত ঠিক তখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিদ্যাপীঠে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ সরকারের নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান বর্ষবরণে ঘটে যাওয়া নারী নিগ্রহকে ‘তেমন কিছু নয় বলে’ এবং ‘এ ধরনের টুকিটাকি ঘটনা ঘটতেই পারে’ বলে উক্তি করেছেন। ৮ মার্চে ১০ নারীকে সম্বর্ধনা দিতে এসে তিনি এই দায়িত্বহীন উক্তি করেন।
বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সীমা দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন নৌ মন্ত্রীর এহেন জঘন্য, ঘৃন্য উক্তির প্রতি তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, পরিকল্পিতভাবে বর্ষবরণে নারী লাঞ্ছনাকারীদের রক্ষার করার অপচেষ্টা চলছে। পুলিশের প্রতিবেদন, সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পদে আসীন মন্ত্রী আমলাদের এই সংক্রান্ত উক্তিতে তা বার বার প্রমাণ হয়েছে। সর্বশেষ ৮ মার্চের মত সংগ্রামী দিনে ঢাকা নৌ মন্ত্রীর এই উক্তি আবারও প্রমান করলো তারা অপরাধীদের পক্ষে। তবে এটা নতুন কিছু নয়। অতীতের সমস্ত ঘটনার মত এ ঘটনাতেও সরকার এবং প্রশাসনের অবস্থান অন্যায়কারীদের পক্ষে এবং তাদেরকে রক্ষার জন্য সরকার মরীয়া। কিন্তু সরকারের উচ্চ পদে আসীন ব্যক্তিরা যদি এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেন তাতে সন্ত্রাসীরাই আস্কারা পেয়ে যায়। ভবিষ্যতে এদেশ এবং সমাজ যে নারী ও শিশুদের জন্য ভয়াবহ অনিরাপদ স্থানে পরিনত হতে যাচ্ছে তা চোখের সামনে স্পষ্ট। ফলে নারী সমাজকেই এ আন্দোলনে এগিয়ে এসে দূর্বার গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী বর্ষবরণের আগেই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অবিলম্বে এ জঘন্য উক্তি করার জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রীকে সমগ্র নারী সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে অন্যথায় তাকে পদত্যাগ করতে হবে।