সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ৬ জানুয়ারি ২০১৭ বেলা ১১.৩০ প্রেসক্লাব চত্বরে ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ্যপুস্তকে নজিরবিহীন ভুল, সাম্প্রদায়িক – লৈঙ্গিক বৈষম্যে ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রচারণার মাধ্যমে শিশুদের উপর রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদী আচরণ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইভা মজুমদার, সদস্য সুস্মিতা রায় সুপ্তি।
সমাবেশে সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা বলেন,‘ ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ্যপুস্তকের ১ম শ্রেণীতে অ অক্ষর চেনাতে ‘ওড়না চাই’ বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে নারী-পুরুষের পার্থক্যে শৈশবে শিক্ষার্থীকে শেখানো হচ্ছে। পাঠ্যসূচি থেকে অনেক লেখকের মননশীল লেখা বাদ দেয়া হয়েছে এবং যে বিষয়বস্তু যুক্ত করা হয়েছে তাতে সাম্প্রদায়িক দৃষ্ঠিভঙ্গিই প্রতিফলিত হয়েছে। যেমন ধর্মীয় অনুভূতি আহত হতে পারে সে বিবেচনায় হুমায়ুন আজাদের ‘বই’ কবিতা বাদ দেয়া হয়েছে। অষ্টম শ্রেণীর আনন্দ পাঠ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে রামায়ণ। বইয়ের উপরের পৃষ্ঠায় ও শেষের পৃষ্ঠায় যে সমস্ত কোটেশন ব্যবহার করা হয়েছে তা আওয়ামীলীগের নির্লজ্জ দলীয় প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নই। যেমন বলা হয়েছে,‘ শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’। এর মাধ্যমে অল্পবয়সী কোমলমতি শিশুদের অন্ধতা শেখানো হবে।
এছাড়া পাঠ্যপুস্তক অজস্র ভুলে ভরা। তৃতীয় শ্রেণীতে কুসুমকুমারী দাশের বিখ্যাত কবিতা ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতাটি কবিতায় লাইন, বাক্য গঠন, শব্দের বানানে অনেক ভুল পাওয়া গেছে। প্রথম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের ১১ পৃষ্ঠায় ‘ছাগল গাছে উঠে আম খায়’ এর মতো হাস্যকর তথ্য দেয়া হয়েছে।
ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ না বানিয়ে অবিলম্বে ভুলে ভরা, সাম্প্রদায়িক, লৈঙ্গিক বৈষম্যের ও দলীয় প্রচারণার বই বাতিল করে শিশু কিশোরদের দেহ মনে বিকশিত করার পরিপূরক সিলেবাস নির্ধারণ করে নতুন করে শিক্ষার্থীদের বই সরবরাহ করতে হবে’।