সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে আয়োজিত প্রতীকী গণভোটের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ১৭ নভেম্বর ২০১৬ দুপুর সাড়ে ১২ টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্ম্দ প্রতীকী গণভোটের রায় ঘোষণা করেন।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে গত ৩০ অক্টোবর থেকে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ক্লাসে, হলের রুমে রুমে তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কর্ণারে গিয়ে ভোট সংগ্রহ করছে। গণভোটে অংশগ্রহণ করেছে ১০,১১১ জন। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষে রায় দিয়েছে ৮.৫১ শতাংশ আর সুন্দরবনের পক্ষে রায় দিয়েছে ৯০.৪১ শতাংশ। ১.০১ শতাংশ ভোট বাতিল হয়েছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইভা মুজুমদারের সভাপতিত্বে ভোটের গণরায় ঘোষণা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, এ্যাকাউন্টিং এ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোসাহিদা সুলতানা, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড ফখরুদ্দিন কবির আতিক ও কমরেড সাইফুজ্জামান সাকন এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সালমান সিদ্দীকি।
গণরায় ঘোষণার পূর্বে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, “সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে সংবেদনশীল বন। লক্ষ বছর ধরে লোনা পানি ও মিঠা পানির সংমিশ্রণে এখানকার উদ্ভিদ ও প্রাণের সমন্বয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল ইকোসিস্টেম তৈরী হয়েছে যা পৃথিবীতে অদ্বিতীয়। প্রধানমন্ত্রী একদিকে জলবায়ু সম্মেলনে পরিবেশ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন অন্যদিকে রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করে মহাপ্রাণ সুন্দরবন ধ্বংস করছেন। যদি সরকার নূন্যতম গণতন্ত্রের তোয়াক্কা করে থাকে তাহলে উচিত এই গণভোটের ফলাফল তথা জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করা।”
সমাবেশে অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন “সুন্দরবন রক্ষার জন্য দেশের তরুণ সমাজ বিবেকবান মানুষ তথা জনগন যেভাবে জেগে উঠেছে তাতে সরকার বাধ্য হবে রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করতে।”