বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ১৪ নভেম্বর ২০১৫ সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে ফ্রান্সের থিয়েটার হলে এবং জাতীয় স্টেডিয়াম সহ ফ্রান্সের ৬টি স্থানে হামলা করে প্রায় দেড় শতাধিক সাধারণ মানুষ হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এ ভয়াবহ হামলা ও হত্যাকাণ্ড গভীর চক্রান্তের অংশ। ফ্রান্সের মতো আধুনিক রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যাবস্থাকে অকার্যকর করে এ ধরনের সংঘবদ্ধ সসস্ত্র হামলাকে সাধারণভাবে দেখার সুযোগ নেই। দেশে দেশে জনগনের জীবনে পুঁজিবাদ সৃষ্ট সংকটের ফলে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ যাতে আন্দোলনে রূপ না নেয়, এজন্য একদিকে বর্ণবাদ, সম্প্রদায়িকতা, উগ্র জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি পশ্চাদপদ ভাবাবেগে আচ্ছন্ন করা, ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা সংঘটিত করে মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে তোলা, অন্যদিকে এ পরি্স্থিতি কাজে লাগিয়ে দমন পীড়ন জোরদার করা — এসবই এ ষড়যন্ত্রের অংশ। দেশে দেশে উগ্র মৌলবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠির তারাই যে লালনকর্তা অতীত অভিজ্ঞতায় এ কথা সবারই কাছে স্পষ্ট।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজ পুঁজিবাদের সর্বাত্মক সংকটের যুগে কী উন্নত কী অনুন্নত সমস্ত দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধিতে জীবন ধারণ অসম্ভব হয়ে উঠছে। বেকারত্ব ও কর্মসংকোচন মানুষকে চরম অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অস্থির ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ পুঁজিবাদি অর্থনীতিতে টিকে থাকার চেষ্টায় শাসক বুর্জোয়াশ্রেণী প্রবল আঘাত হানছে শ্রমজীবী মানুষের উপর। ফলে বেঁচে থাকার তাগিদে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন দানা বেঁধে উঠছে। দুনিয়ার সকল দেশেই এ ধরনের আনোদালনে ভীত শাসকগোষ্ঠী চক্রান্তের পথে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়।’
তিনি আমাদের দেশের সকল গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল শক্তিসহ বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষদের এধরনের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে এবং পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।