সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গতদের সহায়তা কতক কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। ২৩ আগষ্ট ২০১৭ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু বন্যার্তদের সহযোগিতায় সংগঠনের ভবিষ্যত কর্মসূচীর কথা ঘোষণা করেন।
দেশের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের চরম দায়িত্বহীনতার কথা উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু বলেন, “আমাদের সংগঠন গত কয়েক দিনে দেশব্যাপী কয়েক লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছে এবং দুর্গত অঞ্চলে পাঠিয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা দিনাজপুর, রংপুর, গাইবান্ধা, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় ত্রাণ সহযোগিতা পাঠিয়েছি। কিন্তু তবুও এ সকল সাহায্য-সহযোগিতা বিপন্ন মানুষদের প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। বিশেষত সরকারের তরফ থেকে বন্যাদুর্গতদের মধ্যে খাদ্য-ওষুধ বিতরণ এবং আশ্রয়কেন্দ্র খুলে যথাযথ পুনর্বাসনের উদ্যোগ একেবারেই সন্তোষজনক নয়। সংবাদপত্রের বিভিন্ন রিপোর্টেও এসেছে, লাখ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে ত্রাণসামগ্রী এখনও পৌঁছেনি। এছাড়াও প্রায় তিন হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক স্কুল-কলেজ বন্যায় ভেসে গেছে। কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থীর বই-খাতা-কলমসহ শিক্ষা উপকরণ বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের শিক্ষাজীবন আজ হুমকির মুখে। ক্ষেতের ফসল ডুবে গেছে, লক্ষ লক্ষ ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। এসব ব্যাপারেও সরকারের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ আমরা এখন পর্যন্ত দেখিনি। সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসা কেন্দ্র খোলার কথা বলা হলেও দেখা যাচ্ছে অনেক জায়গায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। ”
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নিম্নোক্ত কর্মসূচী ঘোষণা করেন-
- দেশব্যাপী অর্থ সংগ্রহ এবং বিতরণের পাশাপাশি আমরা বন্যাক্রান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ (বই, খাতা, কলম) সংগ্রহ করা হবে।
- আগামী দুই মাস দেশব্যাপী ‘শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি’ চলবে।
- একইসাথে বন্যাদুর্গত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের এক বছরের বেতন-ফি মওকুফ করা, সরকারিভাবে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনর্নিমাণ করা এবং আক্রান্ত অঞ্চলের মানুষদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য, চিকিৎসা সেবা, ঘর-বাড়ি নির্মাণ করার দাবিতে আগামী ২৭ আগস্ট ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে এবং দেশব্যাপী ডিসির মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি থাকবে।
- আগামী ২৬ আগস্ট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্যালাইন প্রজেক্ট’ চালু হবে। পর্যায়ক্রমে জেলাস্তরেও আমরা এটি পরিচালনা করব। পাশাপাশি ঢাকাসহ উত্তরবঙ্গ ও হাওড় অঞ্চলে মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করা হবে।